Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ শুক্রবার, মার্চ ২০২৪ | ১৫ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

বিএনপির সমাবেশে নেতা-কর্মীদের ‘অর্ধশতাধিক’ মোবাইল ‘চুরি’ হওয়ার কারণ কি?

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৭ নভেম্বর ২০২২, ১০:০৪ AM
আপডেট: ২৭ নভেম্বর ২০২২, ১০:০৪ AM

bdmorning Image Preview


কুমিল্লায় বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশস্থলে ভিড়ের মধ্যে নেতা-কর্মীদের মোবাইল ফোন চুরি হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সমাবেশ আসা অন্তত দশজন নেতা-কর্মী জানায়, শনিবার বেলা ১২টার দিকে নগরীর টাউনহল মাঠে সমাবেশ শুরুর আগে মিছিলের সময় ‘অর্ধশতাধিক’ মোবাইল ফোন চুরি হয়।

এর আগে শুক্রবার রাত ৯টায় বিএনপির কুমিল্লা বিভাগীয় সমাবেশস্থল টাউন হল মাঠ থেকে বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানার মোবাইল ফোন চুরি হয় বলে তার ব্যক্তিগত সহকারী শুভ্র জানান।

এ ঘটনায় কুমিল্লা কোতোয়ালি থানায় একটি জিডি করা হয়েছে জানিয়ে শুভ্র সাংবাদিকদের বলেন, টাউন হল মাঠে যাওয়ার পর কোনো এক সময় রুমিন ফারহানার ব্যাগ থেকে মোবাইল ফোনটি চুরি হয় বলে তিনি জানিয়েছেন। তবে মোবাইল ফোন ছাড়া অন্য কিছু খোয়া যায়নি।

মোবাইল ফোন চুরির বিষয়ে বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা ও সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু বলেন, “রুমিন ফারহানার মোবাইল চুরির ঘটনা জানতে পেরে আমি হ্যান্ডমাইকে সবাইকে জানিয়ে দেই। কেউ যদি মোবাইল ফোনটি ফেরত দেন তাকে পুরস্কৃত করা হবে। তবে ফেরত আসেনি ফোনটি।”

কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলা থেকে আসা বিএনপি কর্মী মো. আশিক বলেন, “সমাবেশ শুরুর সময় আমি মঞ্চের সামনেই ছিলাম। হঠাৎ করে দেখি আমার মোবাইলটা নাই। আমার এক হাতে পতাকা আরেক হাতে ফেস্টুন ছিলো। এ সুযোগে চোরের দল আমার মোবাইলটা নিয়ে যায়।”

চান্দিনা থেকে আসা বিএনপি কর্মী সালেক মিয়া বলেন, “আমি টাউনহলে এসে স্লোগান দিচ্ছিলাম। পরে ছবি তোলার জন্য পকেটে হাত দিয়ে দেখি আমার মোবাইলটা নেই। আমার ছোট ভাই দুবাই থেকে পাঠিয়েছিল ফোনটি। মনটা খারাপ হয়ে গেল।”

কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার মালাপড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মামুনের মোবাইল ফোনও চুরি হয়ে গেছে বলে তিনি জানিয়েছেন।

চাঁদপুর থেকে আসা বিএনপির কর্মী আবুল কালাম বলেন, “আমার মোবাইলটা খুব দামি না। আমি যখন হাততালি দিয়ে স্লোগান দিচ্ছিলাম তখনই কে যেন পকেটে হাত দিল। এক সেকেন্ডের মধ্যেই পকেটে হাত দিয়া দেখি মোবাইলটা গায়েব।”

কুমিল্লা জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মো. শাহ আলম বলেন, “শুক্রবার রাত থেকেই মোবাইল চুরির ঘটনা শুরু হয়। সমাবেশ শুরুর আগেই এমন অবস্থা…..। সমাবেশ শেষে এনিয়ে কথা বলবো।”

Bootstrap Image Preview