Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ শুক্রবার, মার্চ ২০২৪ | ১৫ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

ছাত্রলীগের নতুন নেতৃত্বে আসছেন কারা

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬ ডিসেম্বর ২০২২, ১১:১৮ AM
আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০২২, ১১:৩৬ AM

bdmorning Image Preview


নতুন নেতৃত্বের অপেক্ষায় ছাত্রলীগ। দীর্ঘ চার বছর পর আজ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের ৩০তম সম্মেলন।

সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সম্মেলন শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।

এই সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব পাবে উপমহাদেশের সর্বপ্রাচীন এই ছাত্র সংগঠনটি। দীর্ঘ চার বছর পর নতুন নেতৃত্ব পাবে এই আশায় নেতা-কর্মীদের মাঝে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। পদপ্রত্যাশীরাও করছে শেষ মুহূর্তের দৌড়ঝাঁপ।

এর আগে গত ৩ ডিসেম্বর ঢাবি ছাত্রলীগের সম্মেলনে এসে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কমিটি, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কমিটি এবং ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ ছাত্রলীগের কমিটি একসঙ্গে ঘোষণা করা হবে।

সেই হিসেবে ধারণা করা হচ্ছে, আজই এসব কমিটির শীর্ষ নেতৃত্বে কারা আসছেন সেই নাম ঘোষণা হতে পারে। তাই ছাত্রলীগ কর্মীদের পাশাপাশি পদপ্রত্যাশীদের মাঝেও বিরাজ করছে চাপা উত্তেজনা।

এদিকে সম্মেলন উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিন, টিএসসি আর হাকিম চত্বরে রাজনৈতিক আড্ডায় মেতে থাকতে দেখা যায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ এবং কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের শীর্ষ পদপ্রত্যাশীদের। করছেন শেষ মুহূর্তের দৌড়ঝাঁপ। কমিটি ঘোষণার আগে প্রার্থীদের নিয়ে নানা ধরনের বিতর্কমূলক তথ্য ছড়ানো হয়। এসব ভুল তথ্য থেকে নিজেদের বাঁচাতে তারা নিজের স্বচ্ছ ইমেজ, পারিবারিক ব্যাকগ্রাউন্ড, শিক্ষার্থীবান্ধব বিভিন্ন কর্মকাণ্ড সম্পর্কিত তথ্যগুলো নিজের টাইমলাইনে প্রচার করছেন।

এদিকে সম্মেলন উপলক্ষে যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রস্তুতি উপকমিটির আহ্বায়ক ও ছাত্রলীগের সহসভাপতি অসীম কুমার বৈদ্য। তিনি বলেন, ‘সম্মেলনের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি আমরা। কেন্দ্রীয় নেতারাও পরিদর্শনে এসেছিলেন। আমরা সব কিছুর ওপর নজর রাখছি, কোথাও কোনো ঘাটতি রাখিনি।’

রোববার বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সম্মেলন উপলক্ষে প্রার্থীদের ব্যানার, ফ্যাস্টুন লাগানোতে নিষেধ থাকায় তেমন ব্যানার-ফ্যাস্টুন চোখে পড়েনি। ছাত্রলীগের সম্মেলনের নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সর্বসাধারণের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করছে। উদ্যানের গেটে কয়েক স্তরের পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। প্রবেশ গেটগুলোতে স্ক্যানার বসানো হয়েছে। এর বাইরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর কয়েক স্তরের নিরাপত্তা পেরিয়ে প্রবেশ করতে হবে সম্মেলনস্থলে।

দুই পদের জন্য ২৫৫ জনের মনোনয়নপত্র- ছাত্রলীগের এই সম্মেলন উপলক্ষে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। কমিশনের প্রধান কমিশনার, ‘কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি রেজাউল করিম সুমন বলেন, ‘আমরা এক ডিসেম্বর থেকে তিন ডিসেম্বর পর্যন্ত মনোনয়নপত্র প্রদান এবং জমা নিয়েছি। ২৫৫টি মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে। এর মধ্যে সভাপতি পদে ৯৬টি আর সাধারণ সম্পাদক পদে ১৫৯টি মনোনয়নপত্র জমা হয়েছে। ‍৫ নারী নেত্রীও শীর্ষ পদের জন্য মনোনয়নপত্র নিয়ে তাদের জীবনবৃত্তান্ত জমা দিয়েছেন।’

