Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২০ শনিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

দেশে উন্নয়ন হচ্ছে, মানুষ এখন শান্তিতে আছে: প্রধানমন্ত্রী

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩ অক্টোবর ২০১৮, ০৬:২৬ PM
আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০১৮, ০৬:২৬ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, প্রায় ১০ বছরের মত ক্ষমতায় আছি। এমন কোনো অন্যায় কাজ করিনি যে ক্ষমতা ছেড়ে দিতে হবে। ২০১৮ সালে বন্দি শালায় থাকাকালীন সময়ে দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা নিয়ে পরিকল্পনা করেছি। এটি এখন বাস্তবায়ন করছি। উন্নয়ন হচ্ছে। মানুষ এখন শান্তিতে আছে।

বুধবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে বেসরকারি টেলিভিশন ডিবিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ মনজুরুল ইসলামের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

জাতিসংঘের ৭৩তম সম্মেলনের যোগদান উপলক্ষে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সফরকালে প্রধানমন্ত্রীর বেশকিছু প্রাপ্তিসহ কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে বৈঠক ও তার ফলাফলের বিস্তারিত তুলে ধরেন।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সফরে ১৮টি ইভেন্টে আলোচনা ও ১১ জনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি। বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে বিভিন্ন আলোচনা হয়েছে। তারা দেশের নির্বাচন নিয়ে কোনো পরামর্শ দেননি; আলোচনাও হয়নি। তবে সবাই আমাকে উইস করেছে; আবারও যেন আমরা ক্ষমতায় আসি। রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে আবারও তাদের সঙ্গে যেন দেখা হয়।

তিনি বলেন, আমাদের সরকারের সময়ে এ পর্যন্ত ৬ হাজার নির্বাচন হয়েছে। কোনো অনিয়ম হয়নি। সম্প্রতি সিলেট সিটি নির্বাচনে আমরা হেরেছি। ক্ষমতায় থাকা সত্ত্বেও কোনো হস্তক্ষেপ করিনি। তাই আগামীতেও সুস্থ নির্বাচন হবে। আমি আশা করছি, সব দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। আর যারা আসবে না এটি তাদের বিষয়।

সংবাদ সম্মেলনে চ্যানেল আইয়ের পরিচালক ও বার্তাপ্রধান শাইখ সিরাজের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন হবে। দেশের মানুষও ভোট দেবে। দেশে অনেক রাজনৈতিক দল। নির্বাচনে কোনও দল আসবে, আর কোন দল আসবে না, সে সিদ্ধান্ত তো আমরা নিতে পারি না। তবে আমাদের আশা, সব দলই নির্বাচনে আসবে।’

বিএনপিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘২০১৪ এর নির্বাচনে আমার চেষ্টা ছিল, সবাই অংশ নিক। কিন্তু সেই নির্বাচন ঠেকানোর নামে পুড়িয়ে পুড়িয়ে মানুষ মারা হলো। আপনারা যাদের নির্বাচনে চাইছেন, তারা মানুষ পুড়িয়ে মারে। আর যারা মানুষ পুড়িয়ে মারে, তাদের জন্য এত কান্নাকাটি কেন?’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০১৪ এর নির্বাচন ঠেকানোর নামে যাদের পুড়িয়ে মারা হয়েছে, তারা কেমন আছে, কেউ কি খোঁজ নিয়েছেন? আমি অনুরোধ করবো, ওই সময় যাদের পুড়িয়ে মারা হয়েছিল, তাদের পরিবার কেমন আছে, তাদের খোঁজ নিন। মানুষ পুড়িয়ে মারার ওই অন্দোলনে অনেক মানুষ কর্মক্ষমতা হারিয়েছে, তাদের সংসার কেমন চলছে? যে দলের আন্দোলন মানুষ পুড়িয়ে মারা, তাদের জন্য এতো মায়াকান্না কেন?’

তিনি বলেন, ২০১৪ সালে বিএনপির আন্দোলনে ক্ষতিগ্রস্ত অনেকে আমার কাছে আসে। আমি তাদের সাহায্য করি। যাদের কারণে মানুষের এই অবস্থা, তাদের জন্য মায়াকান্নার দরকার আছে বলে আমি মনে করি না। তাদের বিরুদ্ধে আরও নানা অভিযোগ আছে, মামলা আছে। ওই সব অভিযোগ-মামলার সাক্ষীও আছে অনেক। খালেদা জিয়া, তার ছেলে, তার দলের অনেকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আছে।

শেখ হাসিনা বলেন, উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকবে। মানুষ নৌকায় ভোট দেবে। কারণ, একমাত্র নৌকা ক্ষমতায় থাকলে উন্নয়ন হয়।

উল্লেখ্য, শেখ হাসিনা গত ২৭ সেপ্টেম্বর নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দফতরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৩তম অধিবেশনে ভাষণ দেন এবং জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে বৈঠক করেন।

প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের পাশাপাশি নেদারল্যান্ডসের রানি ম্যাক্সিমা, এস্তোনিয়ার প্রেসিডেন্ট ক্রেস্টি কালজুলেইদ এবং যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেইওর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেয়া সংবর্ধনা সভায়ও যোগ দেন। প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গা সংকট, সাইবার নিরাপত্তা, শান্তিরক্ষা কার্যক্রম, নারীর ক্ষমতায়ন, নারী শিক্ষা এবং বৈশ্বিক মাদকদ্রব্য সমস্যা নিয়ে কয়েকটি উচ্চপর্যায়ের অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

Bootstrap Image Preview