ভুলে যাই বলে ভুলের খেসারতও দিতে হয় প্রায়ই আমাদের। ভুল মানুষেই করে কিন্তু অতিরিক্ত ভুলে যাওয়া ভালো লক্ষণ নয়। একই কাজ বার বার করলে অনেক বড় বিপদের মুখোমুখি হতে পারেন যে কোন সময়। কিছু কৌশল খাটালে ভুলে যাওয়া এড়ানো যেতে পারে প্রত্যাহিক কাজে।
লিখে রাখুন
বেশির ভাগ গুরুত্বপূর্ণ কাজের কথা লিখে রাখা হয় না। ডায়েরি কিংবা মুঠোফোনের অ্যাপে আপনার গুরুত্বপূর্ণ কাজ ও শেষ দিনের কথা নোট আকারে লিখে রাখুন।
সহজ কাজ আগে করুন
আমরা মাথায় সব সময় একগাদা কাজের হিসাব কষতে থাকি। কখন কোন কাজ করব বলে নিজের সঙ্গে অনবরত বোঝাপড়ার মধ্যে থাকি। দিনের শুরুতেই সহজ কিংবা সংক্ষিপ্ত কাজগুলো করে ফেলুন। যে কাজে একটু বেশি সময় প্রয়োজন, তা দিনের মধ্যভাগে করার চেষ্টা করুন।
পরিকল্পনা করুন
খুব কম মানুষই আছেন, যাঁরা আগামীকাল কী করবেন, সে পরিকল্পনা আজই করে ফেলেন। প্রতিদিন আগামীকাল যা যা করবেন, তা একটি কাগজে লিখে ফেলুন। কাজের গুরুত্ব অনুসারে কোন কাজ কখন করবেন, তা শেষ করার পরিকল্পনা করুন।
কাজ ভাগ করুন
একই দিনে বিদ্যুৎ বিল, পানির বিল, ক্রেডিট কার্ডের বিল জমা দিতে চান অনেকে। সব এক দিনের জন্য রেখে দিলে শেষ দিনে গিয়ে বিপদে পড়তে হয়। তাই দিন অনুসারে কাজ ভাগ করে নিন । সব কাজ এক দিনে না করে কাজের গুরুত্ব অনুসারে একেক কাজ একেক দিনে করা ভালো।
কাজে যুক্ত করুন
হয়তো হুট করে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন, তা-ও বিদ্যুৎ বিল জমা দেওয়ার কাজটি করবেনই। দরকার হলে নিজের কাজ বাড়ির অন্যদের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নিন।
প্রযুক্তির সহায়তা নিন
এখন তো মুঠোফোন বা ওয়েবসাইটের মাধ্যমেও বিদ্যুৎ বিল থেকে কার্ডের বিল—সবই প্রদান করা যায়। সরাসরি হাজির না হয়ে বিল দেওয়া যায়। এমনকি স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রতি মাসেই বিল কেটে নেওয়ার সুযোগ আছে। ভুলে যাওয়ার অভ্যাস যাদের, তারা এমনটা করে অহেতুক জরিমানার হাত থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
খেয়াল করুন
আমরা কোথাও গেলে ভুলে চাবি রেখে আসি। তবে মুঠোফোন ভুলে ফেলে রেখে আসার ঘটনা কম ঘটে। কারণ মুঠোফোন আমাদের প্রতি মুহূর্তেই লাগে বলে আমরা অবচেতনভাবে মুঠোফোনের গুরুত্ব বুঝে ফেলি, আর তা কখনোই হাতছাড়া করি না। চাবির ক্ষেত্রেও গুরুত্ব বুঝুন, দেখবেন কখনোই চাবি হারাবেন না।