ইন্দোনেশিয়ার কেলিমুতু আগ্নেয়গিরির তিনটি হ্রদের পানির রঙ বদলানোর খেলা নিয়ে পর্যটকদের কৌতুহলের শেষ নেই। কয়েক মাস আগে যেখানে পানির রঙ সাদা, ফিরোজা নীল ও লাল ছিল, কয়েক মাস পরে তা দাঁড়ায় কালো, ফিরোজা নীল ও কোকাকোলা ব্রাউন রঙে। আজও জানা যায়নি এর রহস্য।
কেলিমুতুর পশ্চিম প্রান্তের হ্রদ তিওউ আতা ম্বুপু-র রঙ সাধারণত নীল। আর দু’টি হ্রদ তিওউ নুওয়া মুরি কু ফাই ও তিওউ আতা পোলো-র রঙ যথাক্রমে সবুজ এবং লাল।কিন্তু এই রঙ সর্বদা এক থাকে না। প্রায়শই এরা রঙ বদলায়।
বদলাতে বদলাতে হ্রদের পানি মাঝে মাঝে কালোও হয়ে যায়। কয়েক মাস আগে যেখানে পানির রঙ সাদা, ফিরোজা নীল ও লাল ছিল, কয়েক মাস পরে তা দাঁড়ায় কালো, ফিরোজা নীল ও কোকাকোলা ব্রাউন। এই ঘটনা ২০০৯-এর।
আবার ২০১০ এ তিনটি হ্রদের পানির রঙই সবুজের তিন রকম শেড হয়ে দাঁড়ায়।
এ ব্যাপারে বিশেষজ্ঞরা জানান, জলাশয়ের পানির রঙয়ের জন্য দায়ী থাকে ওই জলে অবস্থানরত ব্যাকটেরিয়া, শ্যওলা ইত্যাদি। কিলিমুতুর হ্রদগুলোর রং-রহস্য কিন্তু সেদিকে হাঁটে না। অনেকে মনে করেন এই রং-বাহারের পিছনে আগ্নেয়গিরির গ্যাসের কিছু ভূমিকা রয়েছে। কিন্তু এই বিষয়ে কিছু নিশ্চিত ভাবে বলা যায় না।