গাজীপুরের বহুল আলোচিত শিশুর পিতৃপরিচয় চুড়ান্ত করতে ইউপি চেয়ারম্যান শাখাওয়াত হোসেন প্রধান, তার ভাই ওবায়দুল প্রধান ও কথিত স্বামী রইজ উদ্দিনের ডিএনএ পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।
সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ঢাকার সিআইডি'র ল্যাবরেটরীতে ভিকটিম ও তার সন্তানের ডিএনএ পরীক্ষা করানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, ধর্ষনের শিকার হওয়া এক নারীর বাবা কাপাসিয়া সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেনের বিরুদ্ধে তার মেয়েকে ধর্ষণ, ধর্ষণের পর গর্ভবতী হয়ে সন্তান প্রসব এবং পরবর্তীতে মেয়েকে তার হেফাজত থেকে অপহরণ করে নেয়ার অভিযোগ তুলে এবং মেয়ের সন্তানের পিতৃ পরিচয় শনাক্ত করতে গাজীপুরের আদালতে মামলা দায়ের করেন।
পরে আদালত থেকে এই মামলার তদন্ত কার্যক্রমের দায়িত্ব দেওয়া হয় গাজীপুর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) -এর উপর।
সোমবার পিবিআই এর গাজীপুর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান বলেন, ভিকটিমের জবানবন্দী গ্রহণের পর আদালত ভিকটিম ও তার সন্তান এবং ওই তিনজনের ডিএনএ পরীক্ষার নির্দেশনা দেয়। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী তাদের সবার ডিএনএ পরীক্ষা করানো হয়। পরীক্ষার ফলাফল নির্ধারণ করতে ঢাকার সিআইডি'র ল্যাবরেটরীতে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা তাদের নমুনা সংগ্রহ করেছেন।
সোমবার সকালে পিবিআই'য়ের হেফাজতে গাজীপুর থেকে অভিযুক্ত কাপাসিয়া সদর থানা চেয়ারম্যান শাখাওয়াত হোসেন প্রধান, তার ভাই ওবায়দুর প্রধান ও ভিকটিমের কথিত স্বামী ময়মনসিংহের তারাকান্দা থানার মৈলানকান্দা গ্রামের রইজ উদ্দিন রোহিতের ডিএনএ পরীক্ষা করানোর জন্য ঢাকায় নেয়া হয়। পরে আবার গাজীপুরে ফেরত আনা হয়েছে।
পুলিশ সুপার আরও জানান, আশা করা হচ্ছে, খুব দ্রুতই এই ডিএনএ পরীক্ষার ফলাফল পাওয়া যাবে এবং ফলাফল পাওয়ার পর তারা আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করবেন।
পিবিআই'র ইন্সপেক্টর হাফিজুর রহমান জানান, কয়েকদিন আগে ভিকটিম ও তার সন্তানের ডিএনএ পরীক্ষা করানো হয়। পরীক্ষার পর নিরাপত্তা জনিত কারণে সরকারি হেফাজতে রাখতে তাদের পাঠানো হয় নগরের কোনাবাড়ীর সরকারি নিবাসে।