আনন্দ টিভির পাবনা প্রতিনিধি এবং অনলাইন পোর্টাল জাগ্রত বাংলার সম্পাদক ও প্রকাশক সুবর্ণা নদী হত্যা মামলার আসামি মিলনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
রাজধানীর পুরান ঢাকার আরমানিটোলা থেকে শনিবার রাতে তাকে গ্রেফতার করে র্যাব-১২।
আটক মিলন নদী হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত তিন নম্বর আসামি। তিনি সুবর্ণা নদীর সাবেক শ্বশুর আবুল হোসেনের মালিকানাধীন ইড্রাল ফার্মাসিউটিক্যাল (ইউনানি)-এর ব্যবস্থাপক।
র্যাব-১২ পাবনা ক্যাম্পের কম্পানি কমান্ডার লে. কমান্ডার মো. রুহুল আমিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আজ রবিবার দুপুর ১২টায় পাবনায় র্যাব কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।
গত ২৮ আগস্ট রাতে শহর থেকে ভাড়াবাসায় প্রবেশের মুহূর্তে আনন্দ টিভির পাবনা প্রতিনিধি সুবর্ণা আক্তার নদীকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় নদীর মা মর্জিনা বেগম বাদী হয়ে মেয়ের সাবেক স্বামী-শ্বশুরসহ তিনজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৫-৬ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
মামলার পর নদীর সাবেক শ্বশুর আবুল হোসেনকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
সাংবাদিক নদীর প্রথম স্বামী জীবনের সঙ্গে ছাড়াছাড়ির পর মেয়ে জান্নাতকে (৭) নিয়ে মায়ের সঙ্গে বসবাস করতেন। এরই মধ্যে ২০১৬ সালের ৬ জুন ইড্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস এবং শিমলা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক আবুল হোসেনের ছেলে রাজিবুল ইসলাম রাজিবকে তিনি ভালোবেসে বিয়ে করেন।
গত বছরের ৩১ মে পাঁচ লাখ টাকা যৌতুক না দেয়ায় স্বামী রাজিব বাড়ি থেকে বের করে দেন বলে নদী অভিযোগ করেন। এর পর গত বছরের ৪ জুন তিনি পাবনার শিশু ও নারী নির্যাতন দমন আদালতে স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়িকে আসামি করে মামলা করেন। এ মামলা চলাকালীন গত বছরের ২২ জুলাই নদী এক সংবাদ সম্মেলনে তার জীবননাশ হতে পারে বলে সাংবাদিকদের কাছে তার উদ্বেগের কথা জানান।
নদীর বড় বোন চাম্পা খাতুন বলেন, গত ২৮ আগস্ট ছিল ওই মামলার সাক্ষীদের বক্তব্য শোনার দিন। এদিন নদীর পক্ষে ভালোভাবে সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়। ওই দিনই রাতে মুখ বাঁধা কয়েকজন দুর্বৃত্তের এলাপাতাড়ি চাপাতির আঘাতে নদী নির্মমভাবে খুন হন