Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ শুক্রবার, মার্চ ২০২৪ | ১৫ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

এবার সাংবাদিকদের ‘দালাল’ বললেন কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেত্রী মরিয়ম মান্নান

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০২:১৮ PM
আপডেট: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০২:১৮ PM

bdmorning Image Preview
ছবি সংগৃহীত


গত কিছুদিন মরিয়ম মান্নানের মায়ের ‘নিখোঁজ’ হওয়া নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সবসময় ছিলো হইচই । মরিয়ম নিজেই দিয়ে আসছিলেন নানা আপডেট। একপর্যায়ে মায়ের মৃত্যুর খবর জানিয়ে তার ফেসবুক আইডি থেকে পোস্ট দেয়া হয়। এবার সেই আইডি থেকেই দেয়া হয়েছে মায়ের বেঁচে থাকার খবর।

প্রথমদিকে যারা মরিয়মের মায়ের খোঁজের আন্দোলনে এই মাধ্যমে লাইক, কমেন্টে শেয়ার করে ভার্চুয়ালি সঙ্গে ছিলেন, এখন তাদের অনেকেই মরিয়মের পোস্টে বিরূপ মন্তব্য করছেন। কেউ কেউ আবার বলছেন, ‘আবেগ ফেরত চাই’।

এ নিয়ে সাংবাদিকদের ওপর ‘ক্ষেপেছেন’ কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেত্রী মরিয়ম মান্নান। সাংবাদিকদের বিষোদগার করে ‘দালাল’ আখ্যা দিয়ে মায়ের জন্য করা আন্দোলনের জন্য যে চোখের জল পড়েছে তার দাম চেয়েছেন ফেসবুক ব্যবহারকারীদের কাছে।

পুলিশের অভিযানে জীবিত মাকে উদ্ধারের পর ফেসবুক পেজে এক পোস্টে মরিয়ম মান্নান তার মাকে খুঁজে পেতে সহায়তা করার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানান। তবে পোস্টটির কমেন্টে তিনি দেন বেশ আক্রমণাত্মক বক্তব্য।

দালাল সাংবাদিকরা যে যা লিখে দিল: মরিয়ম

 

এতে তিনি লিখেছেন, ‘দালাল সাংবাদিকরা যে যা দিল সব বিশ্বাস করে নিলেন এত সহজে? আর আমি আমার মায়ের জন্য এত সংগ্রাম করেছি, এত চোখের জল পড়েছে, সেটার কী দাম নেই?

‘আপনারা স্রোতে গা ভাসালেও আমি ভাসাই না, অপেক্ষা করছি শিগগিরই আপনারা সব জানবেন।’

মাকে খোঁজার পোস্টে যারা তার প্রতি ইতিবাচক ছিলেন, তাদের অনেকেই তার এই পোস্টে বিরূপ মন্তব্য করেন। ‘হা হা’ রিয়্যাক্ট দিয়েছেন বহু ফেসবুক ব্যবহারকারী।

সম্প্রতি মাসখানেক ধরে মরিয়ম দাবি করছেন, তার মা রহিমাকে গুম করা হয়েছে। এই দাবিতে সংবাদ সম্মেলন, মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচিও পালন করেন তিনি। মায়ের সন্ধানে মেয়ের এমন আহাজারি নিয়ে একাধিক সংবাদ আসে বিভিন্ন গণমাধ্যমে। সুশীল সমাজ থেকে শুরু করে সচেতন সব মহলই রহিমার লাপাত্তা হওয়ার ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানান।


বৃহস্পতিবার (সেপ্টেম্বর) ময়মনসিংহে এক নারীর গলিত লাশ উদ্ধার হলে মরিয়ম দাবি করেন এটাই তার মা রহিমার লাশ। যদিও পুলিশ বলেছিল উদ্ধার হওয়া লাশের বয়স আনুমানিক ৩০-এর বেশি নয়। যদিও সে সময় মরিয়ম দাবি করেন তিনি তার মার কাপড়, চুল ও শরীরের বিভিন্ন অংশ দেখে নিশ্চিত হয়েছেন, এটাই তার মা রহিমারাই লাশ।

তবে ঘটনা নাটকীয়তা পায় যখন রহিমাকে জীবিত উদ্ধার করে পুলিশ। জানা যায় তাদের বাসায় একসময় ভাড়া ছিলেন যে ব্যক্তি তার বাসা ফরিদপুর থেকে সুস্থ অবস্থায় উদ্ধার হন রহিমা। তারও আগে গত এক মাস থেকেই তিনি বিভিন্ন আত্মীয়স্বজনের বাসায় ছিলেন আত্মগোপনে।

পুলিশের ধারণা, জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতেই মা ও মেয়ে মিলে গুমের নাটক সাজিয়েছেন। আর মরিয়মের পরিবারের দায়ের করা মামলায় নাজেহাল হচ্ছে ছয় ব্যক্তি।

এ ঘটনায় মামলার আসামির স্বজনরা দাবি করেন, তারা ষড়যন্ত্রের শিকার। সুষ্ঠু তদন্ত ও মরিয়ম মান্নানসহ অন্যদের বিচার দাবি করেন তারা। এদিকে নিখোঁজ নিয়ে পরিবারের কেউ নাটক করে থাকলে তার বিচার চাইলেন রহিমা বেগমের ছেলে।

Bootstrap Image Preview