Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৪ বুধবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১০ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

প্রাচীন স্থাপত্য হরিপুরে এক কাতার গায়েবি মসজিদ

জে.ইতি, হরিপুর (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধিঃ
প্রকাশিত: ১৬ নভেম্বর ২০১৮, ০৩:২৯ PM
আপডেট: ১৬ নভেম্বর ২০১৮, ০৩:২৯ PM

bdmorning Image Preview


ঠাকুরগাঁও হরিপুরের মেদনীসাগর গ্রামে অবস্থিত প্রাচীন স্থাপত্যের নিদর্শণ এক কাতারের গায়েবি মসজিদ। মসজিদটির অবস্থান হরিপুর উপজেলা সদর থেকে প্রায় ২০ কিঃমিঃ দূরে মন্নটুলী চৌরাস্তা থেকে বনগাঁওগামী পাকা সড়কের ডান পার্শ্বে মেদনীসাগর গ্রামে।

এলাকার প্রবীণদের মতে, মসজিদটি সুলতানি আমলেরও আগে নির্মিত হতে পারে। এ মসজিদ নিয়ে রয়েছে, নানান রুপকথা ও অলৌকিক গল্প কাহিনী। মসজিদটির নির্মাণ কাজ নিয়ে সঠিক কোন তথ্য না জানা গেলেও গ্রামবাসী ও এলাকার প্রবীণদের মতে এটি প্রায় ১৫০০ থেকে ১৬০০ শতকে নির্মাণ হতে পারে।

অনেকের মতে দিল্লীর সুলতান ফিরোজ শাহ'র শাসন আমলে তার কমান্ডার খান গাজী ও হযরত শাহ জালালসহ ৩৬০ জন আউলিয়ার প্রচেষ্টায় সিলেট জয়ের পর সিলেটের শাসক গৌর গোবিন্দকে পরাজিত করে পুত্র হযরত শাহ জালাল (রহঃ) সিলেট থেকে ইসলাম প্রচারের কাজ শুরু করে এ সময় তারা ইসলাম প্রচারের জন্য দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অবস্থান করে। তাই এসময়ও নির্মাণ হতে পারে এই মসজিদটি।

তবে এটি যে সঠিক তা নাও হতে পারে। এলাকার সবার কাছে এটি গায়েবি ও এক কাতার মসজিদ নামে পরিচিত। মসজিদটির আকর্ষণ হচ্ছে, বিশেষ ডিজাইনে তৈরি ৩টি গম্বুজ ও চার কোণায় ৮টি মিনার সদৃশ্য বুরুজ। গম্বুজ ৩টি ছাদ থেকে প্রায় ১০ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট এবং ২ ফুট লম্বা চূড়া। ভূমি থেকে প্রতিটি বুরুজের উচ্চতা ১০ ফুট সুলতানি আমলের মিনারের মত। মসজিদটিতে একসাথে এক কাতারেই ৩০ জন মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারে।

বর্তমানে আশেপাশের কয়েকটি গ্রামের মানুষ এখানে নামাজ পড়ে। মসজিদে জায়গার অভাবে মসজিদের মূল ভবনের সামনের অংশের সাথে সংযুক্ত করে নতুন ভবন সম্প্রসারিত করা হয়েছে। মাটি খুড়ার সময় মসজিদের মূল ভবনের সামনে ৩-৪ ফুট নিচের দিকে ছাই, ইট, পাথর ও কয়লা পাথর পাওয়া যায়। এটির কাজ সম্পন্ন করা হলে এক সাথে প্রায় ২০০ জন মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবে।

মসজিদে নামাজ পড়তে আসা আব্দুল্লাহিল বাকি বলেন, আমার বয়স ৩০ বছর আমার বাপ-দাদারাও বলতে পারে না এটি কে কবে তৈরি করেছিল। এমনকি তাদের পূর্ব পুরুষরাও বলতে পারতো না এ মসজিদটির রহস্য। তাই আমরা এলাকার অনেকে গায়েবি এক কাতার মসজিদ বলেই জানি।

জফুর চেয়ারম্যান (১০০) বলেন, আমার ধারণা মতে আমাদের পূর্ব পুরুষদের নিকট শুনেছি এতে মনে হয় যে, এই মসজিদটির বয়স প্রায় ৪-৫ শত বছর হতে পারে। এটি একটি প্রাচীন স্থাপত্যের নিদর্শন। আমরা গ্রামবাসী সকলে মিলে এর দেখভাল করি এবং মেরামত করে নামাজ পড়ি।

সংশ্লিষ্ট বর্তমান ১নং গেদুড়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আঃ হামিদ বলেন, আমিও শুনেছি এটি গায়েবি মসজিদ। এর ইতিহাস কেউ বলতে পারে না। এটি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রতœতত্ত্ব বিভাগের সংরক্ষণ করা উচিত।

Bootstrap Image Preview