Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ শুক্রবার, মার্চ ২০২৪ | ১৫ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

মাহরাম কারা? তাদের পরিচয় জানা জরুরি কেন?

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৯ নভেম্বর ২০২২, ১০:০৭ AM
আপডেট: ১৯ নভেম্বর ২০২২, ১০:০৭ AM

bdmorning Image Preview


নারী-পুরুষ উভয়ের জন্য গায়রে মাহরামের সঙ্গে পর্দা করা ফরজ। পর্দার সঙ্গে মাহরাম ও গায়রে মাহরামের সম্পর্কের বিষয়টি জড়িত। ইসলামী পরিভাষায় মাহরাম দ্বারা বুঝায়, যাদেরকে বিবাহ করা হারাম বা অবৈধ এবং দেখা করা বা দেখা দেওয়া জায়েয বা বৈধ। তবে স্ত্রীর বোনের সঙ্গে বিয়ে হারাম হলেও দেখা-সাক্ষাৎ করা বৈধ নয়। মূল কথা হলো ইসলামি শরিয়তে যাদের সঙ্গে বিয়ের সম্পর্ক হারাম; তারাই মাহরাম।

পুরুষের জন্য মাহরাম ১৪ জন। তারা হলেন-

মায়ের সমপর্যায়ের ৫ জন

১. মা

২. ফুফু (বাবার বোন)

৩. খালা (মায়ের বোন)

৪. শাশুড়ি ( স্ত্রী এর মা )

৫. দুধ-মা (যে মা ছোট বেলায় দুধ খাইয়ে ছিলেন)

বোনের সমপর্যায়ের ৫ জন

৬. নিজের বোন

৭. নানি (মায়ের মা)

৮. দাদি (বাবার মা)

৯. নাতনি (আপন ছেলে ও মেয়ের কন্যা)

১০. দুধ-বোন

মেয়ের সমপর্যায়ের ৪ জন

১১. মেয়ে

১২. ভাতিজি (আপন ভাই-এর মেয়ে)

১৩. ভাগ্নি (আপন বোনের মেয়ে)

১৪. ছেলের বউ

এসব ব্যক্তি ছাড়া পুরুষরা বাকি সবার সঙ্গে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারবে। তবে স্ত্রী জীবিত থাকা অবস্থায় স্ত্রীর আপন বোনকে বিয়ে করা যাবে না। আবার তার সঙ্গে দেখাও করা যাবে না।

নারীদের মাহরাম ১৪ জন। তারা হলেন-

বাবার সমপর্যায়ের ৪ জন

১. বাবা

২. চাচা

৩. মামা

৪. শ্বশুর

ভাইয়ের সমপর্যায়ের ৫ জন

৫. সহোদর ভাই

৬. নিজ দাদা

৭. নিজ নানা

৮. নিজ নাতি

৯. দুধ-ভাই

ছেলের সমপর্যায়ের ৫ জন

১০. ছেলে

১১. ভাইয়ের ছেলে

১২. বোনের ছেলে

১৩. মেয়ের জামাই

১৪. দুধ-ছেলে

একজন নারীর জন্য উল্লেখিত ব্যক্তিদের ছাড়া অন্য কারো সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ করা যাবে না। এমনকি অন্যদের সঙ্গে প্রয়োজন ছাড়া অযথা কথাবার্তা বলাও গুনাহের কাজ।

আল্লাহ তাআলা কোরআনুল কারিমের তাদের সবার পরিচয় এভাবে তুলে ধরেছেন-

حُرِّمَتْ عَلَيْكُمْ أُمَّهَاتُكُمْ وَبَنَاتُكُمْ وَأَخَوَاتُكُمْ وَعَمَّاتُكُمْ وَخَالَاتُكُمْ وَبَنَاتُ الْأَخِ وَبَنَاتُ الْأُخْتِ وَأُمَّهَاتُكُمُ اللَّاتِي أَرْضَعْنَكُمْ وَأَخَوَاتُكُم مِّنَ الرَّضَاعَةِ وَأُمَّهَاتُ نِسَائِكُمْ وَرَبَائِبُكُمُ اللَّاتِي فِي حُجُورِكُم مِّن نِّسَائِكُمُ اللَّاتِي دَخَلْتُم بِهِنَّ فَإِن لَّمْ تَكُونُوا دَخَلْتُم بِهِنَّ فَلَا جُنَاحَ عَلَيْكُمْ وَحَلَائِلُ أَبْنَائِكُمُ الَّذِينَ مِنْ أَصْلَابِكُمْ وَأَن تَجْمَعُوا بَيْنَ الْأُخْتَيْنِ إِلَّا مَا قَدْ سَلَفَ ۗ إِنَّ اللَّهَ كَانَ غَفُورًا رَّحِيمًا

‘তোমাদের প্রতি হারাম করা হয়েছে তোমাদের মা এবং মেয়েবোনফুফুখালাভাইঝিভাগিনীদুধ মাদুধ বোনশ্বাশুড়িতোমাদের স্ত্রীদের মধ্যে যার সঙ্গে সঙ্গম হয়েছ তার পূর্ব স্বামীর ঔরসজাত মেয়ে যারা তোমাদের তত্ত্বাবধানে আছেকিন্তু যদি তাদের সঙ্গে তোমরা সহবাস না করে থাকতবে (তাদের বদলে তাদের মেয়েদেরকে বিয়ে করলে) তোমাদের প্রতি গুনাহ নেই এবং (তোমাদের প্রতি হারাম করা হয়েছে) তোমাদের ঔরসজাত পুত্রের স্ত্রী এবং এক সঙ্গে দু’ বোনকে (বিবাহ বন্ধনে) রাখাপূর্বে যা হয়ে গেছেহয়ে গেছেনিশ্চয়ই আল্লাহ পরম ক্ষমাশীলদয়ালু।’ (সুরা নিসা : আয়াত ২৩)

মাহরামের পরিচয় জানা থাকলে অনেক গুনাহ থেকে বেঁচে থাকা সহজ হয়। যাদের সঙ্গে দেখা করা গুনাহ কিন্তু আত্মীয় পরিচয়ে সাধারণ দেখা-সাক্ষাৎসহ অনেক সময় বিয়ের মতো জঘন্য গুনাহের কাজও সংঘটিত হয়ে যায়। তাই মাহরামের পরিচয় জানা সবার জন্য জরুরি।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে তাঁর বিধান মেনে চলার তাওফিক দান করুন। মাহরামের সঠিক বুঝ পাওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।

Bootstrap Image Preview