Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৯ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনে মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে ১৫২ সাংসদের সুপারিশ

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৫:৩১ PM
আপডেট: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৫:৩১ PM

bdmorning Image Preview


অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ ও জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের খসড়া প্রস্তাবনা দ্রুত পাশের উদ্যোগ গ্রহণে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের নিকট সুপারিশ জানিয়েছেন ১৫২ জন সংসদ সদস্য। বুধবার 'বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফোরাম ফর হেলথ এন্ড ওয়েলবিং' ও এর সাচিবিক সংস্থা স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে মন্ত্রিপরিষদ সচিব কার্যালয়ে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনে সংসদ সদস্যদের সুপারিশসমূহ তুলে ধরা হয়।

সংসদ সদস্যদের এসব সুপারিশের মধ্যে রয়েছে সংশোধিত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনে উন্মুক্ত স্থানে (পাবলিক প্লেস) ধূমপান তথা ‘ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান’ নিষিদ্ধ করা, বিড়ি-সিগারেটের খুচরা শলাকা বিক্রি বন্ধ করা, ই-সিগারেট আমদানি ও প্রস্তুত বন্ধ করা, তামাকজাত পণ্যের সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণীর আকার বাড়ানো, সামাজিক দায়বদ্ধতা কর্মসূচির (সিএসআর) নামে তামাক কোম্পানিগুলোর কার্যক্রম বন্ধ করা এবং বিক্রির স্থানে তামাকজাত দ্রব্যের প্রদর্শন বন্ধ করা।

এর আগে গত মে মাসে বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফোরামের উদ্যোগে কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত 'অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জন' শীর্ষক সংসদ সদস্যদের কনফারেন্সে অংশ নেন ৪১ জন সংসদ সদস্য, যাদের সুপারিশকে কেন্দ্র করে তৈরি হয় 'কক্সবাজার ঘোষণাপত্র'। ইতোমধ্যে এই ঘোষণাপত্রের প্রস্তাবনাগুলো বাংলাদেশ তামাক নিয়ন্ত্রণ সেল (এনটিসিসি) কর্তৃক তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের নতুন খসড়া প্রস্তাবনায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু আইনটি এখনও পাস না হওয়ায় সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সাথে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে সার্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা অর্জনে কাজ করে যাওয়া বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফোরাম।

উল্লেখ্য, তামাক ব্যবহারে বাংলাদেশ অন্যতম শীর্ষস্থানীয় দেশ। প্রতি বছর বাংলাদেশে তামাকজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে ১ লাখ ৬১ হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করেন। পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হন ৩ লাখ ৮৪ হাজার মানুষ, যার মধ্যে ৬১ হাজারই শিশু। অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণে দেশকে আগামী ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি ও বিরোধী দলের সাংসদদের নিয়ে গঠিত পার্লামেন্টারি ফোরাম সে বিষয়ে সরাসরি কাজ করছে। এছাড়াও, ২২ জন সাংসদের অংশগ্রহণে গঠিত ফোরামটি দেশের সংক্রামক ও অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধসহ সার্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বিভিন্ন নীতিনির্ধারণী পরামর্শ, উদ্যোগ এবং ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে সরকারের সহায়ক হিসেবে কাজ করে।

Bootstrap Image Preview