তিনি বলেন, ‘সিভি নেওয়ার একমাত্র শর্ত ছিল ছাত্রলীগের যেকোনো ইউনিটের একটি সাংগঠনিক পদ থাকা। আর প্রতিটি মনোনয়নপত্রের মূল্য ছিল তিন হাজার টাকা। আমরা এখন জমা পড়া সব সিভি যাচাই-বাছাইয়ের কাজ করছি। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী যাদের বয়স ২৮ বছর ৩৬৪ দিনের ওপরে তাদের সিভিগুলো আলাদা করছি। মাননীয় নেত্রী সার্বিক বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের শীর্ষ পদের জন্য মোট ২৪৫ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তবে এই কমিটির জন্য সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক আলাদা পদে মনোনয়নপত্র জমা না নিয়ে একসঙ্গে দুই পদের জন্য মনোনয়নপত্র জমা নেয়া হয় বলে জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বার্ষিক সম্মেলনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও ছাত্রলীগের সহসভাপতি রায়হান কাওসার।

দুই মহানগরের শীর্ষ পদের জন্য মনোনয়নপত্র বিক্রি হয় গত ২৬ থেকে ২৯ নভেম্বর, যার প্রতিটি মনোনয়নপত্রের বিক্রয়মূল্য ছিল ৫ হাজার টাকা। মহানগর উত্তরের শীর্ষ পদের জন্য মনোনয়নপত্র বিক্রি হয় মোট ১৮৭টি।

ঢাকা মহানগর উত্তর বার্ষিক সম্মেলনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও ছাত্রলীগের সহসভাপতি এম সাজ্জাদ হোসেন জানান, ‘সভাপতি পদে ১০২ জন ও সাধারণ সম্পাদক পদে ৮৫ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে বেশির ভাগই সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক উভয় পদের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।’

অন্যদিকে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের জন্য বিক্রি হয়েছে ১৮২টি মনোনয়নপত্র। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ কমিটির সভাপতি ও সাধারণ পদে ১৮২টি মনোনয়ন সংগ্রহ করা হলেও সভাপতি পদে ৮৩টি ও সাধারণ সম্পাদক পদে ৭০টি মনোনয়নপত্র ওপর মহলে জমা দেয়া হয়েছে বলে জানান ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সম্মেলনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও ছাত্রলীগের সহসভাপতি আলিমুল হক।

ছাত্রলীগের দপ্তর সেল সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় শুরু হবে এই সম্মেলন। সকাল ৮টা থেকে সম্মেলনস্থলে প্রবেশের জন্য খুলে দেয়া হবে গেট। সকাল ১১টা পর্যন্ত প্রবেশ করা যাবে সম্মেলনস্থলে। সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। বিশেষ অতিথি হিসেবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরও উপস্থিত থাকবেন। সম্মেলন উদ্বোধন করবেন ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সঞ্চালনা করবেন সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য।

যাদের হাতে আসতে পারে ছাত্রলীগের নেতৃত্ব

সূত্র বলছে, আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে মাথায় রেখেই এবারের ছাত্রলীগের নতুন নেতৃত্ব বাছাই করা হবে। তাই পারিবারিক পরিচিতি এবং সংগঠনের জন্য ত্যাগকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হবে। আর স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই নেতা বাছাইয়ে নেতৃত্ব দেবেন।

তবে পারিবারিক পরিচিতি এবং সংগঠনের জন্য ত্যাগের পাশাপাশি নিয়মিত ছাত্রত্ব, বয়স এবং এলাকার বিষয়টিও প্রাধান্য পাবে।

বয়সসীমা কত হবে সেটি একমাত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই নির্ধারণ করবেন। তবে একটি ঘটনায় বয়সসীমার বিষয়ে কিছু ধারণা পাওয়া যেতে পারে।

