গত ১০ বছরে বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাত থেকে সাড়ে ২২ হাজার কোটি টাকা লোপাট হয়েছে বলে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) যে তথ্য প্রকাশ করে তা রাজনৈতিক বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
বেসিক ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল হাই বাচ্চুর ঋণ কেলেঙ্কারির বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন কিছু করেনি। এ বিষয়ে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, দুদুক বাচ্চুর ব্যাপারে কী করছে তা আমি জানি না। আমাদের চোখের সামনে থেকে এখন বাচ্চু চলে গেছেন সে জন্য আমি খুব খুশি। এখন সে কোথায় আছে তা আমি জানি না। বাচ্চু একজন প্রতারক ও চোর।
অর্থমন্ত্রী বলেন, দেশের ব্যাংকখাত থেকে ২২ হাজার ৫০২কোটি টাকা লুটপাটের যে তথ্য সিপিডি প্রকাশ করেছে, সেটি তাদের রাজনৈতিক বক্তব্য। এসব অর্থ থেকে বেশ কিছু টাকা ফেরত আসবে। তাই সিপিডির দাবিকে ‘জাস্ট রাবিশ’ বলে মন্তব্য করেছি।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ২২ হাজার কোটি টাকা লোপাট হয়ে যায়নি। কিছু টাকা উদ্ধার হতে পারে। আর এ টাকার বিপরীতে তো ব্যাংকগুলো প্রভিশন রেখেছে। তাই এর কিছু অংশ উদ্ধার হবে সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। সম্ভবত সিপিডির সভাপতি মিস্টার রেহমান সোবহান দেশের ব্যাংক থেকে ২২ হাজার কোটি টাকা লোপাটের বিষয়টি বোঝেন নাই।
আওয়ামী লীগ ফের রাষ্ট্রক্ষমতায় আসবে’ বলে ইকোনমিক ইন্টিলিজেন্ট ইউনিট যে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে সে প্রসঙ্গে মুহিত বলেন, ভালো রিপোর্ট। তবে এরা অনেক সময় উল্টাপাল্টা রিপোর্টও করে। তারা আবার বলেছে, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলেও অস্থিতিশীলতা থাকবেই। প্রত্যেকটা দেশেই এমন অস্থিরতা থাকে, এ নিয়ে ভাবার বিষয় আছে বলে আমি মনে করি না।