Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৮ বৃহস্পতিবার, মার্চ ২০২৪ | ১৪ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

রেডিয়েশন: সচেতনতায় পিছিয়ে বাংলাদেশীরা

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৭ নভেম্বর ২০১৮, ১০:০৫ PM
আপডেট: ১৭ নভেম্বর ২০১৮, ১০:১২ PM

bdmorning Image Preview
প্রতীকী ছবি


নিঃসন্দেহে বলা যায় মোবাইল ফোন আমাদের একটি অতি প্রয়োজনীয় ডিভাইস। এক কথায় এটা আমাদের জীবনের একটা অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। একদিকে দৈনন্দিন কার্যক্রম সহজ করে আনলেও রয়েছে এর ক্ষতিকারক প্রভাব। আর এই মোবাইল ফোনের ক্ষতিকারক বিকিরণের (রেডিয়েশন) প্রভাব নিয়ে উন্নত বিশ্ব সজাগ থাকলেও পিছিয়ে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ।

রেডিয়েশন হলো রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি এনার্জি। যা এক ধরনের বিদ্যুতচৌম্বকিয় তেজষ্ক্রিয়তা। আমরা যখন মোবাইলে কথা বলি তখন ফোনের ট্রান্সমিটারটি আমাদের মুখ থেকে নির্গত শব্দকে গ্রহণ করে সেটিকে ধারাবাহিক সাইন ওয়েভে সঙ্কেতায়িত করে রেডিও ফ্রিকোয়েন্সির মাধ্যমে প্রেরণ করে।

আমেরিকার ন্যাশনাল টক্সিকলজি প্রোগ্রাম (এনটিপি) ও ন্যাশনাল ইন্সটিটিউটস অব হেলথ (এনআইএইচ) এর এক গবেষণায় দেখা গেছে, মোবাইল ফোনের রেডিয়েশন থেকে কিছু বিশেষ ধরনের ক্যান্সার তৈরি হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।

মোবাইল ফোনের এই রেডিয়েশন ও এর ক্ষতিকারক প্রভাব নিয়ে বিডিমর্নিংয়ের সাথে কথা হয় সাইবার বিশেষজ্ঞ আবদুল আলিমের সাথে। তিনি বলেন, ‘এদেশের সাধারণ মানুষ রেডিয়েশন ও এর ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে জানেন না, এগুলো সর্ম্পকে বোঝেন না। আমাদের দেশে রেডিয়েশন সম্পর্কে ব্যক্তি পর্যায়ে কিছু সচেতনতা মূলক কার্যক্রম দেখা যায়।’

রেডিয়েশনের প্রভাবে ক্যান্সার ও ব্রেইন টিউমারের ঝুঁকি রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘অতিমাত্রায় রেডিয়েশনের কারণে মানব দেহের কোষ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এতে কোন সন্দেহ নেই। মাইক্রোওয়েভ ওভেন যেমন খাবারকে গরম করে ঠিক একইভাবে রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি রেডিয়েশন মানুষের দেহকোষকে উত্তপ্ত করে। মানুষের দেহ অতিমাত্রায় উত্তাপ সহ্য করার মতো করে তৈরি হয়নি। এর ফলে বেশকিছু রোগ হতে পারে। ক্যান্সার, ব্রেইন টিউমার, আলঝেইমার’স, পারকিনসনস, ক্লান্তি, মাথা ব্যথাসহ বিভিন্ন রোগ ও শারীরিক সমস্যা হতে পারে।’

উন্নত দেশগুলোতে তেজষ্ক্রিয়তা সংক্রান্ত জাতীয় কর্তৃপক্ষ মোবাইল ফোনের রেডিয়েশন থেকে নিরাপদ থাকার জন্য তাদের নাগরিকদের কিছু পরামর্শ দিয়ে থাকেন বলে জানান আবদুল আলিম। তিনি বলেন, ‘তারা হ্যান্ডসেটের বদলে ল্যান্ড ফোন মোবাইল ব্যবহার করার পরামর্শ দেন। তারা পরামর্শ দেন মোবাইল ফোনকে যতটা সম্ভব শরীর থেকে দূরে রাখতে হবে। ঘুমানোর সময় মোবাইল মাথা থেকে দূরে রাখতে হবে। এক টানা দীর্ঘ সময় মোবাইলে কথা বলা উচিত নয়। বিল্ডিংয়ের ভেতরে যথা সম্ভব ফোনে কোন কথা না বলে যতটুকু সম্ভব বাইরে বসে ফোনে কথা বলা। মোবাইল যতটা সম্ভব শিশুদের থেকে দূরে রাখা।’

আমাদের দেশে এমন কোন কর্তৃপক্ষ নেই। এছাড়া সচেতনা মূলক কার্যক্রমও খুব বেশি নেই বলে জানান তিনি।

একাধারে ১০ মিনিটের বেশি কথা না বলার গুরুত্বারুপ করে তরুণ এই সাইবার বিশেষজ্ঞ আরো বলেন, কেউ যদি টানা ১০ বছর ধরে প্রতিদিন এক ঘণ্টার বেশি মোবাইল ফোন ব্যবহার করে তাহলে তার টিউমারের আশঙ্কা অনেক বেড়ে যায়।

রেডিয়েশনের প্রভাব মোকাবিলায় সরাকারি ও বেসরকারি ব্যাপক সচেতনতা মূলক কার্যক্রম চালানোর প্রয়োজনীয়তা ব্যক্ত করেন আবদুল আলিম।

Bootstrap Image Preview