রাজধানীর নয়াপল্টনে জড়ো হওয়া বিএনপির নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে রায়টকার দিয়ে মুহুর্মুহু টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করেছে পুলিশ। নেতাকর্মীরাও পাল্টা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে পুরো এলাকা যেন রণক্ষেত্রে রূপ নেয়।
আজ বুধবার দুপুরে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এই ঘটনা ঘটে।
এদিন সকালে থেকে দলীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে অবস্থান নিয়ে নয়াপল্টনে সমাবেশ করার পক্ষে স্লোগান দেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। এ সময় নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে মুহুর্মুহু টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে পুলিশ। ব্যবহার করা হয় রায়টকার ও জলকামান।
অন্যদিকে স্লোগান দিয়ে পাল্টা ইটপাটকেল ছুড়তে থাকেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। একপর্যায়ে ফকিরাপুল মোড় এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। পুলিশের ছোড়া অসংখ্য টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেডে ধোঁয়াচ্ছন্ন হয়ে পড়ে দলীয় কার্যালয় ও এর আশপাশ এলাকা।
বুধবার (৭ ডিসেম্বর) সকালে সরজমিনে দেখা যায়, নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে কয়েক প্লাটুন পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এ সময় তাদের সতর্ক অবস্থানে থাকতে দেখা গেছে।
নয়াপল্টন কার্যালয়ে প্রবেশের দুই পাশে ফকিরাপুল ও নাইটেঙ্গেল মোড়ে রাখা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ, সাজোয়া যান, জলকামান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশের মতিঝিল জোনের ডিসি হায়াতুল ইসলাম খান বলেছেন, বিএনপিকে সমাবেশ করার জন্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুমোদন দিয়েছে ডিএমপি। সেখানেই তাদের সমাবেশ করতে হবে। অন্যথায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের অবস্থানে কঠোর থাকবে।
বিকল্প স্থানে সমাবেশ করার বিষয়ে আলোচনা চলছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত আমরা সেই ধরনের কোনো নির্দেশনা পাইনি। নতুন কোনো স্থান না পাওয়া পর্যন্ত সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তাদের সমাবেশ করতে হবে। সেক্ষেত্রে আমাদের পক্ষ থেকে যত সহযোগিতা দেওয়ার আমরা দেবো।