পানির আরেক নাম জীবন। চিরসত্য এই কথাটিকে পাল্টে দিলেন ভারতের পুরুলিয়ার বৃদ্ধ শ্রীকান্ত কুইরি। একশ তিন বছর বয়সী এ বৃদ্ধ পানি পান করেন না।
তবে ঠিক কবে থেকে পানি না খেয়েই কাটাতে শুরু করেছেন তা ভুলে গেছেন। কেউ জিজ্ঞেস করলে বলেন, ‘জল তেষ্টা না পেলে খাব কী করে? প্রচণ্ড গরমেও আমার জল তেষ্টা পায় না। জোর করে খেলে বমি হয়।’
ভারতীয় এক গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, জোর করে পানি খাওয়াতে গেলেও তিনি বমি করে দেন। তার এই অভ্যাস দেখে চিকিৎসকরা রীতিমতো অবাক।পুরুলিয়ার বাঘমুন্ডির বাসিন্দা শ্রীকান্ত কুইরি। ছোটবেলা থেকেই পানির প্রতি বীতরাগ তার।
তবে আশ্চর্যের বিষয়, গত ত্রিশ বছরে তিনি একবারও হাসপাতালমুখো হননি। বৃদ্ধের ছেলে নিত্য কুইরি জানান, ‘জন্ম থেকে বাবাকে কখনো পানি খেতে দেখিনি। দু-একবার শরীর খারাপ হওয়ায় ডাক্তার তাকে ওষুধ খেতে দিয়েছিল। কিন্তু সেগুলোও তিনি পানি ছাড়াই চিবিয়ে খেয়েছিলেন!
পানির প্রতি এমন অনীহার কারণে স্থানীয়রা বৃদ্ধের নাম দিয়েছেন ‘দিয়া’, যার অর্থ উইপোকা। খুব শক্তপোক্ত চেহারা তার। সকালে উঠেই তিনি নিমের ডাল দিয়ে দাঁত মাজেন। তারপর লাঠি ভর দিয়ে তিন কিলোমিটার দূরে নিজের জমি দেখতে যান।
বাড়ি ফিরে চিড়া কিংবা মুড়ি দিয়ে নাশতা করেন। দুপুরে ডাল আর সবজি দিয়ে ভাত। মাছ-মাংসও খান মাঝে মাঝে। বিকাল বা রাতের খাবারেও তার একই রুটিন। তবে নিমপাতা বা উচ্ছে খেতে খুব ভালোবাসেন তিনি। কিন্তু পানির ক্ষেত্রে, একেবারে না!