Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৬ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

বিশ্ববাজারে তেলের দাম আট মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছেছে

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১২:৫৪ PM
আপডেট: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১২:৫৪ PM

bdmorning Image Preview
ছবি সংগৃহীত


আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম কমা অব্যাহত রয়েছে এ সপ্তাহেও। শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) একদিনে প্রায় পাঁচ শতাংশ কমে আট মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছেছে এর দাম। দুই দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে মার্কিন ডলারের দর সর্বোচ্চ পর্যায়ে যাওয়া এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অর্থনৈতিক মন্দার শঙ্কা আরও তীব্র হওয়ার জেরে বিশ্ববাজারে তেলের দাম কমেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবর অনুসারে, শুক্রবার আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের বেঞ্চমার্ক ব্রেন্টের দাম ৪ দশমিক ৮ শতাংশ বা ব্যারেলপ্রতি ৪ দশমিক ৩১ ডলার কমে ