Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২০ শনিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

এলাকাবাসীর গণপিটুনিতে ভয়ঙ্কর খুনি জলিলের অপরাধ জীবনের সমাপ্তি

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০২:৩১ PM
আপডেট: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০২:৩১ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


একের পর এক রাজনৈতিক দলবদল। দিন মজুরের কাজ থেকে শুরু করে মানুষ হত্যা, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, ডাকাতি-সবই করেছেন আব্দুল জলিল একসময়ে জাতীয় পার্টি পরে বিএনপি তারপর বর্তমান সরকারি দল আওয়ামী লীগে যোগ দেন সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সভাপতিও হন তার আগে ছিলেন তরুণ লীগের নেতা ২০১৩ সালে সহিংসতার সময় বিএনপি-জামায়াতের মিছিলে নেতৃত্বও দেন। 

কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের শংকরপুর গ্রামের ইয়াকুব আলীর ছেলে জলিল সর্বশেষ গত সেপ্টেম্বর খুন করেন কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেনকে এই হত্যাকাণ্ডের মধ্যদিয়ে সমাপ্তি ঘটে তার অপরাধ জীবনের শনিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাতে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে গণপিটুনি দিয়ে এলাকাবাসী তাকে নির্মমভাবে হত্যা করে

২০১৪ সালের জানুয়ারি আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে দ্বিতীয় মেয়াদে সরকার গঠনের পর নিজেদের কাজে ব্যবহার আধিপত্য বিস্তার করতে কালিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ওহেদুজ্জামান এই জলিলকে আওয়ামী লীগে যোগদান করান প্রথমে তরুণ লীগ পরে শ্রমিক লীগের সভাপতি হন জলিলআওয়ামী লীগের যোগদানের পর সখ্যতা গড়ে ওঠে শ্যামনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সংসদ সদস্য জগলুল হায়দারের সঙ্গে বিভিন্ন সময় সরকারের উন্নয়ন প্রকল্প বাগিয়ে নিতেন এই জলিল এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন কালিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাঈদ মেহেদী

তবে সরকারি দল আওয়ামী লীগে যোগদানের বিষয়টি অস্বীকার করে কালিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ওহেদুজ্জামান বলেছেন, তাকে দলে যোগদান করানো হয়নি বা তিনি কখনও তাকে কোনো রুপ সহযোগিতা করেননি

জানা গেছে, উপজেলা ইউনিয়নের বিভিন্নস্থানে এই খুনি জলিলের লাগানো ফেস্টুনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ওহেদুজ্জামানের ছবি রয়েছে এলাকায় প্রচার রয়েছে জলিল তার পোষ্যপুত্র হিসেবে খ্যাত তার প্রভাব খাঁটিয়ে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করতেন জলিল তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আওয়ামী লীগ নেতা ওহেদুজ্জামান

সহযোগিতার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন শ্যামনগর আসনের সংসদ সদস্য জগলুল হায়দার বলেন, আমি তাকে দলে আনিনি আর আমি কালিগঞ্জের সাংগঠনিক বিষয়গুলো দেখার কেউ নই সেখানকার আওয়ামী লীগ নেতারাই বিষয়ে ভালো বলতে পারবেন

২০০৯ সালে কাশিমাড়ি ইউনিয়নের জয়নগর গ্রামে আওয়ামী লীগ কর্মী মাজেদ পাড় খুন হন মরদহেটি সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেয়া হয় এই হত্যাকাণ্ডেও জলিল জলিল সরাসরি জড়িত ছিলেন তার বিরুদ্ধে মামলা হলেও প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতার ছত্রচ্ছায়ায় মুক্ত হয়ে যান জলিল

২০১৩-১৪ সালে কালিগঞ্জে বন্দুকযুদ্ধে নিহত ওলিউর রহমানের পরিবারের দাবি, জলিল টাকা দিয়ে তাকে হত্যা করিয়েছে

কালিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাসান হাফিজুর রহমান জানান, শনিবার রাতে জলিলকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে হত্যা করেছে গ্রামবাসী তার বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত চারটি হত্যাসহ ডাকাতি, ছিনতাই, চাঁদাবাজির ১২টি মামলার বিষয়ে তথ্য পাওয়া গেছে

Bootstrap Image Preview