Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৫ বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

সাকিব আল হাসানের ‘অপরাধ’ দেখালো বাংলাদেশ ডুবছে কেন

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৩:৫৯ PM
আপডেট: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৩:৫৯ PM

bdmorning Image Preview


ডা. জাহেদ উর রহমান।। সাকিব আল হাসানের কতো টাকার সম্পদ আছে? এই কলামটার আইডিয়া মাথায় আসার পর তথ্যটা গুগল করে দেখার চেষ্টা করলাম। খুব নিশ্চিত না হলেও কিছু তথ্য পাওয়া যায়। সেই তথ্য কেন খুঁজতে গেলাম, এবং তার সম্পদের পরিমাণ কতো সেই আলোচনায় আবার আসবো কলামের পরের দিকে।

সাকিব আল হাসান আলোচনায় আসেন, আলোচনায় থাকেন। থাকারই কথা। আন্তর্জাতিক পরিচিতি বিবেচনায় নিলে সাকিব বাংলাদেশের এ যাবৎকালের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ক্রীড়া-তারকা- এই মন্তব্যের সঙ্গে দ্বিমত করবেন খুব কম মানুষই। এমনকি সব ক্ষেত্রে বিবেচনায় নিলেও সাকিবের অবস্থান থাকবে একেবারে উপরের দিকেই। 

নিজের পারফর্ম্যান্স এবং যোগ্যতা দিয়ে সাকিব আল হাসান আলোচনায় আসা কিংবা আলোচনায় থাকা নিয়ে নিশ্চয়ই কারও আপত্তি নেই।

কিন্তু সমস্যা হচ্ছে সাকিব নেতিবাচক বিষয় নিয়মিত আলোচনায় আসেন, আলোচনায় থাকেন। একজন অতি বড় সেলিব্রেটির, যাকে এই দেশের কিশোর তরুণদের একটা বড় অংশ আইকন বলে মনে করেন, তার নেতিবাচক বিষয় সংবাদের আসা অনেকেরই পছন্দ নয় নিশ্চয়ই।

মাঠে মেজাজ হারানো, উচ্ছৃঙ্খল আচরণের জন্য সাকিব শাস্তি পেয়েছেন, শাস্তি পেয়েছেন গ্যালারিতে বসে টিভি ক্যামেরার সামনে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করার জন্য। খেলা নিয়ে তার সবচেয়ে আলোচিত শাস্তিটি তাকে দেয়া হয় ২০১৯ সালে। ২০১৯ সালের ২৯শে অক্টোবর জুয়াড়ির সঙ্গে যোগাযোগের তথ্য গোপন করায় এক বছরের স্থগিতাদেশসহ সাকিবকে দুই বছরের জন্য সকল ধরনের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ করে আইসিসি।

সাকিবের এই শাস্তিটি খুবই উল্লেখযোগ্য, কারণ এটি নৈতিক স্খলনজনিত অপরাধ। কিশোর-তরুণদের একজন আইকনের নৈতিক স্খলন খুব খারাপ বার্তা দেয়। এরপর কিছুদিন আগে একটি জুয়ার সাইটের সঙ্গে স্পন্সরের চুক্তি করাকেও একই আঙ্গিকেই দেখা যায়। তীব্র সমালোচনা এবং ক্রিকেট বোর্ডের হুমকির পর তিনি পরে সরে আসেন সেই চুক্তি থেকে।

সম্প্রতি সাকিব আবার আলোচনায় এসেছেন আরেকটি নৈতিক স্খলনজনিত ঘটনায়। শেয়ারবাজার কারসাজিতে এসেছে তার নাম। শুধু তাই নয় তার কোম্পানির নামের ক্ষেত্রে ভুয়া বাবার নাম ব্যবহার করার অভিযোগ হয়েছে তার বিরুদ্ধে।

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) গত বছরের ৫ই মে থেকে চলতি বছরের ১০ই মার্চ পর্যন্ত ৪টি তদন্ত চালায়। বিএসইসি’র তদন্তে গত ২ বছরে কয়েকটি কোম্পানির শেয়ারের দাম হেরফের করার জন্য মোনার্ক হোল্ডিংসের শীর্ষ কর্মকর্তাদের দায়ী করা হয়েছে। মোনার্ক হোল্ডিংস ২০২০ সালের ১৯শে অক্টোবর ব্রোকারেজ হাউজ হিসেবে যাত্রা শুরু করে। প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান সাকিব আল হাসান।

এই প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাদিয়া হাসান, তার স্বামী আবুল খায়ের ও তাদের কয়েকজন আত্মীয়কে ৮ কোটি ৮০ লাখ টাকা জরিমানা করেছে বিএসইসি। 

