সৌন্দর্যের প্রতি সবারই একটু দুর্বলতা থাকে। তাই নিজেকে সুন্দর রাখতে আমরা কত রকমের চেষ্টা করি। প্রসাধনী ব্যাবহার করে চেহারার জেল্লা বাড়ানো গেলেও তা হয় ক্ষণস্থায়ী। সঙ্গে থাকতে পারে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও।
তবে কিছু অভ্যাস গড়ে তুললে ত্বকের উজ্জ্বলতা ফুটে উঠবে ভেতর থেকেই। আর আপনার ত্বক সুস্থ থাকবে দীর্ঘদিন।
সময়মতো ঘুম-
শহুরে জীবনযাপনে ঠিকমতো ঘুমের সময় পাওয়া কঠিন। এটি মানলেও ত্বকের সমস্যা সমাধানে সময়মতো ঘুমের কোনো বিকল্প নেই। ঘুমের স্বল্পতা চেহারার রক্তনালীকে শক্ত করে তোলে। ফলে রুক্ষ ও অনুজ্জ্বল দেখায় মুখ- এমনটাই বলেন চিকিৎসকেরা। রূপ ধরে রাখতে নিয়মিত এবং ঘুম খুবই জরুরি।
সঠিক খাদ্যাভ্যাস-
শরীরকে সুস্থ রাখতে যেমন স্বাস্থ্যসম্মত খাবারের প্রযোজন, তেমনি ত্বককে সুস্থ রাখতেও দরকার পুষ্টিসম্মত খাবার। নিশ্চিত করতে হবে আপনার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় যেন পরিমিত আমিষ, স্বাস্থ্যকর চর্বি, সব্জি এবং ফল থাকে। এসব স্বাস্থ্যকর খাবার শরীরের ভেতর থেকে আপনার ত্বককে পুষ্টি যোগাবে।
আগেই শুরু করুন যত্ন-
তরুণ বয়স থেকেই ত্বকের যত্ন শুরু করলে বুড়িয়ে গেলেও উজ্জ্বলতা ধরে রাখা যায়। তাই টিনএজ থেকেই শুরু করুন ত্বক নিয়মিত পরিস্কার ও আর্দ্রতা বজায় রাখার। ফেইস ওয়াশ, টোনার, ময়শ্চারাইজার এবং সানস্ক্রিনের ব্যবহার এই বয়স থেকেই নিয়মিত শুরু করলে ত্বকের সমস্যায় ভুগতে হবে না।
ব্যায়ামে ত্বকের উপকার-
শারীরিক কসরৎ কেবল মেদ ঝরাতেই সাহায্য করেনা, ত্বকের জেল্লা ফেরাতেও তা দারুণ কার্যকর। এতে ঘামের মাধ্যমে সব দূষিত পদার্থ নিষ্কাষিত হয়ে যায়। ফলে ত্বক হয় পরিস্কার। আর সে কারণেই জিমে কাটানো সময়ের পর ত্বকে দেখা যায় উজ্জ্বল ভাব!
মেইক-আপকে বিদায় দিন-
প্রতিদিন মেইক-আপের আড়ালে মুখ ঢাকলে তা হতে পারে চেহারার জন্য ক্ষতিকর। মাঝে মাঝে প্রসাধনীকে পাঠান ছুটিতে। সপ্তাহের একদিন অন্তত এমনটা করা যেতেই পারে। এই সময়ে চেহারার রোমকূপগুলো খুলে নতুন জ্যোতি আসে। মেইক-আপ থেকে রেহাই পেয়ে ত্বকের কোষগুলোও নতুন জীবন পায়।