গতানুগতিক জীবন থেকে মুক্তির জন্য চার দিনের হলিডে প্যাকেজ ঘোষণা করেছে আন্তর্জাতিক এক ভ্রমণ সংস্থা। যেখানে থাকবে মাদকতাময় যৌবন আর বিবিধ নেশার সরঞ্জাম। যে দ্বীপে এই লালসা-ক্ষেত্র খোলা হবে তার নাম দেওয়া হয়েছে ‘সেক্স আইল্যান্ড’।
প্রথমদিকে লাতিন আমেরিকার দেশ কলম্বিয়ার কাছে কোনও দ্বীপে এই রঙ্গরখানা খোলা হলেও ধর্মযাজকরা বিপুল আপত্তিতে পরিবর্তন হয় স্থান। বর্তমানে এর ঠিকানা বদলে গিয়ে দাঁড়িয়েছে এক ক্যারিবিয়ান দ্বীপে।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম মিরর এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গত বছর এই ধামাকা পৃথিবীজুড়েই উন্মাদনার সৃষ্টি করেছিল। এ বছর তা আবার ফিরে আসছে।
দ্বীপটি নিয়ে গণমাধ্যমটি জানিয়েছে, ‘সেক্স আইল্যান্ড’ নামের ঐ দ্বীপে হাজির থাকবেন ৬০ জন বাছাইকৃত তরুণী। আর সাথে থাকবে বিবিধ নেশার সরঞ্জাম। ‘সেক্স আইল্যান্ড’-এর প্রকৃত ঠিকানা গোপন থাকবে। তাঁরাই এর হদিশ পাবেন, যাঁরা নগদ অর্থের বিনিময়ে এই প্যাকেজ কিনছেন।
‘সেক্স আইল্যান্ড’-এ চারদিন বাস, সেখানে লাইভ সেক্স শো দর্শন, প্রমোদ তরণীতে উদ্দাম পার্টি এবং সেই সঙ্গে ‘সারপ্রাইজ’— এই সব কিছুর খরচ পড়বে ৫,০০০ পাউন্ড। যার বাংলাদেশি অর্থমূল্য প্রায় সাড়ে পাঁচ লক্ষ টাকা।
২০১৭-এ এই প্যাকেজের বিজ্ঞাপন নিয়ে বিপুল বিতর্ক হয়েছিল। ঠিক ছিল, পুরো ব্যাপারটাই হবে কলম্বিয়ার কাছে কোনও দ্বীপে। কিন্তু সেখানকার ধর্মযাজকরা বিপুল আপত্তি তোলায় ‘সেক্স আইল্যান্ড’-এর ঠিকানা বদলে গিয়ে দাঁড়ায় এক ক্যারিবিয়ান দ্বীপে।
২০১৭-এ ৪,৬০০ পাউন্ডের বিনিময়ে প্রত্যেক পুরুষের ভাগ্যে জুটেছিল লাইভ সেক্স শো, ইয়ট পার্টি, বিপুল নেশা আর দু’জন করে ‘লাতিনা’ সুন্দরী। সেই সঙ্গে ছিল ‘সারপ্রাইজ’। সেটা যে কী, তা খোলসা করেননি কেউই।
‘সেক্স আইল্যান্ড’-এর ওয়েবসাইট থেকে জানা যাচ্ছে, ২০১৭-এ সেখানে ৬০জন নারী উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা প্রত্যেকেই সংক্রমণ-মুক্ত। তবে এই চার দিন কোনও রকমের ছবি তোলা চলবেনা— এমন নিষেধাজ্ঞাও জারি রেখেছিলেন উদ্যোক্তারা।
ইউটিউবে আপলোড করা হয়েছিল এক বিজ্ঞাপনী ভিডিও। ব্যবস্থা ছিল চার দিনের ট্রিপকে দীর্ঘায়িত করারও। ১৬ জন পুরুষ অতিরিক্ত ৭,৬০০ পাউন্ড দিয়ে সাত দিন কাটান এই ‘সেক্স আইল্যান্ড’-এ।
জানা যায়, ২০১৮ সালেও পুরনো রুপে ফিরছে আইল্যান্ডটি। সেইভাবেও বিজ্ঞাপনও পড়ে গিয়েছে ‘সেক্স আইল্যান্ড’-এর ওয়েবসাইটে। তবে, কবে খুলছে তা এখনও বলা হয়নি।