যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব উপকূলে আঘাত হেনেছে হারিকেন ফ্লোরেন্স। এখনো ঘূর্নিঝড়টির তাণ্ডব শেষ হয়নি। ইতোমধ্যেই মোরহেড সিটির অংশবিশেষ জলোচ্ছ্বাসের কবলে পড়ে প্লাবিত হয়েছে। ফলে ঠিক কোন কোন এলাকায় কতখানি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা জানা যায়নি। বন্যার পানি বেড়ে ১৩ ফুট পর্যন্ত পৌঁছতে পারে বলে সতর্ক করেছেন আবহাওয়াবিদরা।
দেশটির কর্মকর্তারা সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, হারিকেন ফ্লোরেন্সের প্রভাবে উত্তর ও দক্ষিণ ক্যারোলিনায় প্রাণঘাতী ঝোড়ো ঢেউ আঘাত হানতে পারে। এ সময় বাতাসের গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ১৫৫ কিলোমিটার।
ইতোমধ্যে ওইসব অঞ্চলের পরিস্থিতি খারাপ হতে শুরু করেছে। প্রায় ১ লাখ বাড়ির বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
এর আগে মার্কিন কেন্দ্রীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার (ফেমা) প্রশাসক ব্রক লং বলেছেন, ঝড়ের প্রভাবে বিভিন্ন এলাকায় বিপর্যয়কর বন্যা দেখা দিতে পারে। তিনি বলেন, ফ্লোরেন্স দুর্বল হয়ে পড়লেও এটি এখনো খুবই বিপজ্জনক।
আগেই বলা হয়েছিল, এ ঝড়ের প্রভাবে কয়েক ইঞ্চি নয় বরং কয়েক ফুট পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হতে পারে ক্যারোলাইনা এবং ভার্জিনিয়ায়।
ফ্লোরিডার মিয়ামিতে অবস্থিত এনএইচসি এর আগে জানিয়েছিল, ঘন্টায় সর্বোচ্চ ১৭৫ কিলোমিটার বাতাগের বেগ নিয়ে ফ্লোরেন্স সাউথ ক্যারোলাইনার মার্টল বিচ থেকে ৫২০ কিলোমিটার পূর্ব-দক্ষিণপূর্বে রয়েছে।
এদিকে, হারিকেন ফ্লোরেন্স কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়েছে। শক্তি কমে এটি এখন দুই মাত্রার হারিকেনে পরিণত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টার (এনএইচসি) বুধবার এ কথা জানিয়েছে। তবে দুর্বল হলেও এটি বিপর্যয় সৃষ্টি করতে পারে বলে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।