আবেগের বশে ডাগ-আউটে কত কীই না করে বসেন দলের ম্যানেজারেরা। আর ম্যানেজারের নাম যদি হয় হোসে মোরিনহো, তাহলে তো কথাই নেই। মঙ্গলবার উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের রাউন্ড ৩২‘র ম্যাচে মাঠে নেমেছিল মোরিনহোর ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড। শেষ ষোলোয় জায়গা পাকা করার জন্য ম্যান ইউ’র কাছে এই ম্যাচ ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নির্ধারিত ৯০ মিনিট গোলশূন্য থাকার পর অতিরিক্ত সময়ে ফেলানি জয়সূচক গোল করতেই আবেগের বশে ড্রিংক বোটল হোল্ডার মাটিয়ে আছাড় মারলেন ম্যান ইউ ম্যানেজার।
ঘরের মাঠে অপেক্ষাকৃত দুর্বল প্রতিপক্ষ সুইজারল্যান্ডের ইয়ং বয়েজের বিরুদ্ধে কোনও খারাপ ফলাফলে আটকে যেতে পারত ম্যান ইউ’র শেষ ষোলোয় যাওয়া। প্রথম লেগের ম্যাচে এই ইয়ং বয়েজকে তাদের হোম ম্যাচে হারিয়েছিল ম্যান ইউ। তবে মঙ্গলবার ঘরের মাঠে জয় ছিল আবশ্যিক। সেই লক্ষ্যে দুই সেরা অস্ত্র পোগবা, লুকাকু সহ ক্রিস্টাল প্যালেস ম্যাচের দলে এদিন ছ’টি পরিবর্তন আনেন মোরিনহো। ঘরের মাঠে ম্যাচের শুরুতেই গোল পেয়ে গেলে ফলাফল অন্যরকম হতেই পারত। কিন্তু গোল নষ্টের প্রদর্শনীতে ডাগ আউটে এদিন ম্যানেজারের রক্তচাপ বাড়িয়ে দেন র্যাশফোর্ডরা। একাধিক সুযোগ নষ্টের কারণে প্রথমার্ধ গোলশূন্য অবস্থাতেই শেষ হয়।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই একবার ম্যান ইউ রক্ষণকে পরীক্ষার মুখে ফেলে দেয় ইয়ং বয়েজ। এরপর গোল তুলে নেওয়ার লক্ষ্যে মোরিনহো মাঠে নামিয়ে দেন তাঁর তুরুপের দুই সেরা তাস পোগবা-লুকাকুকে। তাতেও নির্ধারিত সময়ে কোনও গোল না আসায় স্বভাবতই চাপ বাড়ছিল মোরিনহোর উপর। অবশেষে তিন মিনিট অতিরিক্ত সময়ের প্রথম মিনিটে মোরিনহোর দলের হয়ে জয়সূচক গোলটি করে যান ফেলানি। সেই সঙ্গে শেষ ষোলোয় যাওয়া নিশ্চিত হয় ম্যান ইউ’র। গোলের পরই সাইডলাইনের ধারে রাখা ড্রিংক বোটল হোল্ডার হাতে তুলে নিয়ে মাটিতে আছড়ে ফেলেন মোরিনহো। উত্তেজনার বশে তাঁর এই কীর্তি চর্চায় বিষয় হয়ে ওঠে নেটিজেনদের। মোরিনহোর আবেগের এই বহিঃপ্রকাশ পরবর্তীতে তাঁকে কোনও সমস্যায় ফেলবে কিনা, সেটা যদিও সময় বলবে।