নিয়ম লঙ্ঘন করে ফরচুন সুজ, বিডিকম অনলাইন, এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক ও ওয়ান ব্যাংকের শেয়ারের মূল্য ‘সিরিয়াল ট্রেডিংয়ের’ মাধ্যমে বাড়ানোর জন্য তাদের এ জরিমানা করা হয়েছে। নিজেদের মধ্যে লেনদেন করে কোনো প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বাড়ানোকে স্টক এক্সচেঞ্জের ভাষায় ‘সিরিয়াল ট্রেডিং’ বলা হয়। এভাবে শেয়ারের মূল্য প্রভাবিত করা আইনত নিষিদ্ধ।
শেয়ারের এই কারসাজির সময় ওই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সাকিবের নাম উঠে আসে। বিএসইসি অবশ্য তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করেনি। কেন তার বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হয়নি সেটা নিয়েও বিশ্লেষণ হওয়া উচিত, কিন্তু এই কলামের হাইপোথিসিস ভিন্ন।

আসলে শেয়ারবাজারের কারসাজির খবরটা পাবার পরেই আমার মাথায় প্রশ্ন এসেছিল আচ্ছা সাকিব কতো টাকার সম্পদের মালিক। খুঁজে দেখলাম কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংস্থা সাকিবের খেলা এবং অন্য সকল খাত থেকে অর্জিত সম্পদের একটা হিসাব করেছে যার পরিমাণ ৩৫০ থেকে ৪শ’ কোটি টাকা। সাকিব আল হাসান বাংলাদেশের মানদণ্ডে তো বটেই বৈশ্বিক মানদণ্ডেই এক বিরল প্রতিভাবান ক্রিকেটার। আর এখন যেহেতু ক্রিকেটের এক বিরাট বাজার তৈরি হয়েছে তাই সাকিব এতটা উপার্জন করারই কথা। এই তথ্যের সত্য/মিথ্যা নির্ণয় করা আসলে আমার উদ্দেশ্য নয়। 

সাকিবের এই বিরাট উপার্জন দেখে আমাদের কারও মনে কী প্রশ্ন এসেছে, যে মানুষটা তো নিজ যোগ্যতায় এত টাকা উপার্জন করতে পেরেছেন তিনি কেন শেয়ারবাজার কারসাজির মতো কাজ করতে যান? নিজের সুনামের প্রতি এত বড় হুমকি হয় এমন একটা কাজ করা কি তার জন্য বোকামি নয়? আসলে সাকিব বা আর কারও এমন পথে যাবার সম্ভাবনা অনেক অনেক বেশি।
পৃথিবীর সর্বোচ্চ ধনী হয়েছিলেন এমন দু’জন ধনকুবের, আমেরিকার বিল গেটস এবং মেক্সিকোর কার্লোস স্লিম। বিল গেটস ধনী হয়েছেন যুগান্তকারী অপারেটিং সিস্টেম উইন্ডোজের মালিক হিসেবে, আর কার্লোস স্লিম মূলত একজন টেলিকম ব্যবসায়ী। 

শুধুমাত্র নিজের প্রতিভা, উদ্ভাবনী ক্ষমতা, আর পরিশ্রম দিয়ে একেবারে সাধারণ অবস্থা থেকে পৃথিবীর শীর্ষ ধনীতে পরিণত হয়েছেন বিল গেটস। কার্লোস স্লিমের গল্পটা কিন্তু এমন নয়। এই ভদ্রলোক পৃথিবীর শীর্ষ ধনী হয়েছেন মেক্সিকোর ক্ষমতাসীন সরকারের ছত্রছায়ায়, তার অনুকূলে করা নানা রকম অন্যায় আইন এবং অন্যায় সুযোগ-সুবিধা ব্যবহার করে। মোটামুটি সুস্থ, সৎ, প্রতিযোগিতামূলক কোনো বাজার ব্যবস্থা থাকলে কার্লোস স্লিম পৃথিবীর সর্বোচ্চ ধনী হয়ে ওঠার প্রশ্নই আসতো না। শুধু তাই-ই না, এই ভদ্রলোককে অন্যায় সুবিধা দিতে গিয়ে মেক্সিকোর জাতীয় আয় ২০০৫ থেকে ২০০৯ এই চার বছরে কম হয়েছে প্রায় ১৫ লাখ কোটি টাকারও বেশি। 

