Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৮ বৃহস্পতিবার, মার্চ ২০২৪ | ১৪ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

দামের দৌড়ে মুরগিকে হারিয়ে এগিয়ে কাঁচা মরিচ!

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০২:৪২ PM
আপডেট: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০২:৪২ PM

bdmorning Image Preview


বিভিন্ন উৎসব বা বৃষ্টির মৌসুমে কাঁচা মরিচের দাম স্বভাবতই বাড়ে। কিন্তু এখন দাম বাড়ার জন্য মৌসুমের প্রয়োজন হয় না। বাজারে কাঁচা মরিচের দাম হরহামেশাই বেশি থাকে। তবে বর্তমানে বাজারে কাঁচা মরিচের দাম ১ কেজি মুরগির দামকেও হার মানিয়েছে।

আজ শুক্রবার রাজধানীর মিরপুর-৬ নং বাজার, কারওয়ানবাজার ও মোহাম্মদপুর টাউনহল বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

বাজারে মানভেদে আজ কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৬০ টাকা কেজি। বাজারে ভালো মানের দেশি বিন্নি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৬০ টাকায়। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ৮০-১০০ টাকায়। আর সাধারণ মানের কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ৬০-৮০ টাকায়।

অপরদিকে বাজারে গত সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগির দাম বেশি থাকলেও চলতি সপ্তাহে কিছুটা কমেছে মুরগির দাম। আজ বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৩০ টাকায়। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ১৪০-১৫০ টাকা। অর্থাৎ এক কেজি মুরগির চেয়ে এক কেজি কাঁচা মরিচের দাম বেশি।

কাঁচা মরিচের অস্বাভাবিক দাম বাড়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে কারওয়ান বাজারের সবজি বিক্রেতা জয়নুল বিডিমর্নিংকে বলেন, এ বছরই কাঁচা মরিচের দাম সবচেয়ে বেশি উঠানামা করেছে। এর আগে কখনো এরকম অবস্থা হয়নি।

তিনি বলেন, দাম কমানো বাড়ানোর ব্যাপারে আমাদের কোনো হাত নেই। আমরা যেমন দামে আনি তেমন দামেই বিক্রি করি।

মিরপুর-৬ নম্বর বাজারের লাল মিয়া বিডিমর্নিংকে বলেন, গত সপ্তাহে কম দামে কিনেছি। তাই দাম কম ছিল। কিন্তু এ সপ্তাহে ফের বেশি দামে কিনতে হয়েছে কাঁচা মরিচ। তাই দাম বেশি।

ব্রয়লার মুরগির দাম কমার ব্যাপারে ব্যবসায়ী আনিস বিডিমর্নিংকে বলেন, গত সপ্তাহে চাহিদার তুলনায় বাজারে সরবরাহ কম থাকায় দাম কিছুটা বেশি ছিল। কিন্তু এ সপ্তাহে বাজারে মুরগির সরবরাহ বেশি হওয়ায় দাম কমেছে।

এদিকে বাজারে সব সবজিরর দামই কিছুটা বেড়েছে। বাজারে মানভেদে প্রতি কেজি বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকায়। প্রতি কেজি পটল, ঝিঙা, ঢেঁড়স, কাকরোল, ধুন্দল, লতি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়।

আর শীতের আগাম সবজির দামও বেশি। বাজারে মানভেদে প্রতি কেজি শিম বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা। যা গত সপ্তাহে একই দামে বিক্রি হয়েছে। আর প্রতি কেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১০০-১২০ টাকা। প্রতি পিস ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকায়। প্রতি পিস পাতাকপি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকায়।

অপরদিকে দীর্ঘদিন বাজারে পেঁয়াজের দাম বেশি থাকলেও। গত দুসপ্তহে কিছুটা কমেছে পেঁয়াজের দাম। চলতি সপ্তাহে বাজারে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ গত সপ্তাহের মতই ৪৫-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা আগে ছিল ৫৫ টাকা। আর আমাদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৫-৩০ টাকায়। যা আগে ছিল ৩৫ টাকা।

কারওয়ানবাজারের খুচরা পেঁয়াজ ব্যবসায়ী আয়নাল বিডিমর্নিংকে বলেন, বাজারে দুসপ্তাহ ধরেই পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমেছে। সামনে পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়লে পেঁয়াজের দাম আরো কমবে।

রাজধানীর মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মানভেদে প্রতি কেজি রুই ২২০-৩৫০ টাকা, কাতলা ৩০০-৪০০ টাকা, তেলাপিয়া ১২০-২০০, আইড় ৭০০-৮০০ টাকা, মেনি মাছ ৪৫০-৫০০, বেলে ৩৬০-৫০০ টাকা, বাইন ৪০০-৬০০ টাকা, গলদা চিংড়ি ৫৫০-৮০০ টাকা, পুঁটি ২০০০-৩০০ টাকা, পোয়া ৪০০-৬০০ টাকা, মলা ৩২০-৪০০ টাকা, পাবদা ৪০০-৫০০ টাকা, বোয়াল ৪৫০-৫০০ টাকা, শিং ৪০০-৮০০, দেশি মাগুর ৫০০-৭০০ টাকা, শোল ৫০০-৭০০ টাকা, পাঙ্গাস ১৪০-১৬০ টাকা, চাষের কৈ ২০০-২৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রামের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৭০০ টাকায়।

বাজারে প্রতি আটি লাল শাক বিক্রি হচ্ছে ১০-১৫ টাকা, প্রতি আটি মুলা শাক ১৫ টাকা, পুইশাক ১৫-২০ টাকা এবং অন্যান্য শাক পাওয়া যাচ্ছে মোটামুটি ১৫-২০ টাকার মধ্যে।

Bootstrap Image Preview