রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপি ও নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ কেন্দ্রীয় নেতারা। আজ বুধবার বিকেলে বিএনপি নেতারা কার্যালয়ে অবস্থান করছিলেন।
বিএনটি নেতাদের দাবি, কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ভেতরে অমানবিক অবস্থায় আছেন নেতাকর্মীরা। কার্যালয়ের বাইরে পুলিশের ছোড়া টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেডের ধোঁয়া ভেতরে প্রবেশ করায় নেতাকর্মীরা শ্বাসকষ্টে ভুগছেন।
এ ছাড়া কার্যালয়ের চারপাশের দোকনপাট সবকিছু বন্ধ রয়েছে। এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক সদস্য সচিব আমান উল্লাহ আমানের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা কার্যালয়ের স্লোগান দিচ্ছেন নেতাকর্মীরা।
এদিকে সমাবেশ ঘিরে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিএনপির নেতাকর্মীরা ঢাকায় প্রবেশ করছেন বলে জানা গেছে।
আগামী ১০ ডিসেম্বর বিএনপির সমাবেশ ঘিরে কয়েকদিন ধরেই উত্তেজনা বিরাজ করছে। বিএনপি পল্টনে দলের কার্যালয়ের সামনে এ সমাবেশ করতে চায়। অন্যদিকে সরকার পল্টনে সমাবেশ করতে দিতে নারাজ। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপিকে এ সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে সেখানে সমাবেশ করবে না বিএনপি।
আজ সকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, ২৫ লাখ লোকের সমাগম নয়াপল্টনে কেনো করবে এখন আমাদের চিন্তার বিষয়। কেনো তারা সেখানে সমাবেশ করতে চায় সেটা আমাদের দেখার বিষয়। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবে বলেও জানান তিনি।
এদিকে সমাবেশের জন্য গ্রহণযোগ্য বিকল্প স্থান না দিলে নয়াপল্টনেই সমাবেশ হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপি নেতারা। তারা বলেন, সমাবেশ হবে শান্তিপূর্ণ। সমাবেশে বাধা দিলে যে কোনো পরিস্থিতির দায় সরকারকেই নিতে হবে বলে মন্তব্য করেন বিএনপি নেতারা।