Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৯ মঙ্গলবার, মার্চ ২০২৪ | ৫ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

পঞ্চগড়ে মহালয়াযাত্রায় ৭১ মৃত্যু : পরিবারপ্রতি ৩০ হাজার টাকা দিল জামায়াত

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৯:৫১ PM
আপডেট: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৯:৫১ PM

bdmorning Image Preview


পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় করতোয়া নদীতে নৌকাডুবির ঘটনায় প্রত্যেক নিহতের পরিবারকে ৩০ হাজার টাকা করে মোট ২১ লাখ ৩০ হাজার টাকা অর্থসহায়তা দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। বুধবার পঞ্চগড় ও ঠাকুরগাঁওয়ের বিভিন্ন এলাকার নিহতদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্বজনদের হাতে এই অর্থসহায়তা তুলে দেন দলটির আমির ডা. মুহম্মদ শফিকুর রহমান। একই সঙ্গে শোকাহত পরিবারগুলোকে সমবেদনা জানান তিনি।

নৌকাডুবিতে নিহত ৭১ জনের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে করতোয়া নদীর আউলিয়াঘাট পরিদর্শন করেন ডা. শফিকুর রহমান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল আলীম, পঞ্চগড় জেলা আমির ইকবাল হোসেন, সাবেক জেলা আমির মাওলানা আব্দুল খালেক, জামায়াত নেতা অ্যাডভোকেট আজিজুল ইসলাম প্রমুখ।

জামায়াতের আমির ডা. মুহম্মদ শফিকুর রহমান বলেন, ‘দুঃসময়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানো সামাজিক দায়িত্ব। তা ছাড়া দুঃখের সময় পাশে দাঁড়ানো এক প্রকার সৌভাগ্যও। ’

তিনি আরো বলেন, ‘নৌকাডুবির ঘটনাটি একটি বড় মানবিক বিপর্যয়। নৌকা ডুবে এতসংখ্যক মানুষের মৃত্যু দেশের ইতিহাসে বিরল। আমরা নৌকাডুবির পর থেকেই পুরো বিষয়টি আমাদের নজরে রেখেছিলাম। নিহতরা সবাই হিন্দু ধর্মের হলেও আমরা বিষয়টি সেভাবে দেখছি না। আমরা দেখছি মানুষ। আর মানুষ বিপদে পড়েছে, আমরা পাশে দাঁড়িয়েছি। এই সহযোগিতা আমাদের অনুগ্রহ নয়; বরং দায়িত্ব ছিল। আমরা দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করেছি মাত্র। আমরা আশা করব সকলেই এই দায়িত্ব পালনে এগিয়ে আসবে। ’

নৌকাডুবিতে উদ্ধার ৭‌‌১ জনের মধ্যে ৬৯ জনের পরিচয় জানা গেছে। এদের মধ্যে নারী রয়েছে ৩০ জন, শিশু ২১ জন ও পুরুষ ১৮ জন। এর মধ্যে দেবীগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা ১৮ জন, বোদা উপজেলার ৪৫ জন, আটোয়ারীর দুজন, ঠাকুরগাঁও সদরের তিনজন ও পঞ্চগড় সদরের একজন।

পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দীপঙ্কর রায় বলেন, ‘একজন মানুষও নিখোঁজ থাকলে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। আমরা প্রত্যেক নিখোঁজ মানুষকে উদ্ধার করে অন্তত তাদের মরদেহ তাদের পরিবারের কাছে তুলে দিতে চেষ্টা করে যাচ্ছি। যেন তারা তার শেষকৃত্য করতে পারেন। ’

নৌকাডুবিতে নিহত ৭১ জনের মধ্যে ৭০ জনই সনাতন ধর্মাবলম্বী। শুধু মাঝি হাশেম আলীই ছিলেন ইসলাম ধর্মাবলম্বী। দেবী দুর্গার আরাধনা করার জন্য তারা নদী পেরিয়ে বোদেশ্বরী পীঠ মন্দিরে যাচ্ছিলেন।

Bootstrap Image Preview