Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ শুক্রবার, মার্চ ২০২৪ | ১৪ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

কোস্টারিকাকে 'সেভেন আপে'র স্বাদ দিয়েছে স্পেন!

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৪ নভেম্বর ২০২২, ১২:১৬ AM
আপডেট: ২৪ নভেম্বর ২০২২, ১২:১৬ AM

bdmorning Image Preview


টাইম মেশিনে চড়ে ১৭ বছরের ক্যারিয়ার, ক্লাব ও জাতীয় দল মিলিয়ে সাড়ে পাঁচশ'র ওপরে খেলা ম্যাচের স্মৃতি ঘুরে আসতে পারেন কেইলর নাভান। মনে করে দেখতে পারেন ক্যারিয়ারের সাহাহ্নে এসে স্পেনের তরুণরা যেভাবে তাকে 'অপদস্থ' করেছে পূর্বে কখনও এমন লজ্জায় পড়েছেন কিনা। সাবেক রিয়াল মাদ্রিদের কোস্টারিকান গোলরক্ষকের জালে যে স্পেনের তরুণরা গোলের 'সেভেপ আপ' করে দিয়েছেন। কোস্টারিকাকে বিধ্বস্ত করে তুলে নিয়েছেন ৭-০ গোলের জয়ে।

২০১০ সালের বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে বিশ্বে নতুনভাবে আবির্ভাব হয়েছিল স্প্যানিশ ফুটবলের। যদিও ২০১৪ ও ২০১৮ বিশ্বকাপে সেভাবে নিজেদের মেলে ধরতে পারেনি। কিন্তু লুইস এনরিকের ছোঁয়ায় যেন বদলে যেতে শুরু করে স্প্যানিশরা।

২০২২ বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে এসে যেন সেটার প্রতিচ্ছবি দেখতে পেল বিশ্ব। কোস্টারিকাকে ৭-০ গোলের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে ধরাশায়ী করলো লা রোহারা।

স্পেনের হয়ে জোড়া গোল করেন ফেরান তোরেস। এছাড়াও ১টি করে গোল করেন, অ্যাসেনসিও, দানি ওলমো, মোরাতা, কার্লস সোলার ও পাবলো গাভি।

ম্যাচের শুরু থেকেই স্পেন তাদের চিরাচরিত ছোট ছোট পাস দিয়ে খেলতে থাকে। দুই তরুণ তুর্কি গাভি ও পেদ্রিকে একাদশে রেখেই মাঠে নামে স্পেন।

ম্যাচের ৫ মিনিটে পেদ্রির ক্রস থেকে উড়ন্ত বলে ডিবক্সের ভেতর দানি ওলমোর শট গোলবারের বাইরে চলে যায়। ৯ মিনিটে আবারো এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল স্পেন কিন্তু আসেনসিওর শট গোলবারের ছুঁইয়ে বের হয়ে যায়।

তবে ১৩তম মিনিটে আর ভুল করেননি দানি ওলমো। মাঝমাঠ থেকে গাভির বাড়ানো বল ডিবক্সের ভেতর পেয়ে কেইলর নাভাসের মাথার উপর দিয়ে বল জালে জড়ানো ওলমো। বিশ্বকাপে স্পেনের হয়ে শততম গোলটি আসলো তার পা থেকেই।

২১ মিনিটে আবারো এগিয়ে যায় স্পেন। এবার গোলের খাতা খুলেন মার্কো আসেনসিও। বাম পাশ থেকে বার্সার জর্দি আলবার ক্রসে রিয়াল মাদ্রিদের আসেনসিওর বুলেট গতির শট রুখতে ব্যর্থ হন নাভাস।

দুই গোল দিয়েও যেন খেই হারিয়ে ফেলেনি লা রোহারা। আক্রমনের ধার বাড়িয়ে ৩১ মিনিটে পেনাল্টি আদায় করে নেয় স্পেন। জর্দি আলবাকে ডিবক্সে ফাউল করলে রেফারি পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন।

স্পট কিক থেকে ফেরান তোরেস গোল করে দলকে ৩-০ গোলের ব্যবধানে এগিয়ে দেন। শেষবার ১৯৩৪ সালের বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচের প্রথমার্ধে ৩-০ গোলের লিড নিয়েছিল স্পেন।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই যেন আরো গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে স্পেন। পাস, পাস ও পাস এই নীতিতে খেলে কোস্টারিকার মানসিকতাকেই ভেঙে দেয় তারা।

ম্যাচের ৫৪ মিনিতে আবারো দলের হয়ে গোল করেন ফেরান তোরেন। জাতীয় দলের হয়ে এটি তার ১৫তম গোল। ৪ গোল দিয়েও যেন গোলের ক্ষুধা মেটে না স্পেনের। মোরাতার মত স্ট্রাইকারকে বদলি হিসেবে নামায় তারা।

তারই দেয়া পাস থেকে ৭৪ মিনিটে গোল করে দলকে ৫ গোলের লিড এনে দেন মিডফিল্ডার গাভি। এই গোলের সুবাধে এক ইতিহাস গড়েন এই বার্সা ফুটবলার।

স্পেনের সবচেয়ে কমবয়সী ফুটবলার হিসেবে বিশ্বকাপে গোল করলেন তিনি। ম্যাচের একদম অন্তিম মুহূর্তে ৮৯ মিনিটে স্পেনের হয়ে ষষ্ঠ গোল করেন পিএসজির ফুটবলার কার্লস সোলার।

ম্যাচের ৯২ মিনিটে সর্বশেষ গোলটি করে স্পেন। এবার দাই ওলমোর পাস থেকে বদলি হিসেবে নামা মোরাতা গোল করে দলকে ৭-০ গোলের বিশাল জয় এনে দেন।

বিশ্বকাপে ইতিহাসে এই প্রথম কোনো ম্যাচে ৭ গোল করলো স্পেন। এই বিশাল জয়ে গ্রুপের শীর্ষে উঠে আসলো লুইস এনরিকের দল।

Bootstrap Image Preview