বিল গেটস এবং কার্লোস স্লিমকে এইভাবে তুলনা করা হয়েছে ‘হোয়াই নেশনস ফেইল: দ্য অরিজিনস অব পাওয়ার, প্রসপ্যারিটি অ্যান্ড পভার্টি’ নামের বইটিতে। নানা কারণে বইটি এক অতি গুরুত্বপূর্ণ পাঠ আমাদের মতো দেশের মানুষের জন্য। বইটির লেখকদ্বয়, ড্যারন এসেমাগ্ল এবং জেমস এ রবিনসন অসাধারণ সব যুক্তি তথ্য-উপাত্ত উদাহরণ দিয়ে আমাদেরকে বুঝিয়েছেন কেন একটা দেশ সমৃদ্ধশালী হয়, আবার কেনই বা একটা দেশ গরিব থাকে, ব্যর্থ হয়। 

উল্লিখিত দুই ধনকুবেরকে আলোচনায় এনে তারা খুব চমৎকারভাবে দেখিয়ে দিয়েছেন কেন বিশ্বের শ্রেষ্ঠতম ধনী থাকা একটা দেশ পৃথিবীতে নানা দিকে নেতৃত্ব দেয়, আর আরেকটা দেশ পড়ে থাকে অনেক অনেক পেছনে। যাদের জনগোষ্ঠীর বিরাট একটা অংশের জীবনের লক্ষ্য হচ্ছে সীমান্ত পেরিয়ে আমেরিকায় ঢুকে যাওয়া।  

এর ব্যাখ্যা লেখকরা দিয়েছেন। তারা বলেন, একটা শিশু যখন আমেরিকায় জন্ম নিয়ে বেড়ে ওঠার সময় একটা বিষয় খুব স্পষ্টভাবে দেখে, সেই দেশে সে তার মেধা, যোগ্যতা, এবং পরিশ্রম অনুযায়ী ফল পাবে। ওই দেশ মানুষের উদ্যম, সৃজনশীলতাকে মূল্যায়ন করে। এমনকি এসব যোগ্যতা থাকলে সে বিল গেটসের মতো পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম ধনীতেও পরিণত হতে পারে। তাই একটা আমেরিকান শিশু সর্বোচ্চ মনোযোগ দেয় তার মেধা, যোগ্যতা, এবং পরিশ্রম এর দিকে। এভাবে সে তার রাষ্ট্রের অর্থনীতিতেও অনেক বেশি অবদান রাখতে পারে।

ওদিকে মেক্সিকোতে জন্মে, বেড়ে ওঠা একটা শিশু দেখে সেই সমাজে তাকে যদি সফল কিংবা ধনী হতে হয় তাকে সরকারের সঙ্গে এক ধরনের যোগসাজশ তৈরি করতে হবে। তার মেধা, উদ্ভাবনী শক্তি কিংবা পরিশ্রমের তেমন কোনো মূল্যায়ন ওই দেশে হবে না। তাই বেড়ে ওঠার সময় একজন মেক্সিকান তার মেধা, যোগ্যতা, পরিশ্রম এর প্রতি মনোযোগ দেয়ার বদলে তার জীবনের লক্ষ্য হয়ে দাঁড়ায় কীভাবে সরকারি সুযোগ-সুবিধা নেয়ার ওই চক্রের মধ্যে ঢোকা যায়। একটা রাষ্ট্রের বিপুল জনগোষ্ঠী যখন তার শ্রম এবং উদ্ভাবনী কাজ বাদ দিয়ে দেয় সেই জাতির অর্থনীতি এবং অন্য সবকিছু ধাপে ধাপে ভেঙে পড়তে বাধ্য। মেক্সিকোর ক্ষেত্রে ঠিক তাই হয়েছে।

‘হোয়াই নেশনস ফেইল’ বইয়ের তত্ত্ব অনুসারে এই দেশে একজন সাকিব তৈরি হওয়া কঠিন। সাকিব তার শৈশবে যে বাংলাদেশ দেখেছিলেন, সেটা এখনকার তুলনায় অনেক কম খারাপ ছিল, যা এখন চলে গেছে আরও ভয়ঙ্কর পর্যায়ে। এই দেশের চরম ত্রুটিপূর্ণ সিস্টেমেও একজন সাকিব জন্মেছেন এবং বেড়ে উঠেছেন। কিন্তু সাকিবরা যখন দেখবেন দীর্ঘ একটা ক্যারিয়ারে অমানুষিক পরিশ্রমের পর যত টাকা তিনি উপার্জন করতে পারেন সেই পরিমাণ কিংবা তার চাইতে আরও বেশি টাকা খুব অল্প সময়ের শেয়ার কারসাজি থেকে বা অন্য কোনো ফটকাবাজি থেকে বের করে নেয়া যায়। কিংবা একজন বড় ব্যবসায়ী যদি দেখেন মাথার ঘাম পায়ে ফেলে সময় দিয়ে ব্যবসা করে তিনি যে উপার্জন করতে পারেন তার চাইতে বহুগুণ বেশি তিনি আয় করতে পারেন ব্যাংকঋণ নিয়ে সেটা ইচ্ছাকৃতভাবে খেলাপি হয়ে, তাহলে তিনি সেটা করবেন না কেন? এই ক্ষেত্রে জরুরি শর্ত হচ্ছে ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে একটা ভালো যোগাযোগ এবং সুসম্পর্ক। 

