৩ নভেম্বর থেকে সিলেটে শুরু হতে যাওয়া বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ের মধ্যকার প্রথম টেস্ট। এই সিরিজে আবারও উইকেটের পিছনে গ্লাভস হাতে দেখা যাবে ডিপেন্ডেবল মুশফিক রহিমকে। দল ঘোষণার পর এমনটাই ইঙ্গিত দিয়েছেন নির্বাচকরা্
টেস্টে বরাবরা উইকেটের পেছনে দায়িত্ব সামলেছেন মুশফিক। তবে দলের এই গুরুত্বপূর্ণ কান্ডারির উপর থেকে কিছূটা চাপ কমাতে শেষ ছয় টেস্টে শূধূ ব্যাটসম্যা্ন হিসেবেই তাকে খেলায় বিসিবি।বিসিবির ধারণ ছিল টেস্টে লম্বা সময় কিপিংয়ের পর ব্যাট করাটা কষ্ট সাধ্য। কারন অনেক সময় ব্যাটিং বিপর্যয়ে কিপিং করার ঘন্টা খানিকের মধ্যেই আবার ব্যাটিং নামতে হয়েছে তাকে। তাই মুশফিককে কিপিং থেকে অব্যহতি দিয়ে এ সময় দলে বিকল্প হিসেবে আসেন নুরুল হাসান সোহান ও লিটন দাস।
পরিসংখ্যান দেখা যায় শেষ ছয়টি টেস্টে শূধূ ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলেছেন। কিন্তু এই ছয় টেস্টের ১২ ইনিংসে মুশফিকের রান যথাক্রমে ৪৪, ১৬, ৭, ২৬, ৯২, ২, ১, ২৫, ০, ৮, ২৪ ও ৩১ (সাকুল্যে ২৭৬ রান, গড় ২৩)।
কিন্তু টেস্টে উইকেট কিপিং ব্যাটসম্যান হিসেবে তিনি বেশি সফল। পরিংসখ্যান ঘাটলে দেখা যায় শেষ ৬ টেস্টের ৫ টিতে উইকেটরক্ষক ছিলেন মুশফিকুর রহিম। সেখানে ১০ ইনিংসে মুশফিকের রান- ১৫৯, ১৩*, ১২৭, ২৩, ৫২, ২২*, ১৮, ৪১, ৬৮, ৩১ (সাকুল্যে ৫৫৪ রান, গড় ৬৯.২৫)।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঘোষিত টেস্টে দলে মুশফিক ছাড়াও আরো দুই কিপার ব্যাটসম্যান হলেন লিটন ও মিঠূন। তবে লিটন দলে ওপেনিংয়ে ব্যাট করায় উইকেটের পেছনে তার থাকা হচ্ছে না।আবার নির্বাচকরা হাবিবুল বাশার সুমন দল ঘোষনার সময় জানিয়েছেন মিথূনকে ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
তাই দলে এখন উইকেটরক্ষক হিসেবে আবারো মুশফিককেই দায়িত্ব নিতে হবে। যদিও এই দায়িত্ব পেতে তিনি খূশিই হবেন। কারন উইকেটের পিছনে গ্লাভস হাতে দাঁড়াতে সর্বদা স্বাচ্ছন্দবোধ করেন।