মার্কিন পদার্থবিজ্ঞানী লিয়ন লেডারম্যান। তিনিই সর্বপ্রথম ঈশ্বরকণা সম্পর্কে জানান বিশ্বকে। ১৯৯৩ সালে নিজের বইয়ে হিগস-বোসন কণার বর্ণনা দিয়ে তিনি লিখেছিলেন- ‘গডস পার্টিকল’।
১৯৮৮ সালে পদার্থবিদ্যায় নোবেল পুরস্কার পান তিনি। তবে সারাজীবন রাখতে পারেননি সেই নোবেল পুরস্কার। ২০১৫ সালে নিজের চিকিৎসার জন্য সেই নোবেল পদক নিলামে তুলতে হয়েছিল এ মার্কিন পদার্থবিজ্ঞানীকে।
অবশেষে ৩ অক্টোবর ৯৬ বছর বয়সে রেক্সবার্গের আইডাহো শহরের একটি হাসপাতালে মারা যান সেই নোবেল বিজয়ী বিজ্ঞানী লিয়ন লেডারম্যান। পৃথিবী ছেড়ে চলে গেলেন তিনি, কিন্তু রেখে গেলেন হিগস-বোসন নিয়ে তার ব্যাখ্যা করা মহামূল্যবান তত্ত্ব। শেষ বয়সে দীর্ঘদিন ধরে ডিমেনশিয়ায় ভুগছিলেন প্রবীণ এ বিজ্ঞানী।
১৯২২ সালে নিউইয়র্ক শহরে জন্ম লেডারম্যানের। তার বাবার একটি ধোপাখানা ছিল। নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারে বড় হওয়া এ বিজ্ঞানী নিউইয়র্কের সিটি কলেজে রসায়ন নিয়ে পড়াশোনা করেন। স্নাতক পাসের পরেই সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়ে অংশ নেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে।
যুদ্ধ থেকে ফিরে এসে পুনরায় পড়াশোনা শুরু করেন। ১৯৫১ সালে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে সাব-অ্যাটমিক পার্টিকল নিয়ে শুরু করেন গবেষণা। ১৯৭৮-৮৯ সাল পর্যন্ত ফার্মিল্যাবের ডিরেক্টর ছিলেন তিনি।
১৯৮৮ সালে ‘মিউয়ন নিউট্রিনো’ নামে একটি সাব-অ্যাটোমিক পার্টিকল আবিষ্কার করার জন্যই পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পেয়েছিলেন লেডারম্যান। পরবর্তী সময়ে ডিমেনশিয়া ধরা পড়ার পর নিলামে তোলেন সেই নো বেলের সেই সোনার পদক। ৭ লাখ ৬৫ হাজার ডলারে সেটি বিক্রি করেন।