অনেক সময় মোবাইলের ডাটা বাচাতে বিভিন্ন দোকান ও অফিসের বিনা মূল্যের ওয়াই-ফাই সেবা ব্যবহার করেন অনেকে। ক্রেতাদের খুশি করতে ওয়াই-ফাইয়ের পাসওয়ার্ড ব্যানার আকারে ঝুলিয়েও রাখে অনেক প্রতিষ্ঠান। ফ্রি ইন্টারনেট সেবা পেয়ে অনেকেই ঝুকির করা চিন্তা না করেই মনের আনন্দে বিনা মূল্যের ওয়াই-ফাই সেবা উপভোগ করেন।
কিন্তু উন্মুক্ত এই নেটওয়ার্ক ব্যবহার খুব বেশি নিরাপদ নয়। বিশেষ করে এসব উন্মুক্ত নেটওয়ার্কে ব্যাংকিং ও ক্রেডিট কার্ডের তথ্য বিনিময় করলে সেগুলো হাতিয়ে নিতে পারে হ্যাকাররা। পরে ভুয়া পাসওয়ার্ড দিয়ে ব্যবহারকারীর অগোচরেই সেগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে পারে তারা।
তবে গুরুত্বপূর্ণ যেসব স্থানে অন্যের কাছ থেকে ওয়াই-ফাইয়ের পাসওয়ার্ড জেনে নিতে হয় সেখানকার ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক তুলনামূলক নিরাপদ। বিনা মূল্যের ওয়াই-ফাই পাসওয়ার্ড দিয়ে বিভিন্ন সাইট, ইউটিউব, ফেইসবুক বা অনলাইন নিউজ পোর্টালগুলোতে ঢুঁ মারলেও অনলাইন ব্যাংকিংয়ের কাজ করা উচিত নয়।
বিনা মূল্যের ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক ব্যবহারের ক্ষেত্রে বেশ কিছু সতর্কতা মেনে চলা প্রয়োজন।
১.ডিভাইসে থাকা ব্যক্তিগত বিভিন্ন ফাইল, ছবি বা ভিডিও নিরাপদে রাখতে ফাইল শেয়ারিংয়ের অপশন অবশ্যই বন্ধ রাখা উচিত। ডিভাইসে অবশ্যই অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার ইনস্টল করতে হবে।
২.খুব প্রয়োজনে বিনা মূল্যের ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক কাজে লাগিয়ে ব্যাংকিং করতে হলে অবশ্যই ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক (ভিপিএন) ব্যবহার করতে হবে। এর ফলে যেকোনো ধরনের ফিল্টারিং বা ওয়েবসাইট ব্লকিং সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
৩.ওয়াই-ফাই অপশন চালু থাকলে ডিভাইসের চার্জ শেষ হয়ে যায় খুব দ্রুত। তাই চার্জ ধরে রাখতে ওয়াই-ফাই ব্যবহারের পর অপশনটি বন্ধ রাখা উচিত।