এশিয়া কাপে থেকে শুরু করে চলতি জিম্বাবুয়ে সিরিজে যেন নতুন এক ইমরুলকে দেখা গেলো। এশিয়া কাপে আফগানিস্তানের বিপক্ষে অপরাজিত ৭২ রানের ইনিংস দিয়ে ক্যারিয়ারের নতুন অধ্যায়ের শুরু করেছেন। সেই থেকে এই পর্যন্ত খেলেছেন এশিয়া কাপে আরো ২টি ও জিম্বাবুয়ে সিরিজে ৩টি মিলেয়ে মোট ৫ টি ম্যাচ খেলেছেন। ম্যাচ গুলোর পারফরম্যান্সে ইমরুলের ধারে কাছেও কেউ নেই।
তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসানের ঘাটতি পোষাতে দলে আসেন ইমরুল। নিজের স্বাভাবসূলভ টর্প অর্ডার থেকে ব্যাটিংয়ের বদলে ব্যাট করতে নামেন মিডিল অর্ডারে।কিন্তু মিডল অর্ডারে নিজেকে প্রথম ম্যাচেই প্রমাণ করেন ইমরুল।আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেলেন অপরাজিত ৭২ রানের ইনিংস। পরের দুই ম্যাচে পাকিস্তান ও ভারতের বিপক্ষে করেছিলেন যথাক্রমে ৯ এবং ২।
তবে ঘরের মাটিতে জিম্বাবুয়ে সিরিজে ওপেনার হিসেবে নিজের আগের সব অর্জনকে ছাড়িয়ে গেলেন ইমরুল কায়েস। প্রথম ম্যাচেই খেললে ক্যারিয়ার সেরা ১৪৪ রানের ইনিংস বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের মধ্যে ওয়ানডেতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ (মুশফিকেরও ক্যারিয়ারসেরা ইনিংস ১৪৪, তামিমের ১৫৪)।
দ্বিতীয় ওয়ানডেতে খেললেন ৯০ রানের ইনিংস। কিন্তু ইমরুলের এই ইনিংসটি কিছূটা আক্ষেপে পুড়িয়েছে মাশরাফিকে। ম্যাচে শেষে তিনি বলেছিলেন পুরো ম্যাচে ইমরুল যেভাবে খেলেছে তাতে সেঞ্চুরিটা আসতেই পারতো।
মাশরাফির আক্ষেপটা ইমরুল ঠিকই পূরণ করছেণ শুক্রবার তৃতীয় ওয়ানডেতে।খেললেন ১১৭ রানের ইনিংস।জিম্বাবুয়েকে হোয়াইট ওয়াশ করার ম্যাচে সৌম্য সরকারের সঙ্গে রেকর্ড ২২০ জুটি গড়লেন। তুলে নিলেন ক্যারিয়ারের চতুর্থ ওয়ানডে শতক। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের হয়ে ৭৬ ওয়ানডেতে মাঠে নেমে চারটি সেঞ্চুরি করেছেন যার মধ্যে দু’টি এই সিরিজেই।
শুধূমাত্র জিম্বাবুয়ে সিরিজের তিন ম্যাচে ১১৬.৩৩ গড়ে করেছেন ৩৪৯ রান করলেন ইমরুল। তিন ম্যাচের সিরিজে এর আগে সর্বোচ্চ ৩১৯ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তামিম ইকবাল। তার অনুপস্থিতেই ইমরুল নতুন এ রেকর্ড গড়লেন।তবে ইমরুল যদি দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৯০ রানের ইনিংসটিকে সেঞ্চুরিতে রূপ দিতে পারতেন তাহলে নতুন মাইলফলেকে পৌঁছে যেতেন তিনি। কারন টানা দুই সেঞ্চুরির রেকর্ড তামিম, মুশফিক ও মাহমুদল্লাহর রয়েছে।
এদিকে জিম্বাবুয়ে সিরিজে নিজেকে নতুন করে ফিরে পেয়েছেন সৌম্য সরকার। শেষ ওয়ানডেতে ১১৭ রান করে সিরিজের চতুর্থ সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক তিনিই। এটি তার ক্যারিয়ানের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি।