সাধারণ পরিবারে তার জন্ম। তার বাবা পেশায় একজন চাকরিজীবী ছিলেন। তার মায়ের ছিল অনেক গুণ। গান গাইতেন, পেইন্টার, সঙ্গে গৃহপরিচারিকা। তখন তার বয়স ১৬।
স্কুলে পড়াশোনায় অত ভালো ছাত্র ছিলেন না। এই বয়সে তিনি পরীক্ষায় ফেল করে বাড়ি থেকে পালিয়ে দিল্লি চলে যান। সেখানে এক বস্তির ঘরে মাটিতে শুয়ে রাত কাটাতে হতো। একই ঘরে থাকত আরও ছয়জন। দিনে দুটি কাজ খবরের কাগজ বেচা আর রেস্টুরেন্টে বয়গিরি। এভাবে সাত মাস থাকার পর সেখানেই একদিন দেখলেন পত্রিকায় এক বিজ্ঞাপন। ব্যবসার নতুন আইডিয়া নিয়ে প্রতিযোগিতা। বিজয়ী পাবে ১০ হাজার ডলার সমপরিমাণ অর্থ।
১৬ বছর বয়সী অম্বরিশ মিত্রের বুদ্ধিই বিজয়ী হলো। তার আইডিয়াটি ছিল স্বল্প আয়ের নারীদের জন্য বিনামূল্যে ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দেওয়া। পুরস্কারের টাকা দিয়েই শুরু হলো সেই ব্যবসা। নাম তার উইমেন ইনফোলাইন। ব্যবসা সফল হলো। ১২৫ জন কর্মচারীকে চাকরি দিলেন তিনি। ব্যবসাটি এক সময় বিক্রি করে দিয়ে সেই টাকা নিয়ে তিনি চলে এলেন লন্ডনে। কিন্তু ব্রিটেনে ব্যবসা দাঁড় করানো সহজ ছিল না।
নানা ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে এক সময় তার সঙ্গে দেখা হলো ওমর তায়েবের। দুজনে মিলে শুরু করলেন নতুন এক মোবাইল ফোন অ্যাপ, যার নাম ব্লিপার। এর পর অম্বরিশ মিত্রকে আর পিছু হঠতে হয়নি। ব্লিপারের ব্যবসার পরিমাণ এখন দেড়শ কোটি ডলারেরও বেশি। লন্ডন, নিউইয়র্ক, স্যানফ্রান্সিসকো, সিঙ্গাপুর, দিল্লিসহ ১২টি শহরে ব্লিপারের অফিস রয়েছে।
কোম্পানিতে কাজ করেন মোট ৩০০ জন কর্মচারী। সারা বিশ্বে ৬৭ হাজার স্কুলে ব্লিপারের অ্যাপ ব্যবহৃত হচ্ছে।