অস্ট্রেলিয়ার পশ্চিমাঞ্চলে সন্ধান মিলেছে স্বর্ণখচিত বিশালাকৃতির দু’টি পাথরের। খনি শ্রমিকরা মাটির নিচ থেকে পাথর দু’টি উদ্ধার করেছেন। অনুমান করা হচ্ছে, পাথর দু’টির মূল্য হবে কোটি ডলার। তাও ছোটখাটো নয়, প্রায় ৯৫ কিলোগ্রাম ও ৬৩ কিলোগ্রাম ওজনের স্বর্ণের খণ্ড। খনিটা নিকেলের হলেও পাথরের ভেতর থেকে বের হয়ে এল এসব স্বর্ণ।
রোববার টরেন্টোর সংস্থা রয়্যাল নিকেল কর্পোরেশন (আরএনসি) খনির ভেতর এমন ঘটনার কথা জানান।
তারা জানায়, অন্যদিনের মতোই অস্ট্রেলিয়ার বিটা হান্ট খনিতে ধাতু উত্তোলনের কাজ চলছিল। সেখানেই মিলে এ গোল্ডেন বোল্ডার।
আরএনসি জানায়, স্বর্ণমিশ্রিত বিশাল আকৃতির পাথরখণ্ড দুটির বড়টির ওজন প্রায় ৯৫ কিলোগ্রাম ও ছোটটির ওজন প্রায় ৬৩ কিলোগ্রাম। এতে প্রায় ১১০ কোটি ডলারের পাথর রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
স্থানীয় সংবাদ সংস্থাগুলোতে এ পাথর খণ্ড দুটিকে স্বর্ণখণ্ড বলে উল্লেখ করা হয়েছে। মজা করে অনেকেই একে বলেছেন গোল্ড রাশ।
কার্টিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েস্টার্ন স্কুল অব মাইনসের পরিচালক প্রফেসর স্যাম স্পিয়ারিং বলেন, এ অঞ্চলে প্রায়ই স্বর্ণের দলা উদ্ধার করে রেকর্ড হয়। তবে সেগুলো কয়েক আউন্সের কম।
উদ্ধার হওয়া দ্বিতীয় নমুনাটি ৬৩ কেজি ওজনের। এ পাথরটিতে ১৬০০ আউন্স স্বর্ণখচিত রয়েছে। যার বাজার মূল্য হবে ২৬ লাখ কানাডিয়ান ডলার।
প্রফেসর স্পিয়ারিং বলেন, প্রতি টন পাথরে সাধারণত দুই গ্রাম স্বর্ণের নির্যাস পান অস্ট্রেলিয়ার খনি শ্রমিকরা। তবে এ পাথরে প্রতিটনে দুই হাজার দুইশ’ গ্রাম স্বর্ণ রয়েছে।
নিকেলের খনিতে স্বর্ণ পাওয়ার ঘটনা এটিই নতুন নয়। মূলত অস্ট্রেলিয়ার নিকেল খনিগুলোতে নিয়মিত স্বর্ণ পাওয়া যায়। গত জুন মাসেও খনির আরও নিম্নপৃষ্ঠের পাথর থেকে স্বর্ণ পাওয়া গিয়েছিল। এ খনি থেকেই প্রতি টন পাথরের মধ্যে ২২০০ গ্রামের মতো স্বর্ণ পাওয়া গেছে।