বেশ কয়েক দিন আগে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য গণভবনে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাত্রত্বের ব্যাপার নিয়ে খোঁজ নিয়েছেন। তিনি জানতে চান, কত বছরে একজন শিক্ষার্থী পড়াশোনা শেষ করতে পারে। তার জবাবে ছাত্রলীগের এই দুই নেতা আওয়ামী লীগ প্রধানকে জানান, ২৫ বা ২৬ বছরেই শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা শেষ করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতৃত্ব গঠনে এ বিষয়টি গুরুত্ব পাচ্ছে।

এ ছাড়া করোনাকালে যেসব নেতা সাধারণ শিক্ষার্থীদের সেবায় নিয়োজিত ছিল এবং বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে ভুক্তভোগীদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে সেবা পৌঁছে দিয়েছেন তাদেরও বিবেচনায় রাখা হবে।

এসব কিছু বিবেচনায় এবার বৃহত্তর চট্টগ্রাম অঞ্চল থেকে সম্ভাবনা রয়েছে সাদ বিন কাদের চৌধুরী, তানভীর হাসান সৈকত এবং তাহসান আহমেদ রাসেল। এর মধ্যে সাদ বিন কাদের চৌধুরী করোনাকালে বিনা মূল্যে অক্সিজেন সেবা দিয়ে সাড়া ফেলেছেন। তিনি ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক। এর আগে তিনি ডাকসুর ছাত্রলীগ প্যানেল থেকে স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।

আর তানভীর হাসান ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির উপ-সমাজসেবা সম্পাদক এবং ডাকসুর সদস্য। সৈকত করোনাকালে টানা কয়েক মাস টিএসসিতে দুস্থদের খাবার খাওয়ানোয় জাতিসংঘের রিয়েল লাইফ হিরোর মর্যাদা পেয়েছেন।

ঢাকা অঞ্চল থেকে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির উপ-তথ্যপ্রযুক্তি সম্পাদক এহসান পিয়াল।

বৃহত্তর ফরিদপুর অঞ্চল থেকে অনূর্ধ্ব ৩০-এর কোটায় আছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের আইন সম্পাদক ফুয়াদ হোসেন শাহাদাত, কর্মসংস্থান সম্পাদক রনি মুহাম্মদ।

উত্তরাঞ্চল থেকে আলোচনায় আছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ডাকসুর সাবেক এজিএস সাদ্দাম হোসেন এবং ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি ও ডাকসুর সাবেক সদস্য রাকিবুল হাসান রাকিব, প্রশিক্ষণ সম্পাদক হায়দার মোহাম্মদ জিতু, গ্রন্থনা-প্রকাশনা সম্পাদক আবুল হাসনাত হিমেল।

এদের মধ্যে রাকিবুল হাসান রাকিব এবং আবুল হাসনাত হিমেল অনূর্ধ্ব ২৯ বয়সসীমার মধ্যে আছেন।

বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চল থেকে আলোচনায় আছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের মুক্তিযুদ্ধ ও গবেষণা সম্পাদক মেহেদী হাসান তাপস, উপপ্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক রাশেদ শাহরিয়ার উদয়, সহসম্পাদক এস এম রাকিব সিরাজী।

এস এম রাকিব সিরাজী ও রাশেদ শাহরিয়ার উদয় আছেন অনূর্ধ্ব ২৯ বয়সসীমার কোটায়।

বৃহত্তর খুলনা অঞ্চল থেকে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বরিকুল ইসলাম বাঁধন, মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক নাহিদ হাসান শাহীন এবং ধর্মবিষয়ক সম্পাদক তুহিন রেজাও আলোচনায় থাকছেন।

এদের মধ্যে রেজা ও নাহিদ হাসান শাহীন আছেন অনূর্ধ্ব ২৯ বয়সসীমার কোটায়।

বরিশাল অঞ্চল থেকে সম্ভাবনায় আছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান, উপবিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক সবুর খান কলিন্স, ত্রাণ ও দুর্যোগ বিষয়ক সম্পাদক ইমরান জমাদ্দার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরিফুজ্জামান আল ইমরান, উপকর্মসংস্থান বিষয়ক সম্পাদক খাদিমুল বাশার জয়। তারা সবাই অনূর্ধ্ব ২৯ এর কোটায়।

সিলেট অঞ্চল থেকে আলোচনায় আছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়বিষয়ক সম্পাদক আল আমিন রহমান।

