Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৪ বুধবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

বিলবোর্ড লাগিয়ে দোয়া চাওয়া সেই পাঁচ শিক্ষার্থীর চারজন পেল জিপিএ-৫

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৯ নভেম্বর ২০২২, ০৮:৪২ AM
আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২২, ০৮:৪২ AM

bdmorning Image Preview


বিলবোর্ড লাগিয়ে দোয়া চেয়ে দেশব্যাপী আলোচনায় আসা পাবনার বেড়া উপজেলার পাঁচ শিক্ষার্থীর মধ্যে চারজন জিপিএ-৫ পেয়েছে। সোমবার (২৮ নভেম্বর) প্রকাশিত এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলে এ তথ্য জানা গেছে।

জিপিএ-৫ পাওয়া চার শিক্ষার্থী হলো- বেড়া উপজেলার কাবাসকান্দা গ্রামের ইফতেখার উদ্দিনের ছেলে সুয়াইব আহমেদ সাহেদ, নয়াবাড়ি গ্রামের মোহন মোল্লার ছেলে নাহিদ হাসান, দ্বারিয়াপুর গ্রামের খন্দকার শহিদুল্লার ছেলে সামি খন্দকার ও একই গ্রামের খন্দকার আব্দুল্লাহ আল মামুনের ছেলে খন্দকার মাশরাফি। তারা বেড়া উপজেলার কাশিনাথপুর বিজ্ঞান স্কুল থেকে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল।

তারা উপজেলার কাশিনাথপুর বিজ্ঞান স্কুল থেকে বিজ্ঞান বিভাগে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন। তারা পরস্পরের বন্ধু।  

প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে নাহিদ হাসান ও সুয়াইব আহমেদ সাহেদ বলেন, জিপিএ-৫ পেয়ে অনেক ভালো লাগছে। বাবা-মা, আত্মীয়স্বজন সবাই খুশি। করোনার মাঝে পড়াশোনা খুব একটা ভালো হয়নি। তারপরেও ভালো করার চেষ্টা করেছি। যদিও আমাদের মধ্যে একজনের ফলাফল খারাপ হওয়ায় খারাপ লাগছে।

বিলবোর্ড টাঙিয়ে দোয়া চাওয়া কতটুকু কাজে লেগেছে জানতে চাইলে তারা বলেন, অবশ্যই কাজে লেগেছে। দেশবাসীর দোয়া ছিল এবং নিজেরা পরিশ্রম করেছি বলেই ভালো ফলাফল হয়েছে। সেই সঙ্গে শিক্ষকদের সহযোগিতাও গুরুত্বপূর্ণ ছিল।

কাশিনাথপুর বিজ্ঞান স্কুলের প্রধান শিক্ষক জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের স্কুলের পাঁচজন ছাত্র অভিনব কায়দায় দোয়া চাওয়ার বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছিল। বিষয়টিকে আমরা ইতিবাচক হিসেবে দেখেছিলাম। ভালো লাগছে, তাদের মধ্যে চারজন জিপিএ-৫ পেয়েছে। আশা করি কৃতিত্ব অর্জনকারী শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যতে আরো ভালো করবে। ’

উল্লেখ্য, চলতি বছরের জুন মাসে এসএসসি পরীক্ষার জন্য দোয়া চেয়ে বিলবোর্ড টাঙিয়ে আলোচনায় আসেন কাশিনাথপুর বিজ্ঞান স্কুলের পাঁচ শিক্ষার্থী। পরবর্তীতে যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। বিষয়টি তখন অনেকে ‘সৃজনশীল’ অনেকে ‘অভিনব’ বলেছিল।

তবে শিক্ষার্থীদের দাবি ছিল, ভাইরাল হওয়ার জন্য নয়। ভাগ্যের কথা ভেবেই সবার কাছে দোয়া চেয়েছিলেন তারা। তাদের পূর্বপরিকল্পনা ছিল না। একটা প্রেসের সামনে দাঁড়িয়ে পাঁচ বন্ধু কথা বলার সময় সেখানে একটি ডিজিটাল বিলবোর্ড দেখে এই পরিকল্পনা করেছিলেন।   

তাদের ভাষ্য ছিল, যেহেতু আমরা রাজনীতি করি না, সেহেতু কী উদ্দেশ্যে বিলবোর্ড বানানো যায় সেই চিন্তা করি। তখন আমাদের মাথায় আসে পরীক্ষার কথা। ভাবি, সবার কাছে দোয়া চেয়ে আমরা একটা বিলবোর্ড বানাতে পারি। সেই ভাবনা থেকেই ৩টি বিলবোর্ড বানানো হয়। এ জন্য খরচ হয় ১ হাজার টাকা। গত ৫ জুন কাশিনাথপুর মোড়ে ও আশপাশে তিনটি বিলবোর্ড টাঙানো হয়।

Bootstrap Image Preview