Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১২ শনিবার, অক্টোবার ২০২৪ | ২৬ আশ্বিন ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

সিরিয়া সীমান্তে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন তুরস্কের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১১:৩৪ AM
আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১১:৩৪ AM

bdmorning Image Preview


তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলীয় সিরিয়ার সীমান্তে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন অব্যাহত রেখেছে তুরস্ক। সিরিয়া সরকার এবং তাদের মিত্র বাহিনীর বিদ্রোহীদের উপর আক্রমণের পূর্বাভাসের কারণে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন জারি রেখেছে তুরস্ক সরকার। 

বৃহস্পতিবার সকালে সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় হামা প্রদেশ সংলগ্ন তুরস্কের মোরেক শহরের একটি সেনা ঘাঁটিতে এসে পৌঁছায় দেশটির সেনাবহর।

আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, তারা হাতায় প্রদেশের একটি বেসামরিক বিমানবন্দরে সামরিক বিমানে করে বেশ কিছু সেনা নামিয়ে দেয়। যেখান থেকে তুর্কি-সিরিয়া সীমান্তের দূরত্ব মাত্র ৫০ কিলোমিটার। তবে ওই সেনাবহর সীমান্তের দিকে অগ্রসর হচ্ছে কিনা তা জানা যায়নি।

তুরস্কে ইতোমধ্যে ৩৫ লাখ সিরীয় শরণার্থীকে আশ্রয় দেয়া হয়েছে। দেশটির শেষ বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত অঞ্চল ইদলিবে রাশিয়ার সেনা ও বিমানবাহিনী সমর্থিত সিরীয় সেনারা আরো হামলা চালাতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

তুরস্কের নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ মেতিন গুরকান বলেন, আত্মরক্ষার জন্যই সীমান্তে সেনা মোতায়েন জোরদার করা হয়েছে। আর আপনারা যদি খেয়াল করেন তাহলে দেখবেন যে অস্ত্রগুলো নেওয়া হয়েছে সেগুলোর সবটাই আত্মরক্ষার উদ্দেশে। তাই আমি মনে করি না ইদলিবে সামরিক হস্তক্ষেপ কিংবা আক্রমণের উদ্দেশ্য আছে তুরস্কের।

ব্রিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত ওই অঞ্চলে গত দু'সপ্তাহে সিরিয়া এবং রাশিয়ার বিমান হামলার ফলে ইতোমধ্যে ৪০ হাজারের বেশি মানুষ উদ্বাস্তু হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘ। সংস্থাটির অনুমান, এই প্রদেশটিতে পুরোদমে হামলা শুর হওয়ার পর থেকে ৯ লাখের মতো বেসামরিক নাগরিক বাস্তুহারা হয়ে এ অঞ্চল ছেড়ে পালিয়ে গেছে।

গত দুই সপ্তাহে ইদলিবে রুশ-সিরীয় হামলা শুরু হলে প্রায় ৪০ হাজার অধিবাসী সেখান থেকে নিরাপদ আশ্রয়ে পালিয়ে গেছেন। জাতিসংঘের হিসাবে, পুরোদমে হামলা শুরু হলে ৯ লাখের বেশি বেসামরিক নাগরিক প্রদেশটি থেকে পালিয়ে যেতে পারেন।

ইদলিবে হামলার ব্যাপারে তুর্কি সরকার বারবার সিরিয়াকে হুশিয়ার করে আসছে। এতে করে তুরস্কের দিকে ফের বড় ধরনের শরণার্থী ঢল নামতে পারে বলে তাদের আশঙ্কা।

Bootstrap Image Preview