এবারের সম্মেলনে ঢাবির বাইরে থেকে কয়েক ডজন যোগ্য নেতাকর্মী রয়েছে। তাদের মধ্যে আলোচনার শীর্ষে রয়েছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক এবং বুয়েট ছাত্রলীগের সভাপতি খন্দকার জামিউস সানী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সহসভাপতি ও কেন্দ্রীয় সহসম্পাদক হামজা রহমান অন্তর।

তবে সুত্র বলছে, ছাত্রলীগের গত চার কমিটিতে শীর্ষ নেতৃত্ব এসেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। এই সংস্কৃতি বিবেচনায় রেখে আগামী ৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় ৩০তম সম্মেলনের মধ্য দিয়ে এবারও এই প্রতিষ্ঠান থেকে শীর্ষ নেতৃত্ব বেরিয়ে আসবে— এমনটাই প্রত্যাশা অনেকের।

কেমন নেতৃত্ব প্রত্যাশা করেন জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘যারা দক্ষ সংগঠক, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে যারা বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখবে, সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছে যারা গ্রহণযোগ্য, স্বাধীনতা বিরোধী বিএনপি জামায়াতের ষড়যন্ত্র সাহসিকতার সঙ্গে মোকাবিলা করে, যারা গণতান্ত্রিক এবং সাংগঠনিক অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে পারবে, শিক্ষার পরিবেশ যারা সমুন্নত রাখতে পারবে, একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় যারা যুগপৎ সমন্বয় করতে পারবে এবং আন্দোলন এবং বিনির্মাণের রাজনীতি যারা একই সঙ্গে চালিয়ে নিতে পারবে আমি মনে করি তাদের মধ্য থেকেই নেতৃত্ব আসা দরকার।

কেন্দ্রীয় কমিটির মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মেহেদী হাসান তাপস বলেন, ‘আমি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে বলতে চাই, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী, দেশরত্ন শেখ হাসিনা ও সংগঠনের প্রশ্নে আপসহীন, জামায়াত বিএনপি ও উগ্ৰ সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে সর্বদাই সোচ্চার এবং যারা সংগঠনের সংকটে পাশে ছিল, দীর্ঘদিন রাজপথে যাদের শ্রম-ঘাম আছে, তৃণমূল কর্মীদের প্রতি দায়বদ্ধতা আছে, এমন নেতৃত্ব প্রত্যাশা করি।’

সাদ বিন কাদের চৌধুরী বলেন, ‘আগামীতে এই সংগঠনের যারাই নেতৃত্ব আসুক তাদের জন্য অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে ছাত্রলীগের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসের ধারাবাহিকতা বজায় রাখা। আগামীর নেতৃত্ব ছাত্রসমাজকে সাথে নিয়ে উগ্রবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প উপড়ে ফেলতে কাজ করবে।’

তিনি বলেন, ‘আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি জামাত দেশকে অস্থিতিশীল করার যে ষড়যন্ত্র করছে সে ষড়যন্ত্র যারা মোকাবিলা করতে হবে তেমন নেতৃত্ব আসুক। মুক্তিযুদ্ধ ও মাননীয় শেখ হাসিনার প্রশ্নে যে নেতৃত্ব আপোষহীন থাকবে সে নেতৃত্ব আসুক। অতীতের ন্যায় ভবিষ্যতেও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সাধারণ মানুষের আস্থার প্রতীক হয়ে কাজ করবে।

তাহসান আহমেদ রাসেল বলেন, ‘একবিংশ শতাব্দীতে দেশরত্ন শেখ হাসিনার দর্শনকে যারা বুঝতে পারবে, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের তৃনমূল থেকে কেন্দ্রীয় পর্যন্ত সব নেতা-কর্মীকে দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করতে পারবে এবং বঙ্গবন্ধুতনয়ার ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়নে যারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারবে এমন নেতৃত্বই আমরা কামনা করছি। এছাড়াও কর্মীদের আবেদনকে প্রাধান্য দিয়ে তাদের মধ্যে নব উদ্যোগে কাজ করে যাবার প্রেরণা যোগাতে সহযোগিতা করে যাবে।’

Bootstrap Image Preview