বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে ম্যাচ আজ চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে দুপুর আড়াইটায় শুরু হবে। ইতিমধ্যেই প্রথম ২ ম্যাচ জিতে সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। আজ ম্যাচটি টাইগারদের জন্য হোয়াইটওয়াশের মিশন অপরদিকে জিম্বাবুয়ের জন্য মান বাঁচানোর লড়াই।
টাইগাররা এর আগেও জিম্বাবুয়েকে একাধিকবার হোয়াইটওয়াশ করেছিল। সর্বশেষ টাইগারদের ধবলধোলাই করা প্রতিপক্ষের নামও জিম্বাবুয়ে। ২০১৫ সালে সেবার জিম্বাবুয়েকে ৩-০ তে হোয়াইটওয়াশ করেছিলো বাংলাদেশ। এর আগে ২০১৪ ও ২০০৬ সালে ৫-০ তে জিম্বাবুয়েকে নাস্তানুবাদ করেছিল বাংলাদেশ। তাই জিম্বাবুয়েকে আজ চতুর্থবারের মতো হোয়াইটওয়াশ লক্ষ্য রয়েছে বাংলাদেশের।
২০০৩ সালে কেনিয়াকে তাদের মাটিতে ৩-০ তে হারিয়ে হোয়াইটওয়াশ করেছিল বাংলাদেশ। এরপর ২০০৫ সালে প্রথমবারের মতো কেনিয়াকে ৪-০ তে হারিয়ে দেশের মাটিতে প্রতিপক্ষকে হোয়াইটওয়াশ করার গৌরব অর্জন করে। এরপর ২০০৭ সালে ঘরের মাটিতে আয়ারল্যান্ডকে ৩-০ তে লজ্জা দেয় বাংলাদেশ।
তবে ২০১০ নিউজিল্যান্ডকে ৪-০ সালে প্রথম বারের মতো বড় কোনো দলকে হেয়াইটওয়াশ করার গৌরব অর্জন করে। এরপর ২০১৩ সালে দ্বিতীয় বারের মতো ৩-০ তে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা দেয় বাংলাদেশ। এরপর ২০১৫ সালে পাকিস্তানকে ঘরের মাঠে ৩-০ তে ধবলধোলাই করে বাংলাদেশ। তবে বিদেশের মাটিতে বড় কোনা দলকে হেয়াইটওয়াশ করার গৌরব আসে ২০০৯ সালে ।এ সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বে ক্যারিবীয় সফরে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৩-০ তে হারায় বাংলাদেশ।
জিম্বাবুয়েকে আজ হোয়াইটওয়াশ করলে র্যাংকিংয়ের এক রেটিং পয়েন্ট বাড়বে বাংলাদেশের। আইসিসির সর্বশেষ র্যাংকিং অনুযায়ী ৯২ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে সাত নম্বরে আছে বাংলাদেশ। অর্থাৎ টানা তিন ম্যাচ জয়ের পুরষ্কার স্বরূপ রেটিং পয়েন্ট ৯৩-এ উন্নীত হবে টাইগারদের। ছয়ে থাকা অস্ট্রেলিয়ার পয়েন্ট ১০০।