বর্তমান বাংলাদেশে শুধু ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকলে কিংবা ক্ষমতাসীন দলের সদস্য হলে এই দেশের বাজারে কোনো রকম একটি চাকরি জোটাতে পারার যোগ্যতাহীন একজন মানুষও বানিয়ে ফেলতে পারে বিরাট অঙ্কের টাকা। আর একটি সাধারণ জেলা শহরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হতে পারলে তো ২ হাজার কোটি টাকা পাচার করার সক্ষমতা তৈরি হয়ে যায়।
সৎ পথে ব্যবসা করে কেউ ধনী হতে চাইতেই পারেন, সেই চাওয়া সাধুবাদ পাবার যোগ্য। কারও ধনী হওয়াতে দেশের অর্থনীতি এগিয়ে যায়, মানুষের কর্মসংস্থান হয়। কিন্তু যে দেশের সিস্টেমে শুধু সরকারি দলের সঙ্গে যোগসাজশ থাকলে যাচ্ছেতাই করে ফেলা যায়, সে দেশে উদ্ভাবনী শক্তি পরিশ্রম এসবের মাধ্যমে সফল হওয়া কিংবা ধনী হবার চেষ্টা হবে না এটাই স্বাভাবিক। সে দেশে হবে অসৎ পথে, ফাটকাবাজির মাধ্যমে টাকা বানানোর চেষ্টা। তাই সৃজনশীলতা, পরিশ্রম এসব বাদ দিয়ে মানুষের প্রধান লক্ষ্য হয়ে যায় কীভাবে সরকার এবং সরকারি দলের সঙ্গে ‘লাইন-ঘাট’ তৈরি করা যায়। আর এখন তো একবার যেকোনো পথে টাকা বানিয়ে ফেলতে পারলেই হলো।

গত দেড় থেকে দুই দশকে এই সমাজের আরেকটা বড় পরিবর্তন ঘটে গেছে- বর্তমানে যে কারও কাছে টাকা থাকলেই তিনি সে টাকা দিয়ে যেমন ভোগ করতে পারেন তেমনি পারেন মানুষের সমীহ আদায় করতে। অথচ এই সময়টার আগেই অসৎ মানুষরা অনেক উপার্জন করতেন কিন্তু সমাজের মাথা উঁচু করে চলতে পারতেন না। এখন আর ওসবের বালাই নেই। অসৎ আমলা, সরকারি কর্মচারী, পুলিশ, ব্যবসায়ী, ডাক্তার, শিক্ষক এবং সর্বোপরি রাজনৈতিক নেতাকর্মী কারও আয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যহীন ব্যয় এই সমাজে আর ন্যূনতম প্রশ্ন তৈরি করে না। বরং প্রত্যেকে এখন এসব অসীম লাভজনক ক্ষেত্রগুলোতে একটা জায়গা নিশ্চিত করার জন্য ছুটছে। এমন একটা পরিবেশ বজায় রেখে এই সমাজে সাকিব আল হাসানরা তৈরি হবে না, সেটা আমরা মনে করি কেন?

কেউ যদি মনে করেন, সাকিব আল হাসানের অপরাধকে লঘু করে দেখানোর চেষ্টা হচ্ছে, তাহলে তিনি আমাকে ভুল বুঝেছেন। যে অপরাধ তিনি করেছেন, সেটার শাস্তি হওয়া উচিত; হোক সেটা। কিন্তু ঘটনার ডামাডোলে পড়ে আমাদের মূল বিষয় থেকে বিচ্যুত হলে চলবে না। নাগরিক হিসেবে আমাদের এটুকু বুঝতেই হবে রাষ্ট্রের সিস্টেমটা ঠিক করতে না পারলে, অন্যায় অবিচারকে প্রশ্রয় দেয়ার সিস্টেমটা চালু থাকলে সেটা মানুষের জন্য ন্যায় নিশ্চিত করতে পারে না কোনোভাবেই। সেই সিস্টেমে অপরাধী তৈরি হওয়া অবধারিত, সেই অপরাধটা সাকিব করুন, কিংবা অন্য কেউ।

লেখাটি মানবজমিন থেকে সংগৃহীত। 

Bootstrap Image Preview