এলএনজি (তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস) চলে আসায় গৃহাস্থালি বাদে শিল্প কারখানা, বিদ্যুৎকেন্দ্র, ফিলিং স্টেশন, সার কারখানা ও চা প্রক্রিয়াজাত করণ শিল্পে নতুন করে গ্যাসের দাম সহনীয় পর্যায়ে বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী।
শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সেমিনারে তার ইঙ্গিত দিয়ে তিনি আরও জানিয়েছেন, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনকে (বিইআরসি)সহনীয়পর্যায়ে গ্যাসের দাম বাড়াতে বলা হয়েছে।
ফোরাম ফর এনার্জি রিপোর্টার্স বাংলাদেশ (এফইআরবি) এবং সোলার মডিউল ম্যানুফ্যাকচারিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এসএমএমএবি) যৌথভাবে এ সেমিনারের আয়োজন করে।
গ্যাসের দাম বৃদ্ধির ওপর গত জুলাইয়ে গণশুনানি হয়েছে। এখনও কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি বিইআরসি। তবে গ্যাসের দাম শিগগিরই বাড়ছে বলে বিভিন্ন মাধ্যমে গুঞ্জন রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে শনিবার গ্যাসের দাম বাড়ানোর ইঙ্গিত দিলেন প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানী উপদেষ্টা।
এর আগে গত বছর মার্চ মাসে গ্যাসের দাম বাড়িয়েছিল সরকার। এর তিন মাস পরই গ্যাসের দাম ফের বাড়ানো হলেও হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞায় মার্চ মাসের নির্ধারিত দামে ফিরে গিয়েছিল গ্যাসের দাম। আইন অনুযায়ী একই অর্থবছরে দুই দফায় জ্বালানির দাম বাড়াতে পারে না বিইআরসি।
বিদেশ থেকে আমদানি করা এলএনজির কারণেই মূলত এবার গ্যাসের দাম বাড়তে চলেছে।গ্যাসের দাম বৃদ্ধি নিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তৌফিক-ই-ইলাহী বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন দাম একবারে বাড়ে না, ধীরে ধীরে বাড়ে। এখন যেহেতু এলএনজি এসে গেছে। আমরা অপেক্ষা করছি, দাম বাড়ে কি না।