চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে দাপটের সঙ্গে তিন পয়েন্ট তুলে নিল পিএসজি৷রেড স্টার বেলগ্রেডের বিরুদ্ধে ৪-১ ব্যবধানে ম্যাচ জিতল ফরাসি ক্লাব৷মূলত নেইমার-কাভানি-এমবাপের ত্রিমুখী আক্রমণেই বড় ব্যবধানে জয় এসেছে৷ গ্রুপের শেষ ম্যাচ জিতে ইউরোপের সেরা ক্লাবের লড়াইয়ের শেষ ষোলোর টিকিট পাকা করল পিএসজি৷
এদিন ম্যাচের প্রথমার্ধে দুটি গোল করে পিএসজি। দুটি গোলেই অবদান ছিলা এমবাপের।ফরাসি এই তরুণ দারুণ গতি নিয়ে প্রতিপক্ষের ডি-বক্সে ঢুকেই বল বাড়িয়ে দেন কাভানির দিকে। আর তা থেকে দলকে প্রথম গোলটি উপহার দিতে কোন অসুবিধা হয়নি উরুগুইয়ান এই স্ট্রাইকারের।
ম্যাচের ৪০ মিনিটে সেই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন পিএসজি’র ‘পোস্টার বয়’ নেইমার।এরপর আর কোনো গোল না হওয়ায় ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে বিরতীতে যায় পিএসজি।
তবে বিরতি থেকে ফিরে এসে একটি গোল পরিশোধ করে বেলগ্রেড। ম্যাচের ৫৬ মিনিটে পিএসজি’র জালে বল জড়ান সার্বিয়ান ডিফেন্ডার মার্কো গোবেলিচ।
ম্যাচের ৭৭ মিনিটে বেলগ্রেডের জালের তৃতীয় গোলটি করেন আরেক ব্রাজিলিয়ান মার্কিনিয়োস। আর যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে প্রতিপক্ষের জালে চতুর্থ ও শেষ পেরেকটি ঠোকেন এমবাপে নিজে। ফলে ৪-১ গোলের বড ব্যবধানে ম্যাচ জিতে নেয় পিএসজি।
এদিকে সি গ্রুপের অন্য গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ঘরের মাঠে নাপোলির বিরুদ্ধে জয় পেয়েছে লিভারপুল।ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেছেন লিভারপুলের তারকা খেলোয়াড় মোহম্মাদ সালাহ। প্রথমার্ধে তাঁর করা গোলই ব্যবধান গড়ে দেয়। ম্যাচে লিভারপুল জয় পেলেও, পজেশনাল ফুটবলে দাপিয়েছে মারাদোনার প্রাক্তন দল। সংযোজিত সময়ে গোলও প্রায় পেয়ে গিয়েছিলেন নাপোলির মিলিক। কিন্তু তা থেকে বিপদ রোধ করেন লিভারপুল কিপার অ্যালিসন। ফলে দ্বিতীয় দল হিসাবে পরিবর্তী রাউন্ডে লিভারপুল।
এই গ্রুপ থেকে ৬ ম্যাচে ১১ পয়েন্টের পুঁজি নিয়ে গ্রুপ টপার হয়ে নকআউটে পৌঁছল নেইমাররা৷ অন্যদিকে ৬ ম্যাচে ৯ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপে দু’নম্বরে শেষ করে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোয় গেল লিভারপুলে। এই গ্রুপ থেকে ছিটকে গেল নাপোলি ও বেলগ্রেডে৷