দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানসবার্গের স্প্রিং শহরে সঙ্ঘবদ্ধ পাকিস্তানিদের হামলায় আকাশ রহমান নামে এক বাংলাদেশি হোটেল ব্যবসায়ী খুন হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত আকাশের দেশের বাড়ি টাঙ্গাইল জেলায়।
জানা যায়, ২৫ অক্টোবর সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে পাকিস্তানি দুই সহোদর ভাই বাংলাদেশি ব্যবসায়ী আকাশ রহমানের হোটেলে এসে ১৫ রেন্ডের বাজার করে ১০ রেন্ড দিয়ে চলে যেতে চায়। এতে আকাশ প্রতিবাদ করলে তাদের মাঝে কথা কাটাকাটি হয় এবং ঐ দুইজন তাকে হুমকি দিয়ে চলে যায়।
পরবর্তীতে পাকিস্তানি দুই সহোদর আরো ৬-৭ জন পাকিস্তানিকে খবর দিয়ে জড়ো করে। ব্যবসায়ী আকাশ সন্ধ্যা ৭টায় দোকান থেকে বের হওয়া মাত্রই কিছু বুঝে উঠার আগেই সঙ্ঘবদ্ধ চক্রটি তার উপর ঝাপিয়ে পড়ে এবং তার বুকে, পেটে এবং পিঠে মারাত্মকভাবে ছুরিকাঘাত করে। এতে গুরুত্বর আঘাতে ঘটনাস্থলেই না মারা যান আকাশ।
মূহুর্তের মধ্যে এ খবর ছড়িয়ে পড়লে শতাধিক বাংলাদেশিরা সেখানে জড়ো হতে দেখে হামলাকারীরা দ্রুত পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে স্থানীয় বাংলাদেশি কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ এবং বাংলাদেশ পরিষদ অর্গানাইজেশনের প্রতিনিধিদল ছুটে যান। রাতেই বাংলাদেশ পরিষদ অর্গানাইজেশনের সেক্রেটারী মুনির আহমেদ এবং স্থানীয় বাংলাদেশী কমিউনিটির নেতা মোঃ খসরুর নেতৃত্বে স্থানীয় বাংলাদেশিরা স্প্রিং পুলিশ স্টেশনের সামনে অবস্থান করে এবং অভিযোগ দাখিল করে।
নিহত বাংলাদেশী আকাশ রহমানের দেশের বাড়ি টাঙ্গাইল জেলায়। তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানসবার্গের স্প্রিং শহরে হোটেল ব্যবসা করে আসছেন দীর্ঘদিন ধরে। গত ৬ মাস পূর্বে দেশে গিয়ে বিয়ে করেন এবং স্ত্রীসহ দক্ষিণ আফ্রিকা ফিরে আসেন। এমন অপ্রত্যাশিত মৃত্যুতে তার পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
উল্লেখ্য, গত ৬ দিনে মোট ৯ জন বাংলাদেশি দক্ষিণ আফ্রিকায় নির্মমভাবে খুন হয়েছে। এতে চরম হতাশায় দিন কাটাচ্ছেন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রবাসী বাংলাদেশিরা। তারা এমন নৃসংসতায় উদ্বেগ প্রকাশ করছে।
প্রবাসী এক বাংলাদেশি ব্যবসায়ী মোঃ সোহেল বলেন, এই ধরণের পরিস্থিতি চলতে থাকলে বাংলাদেশিরা নিরাপত্তার স্বার্থে নিজেদের ব্যবসা দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে গুটিয়ে নিতে বাধ্য হবে।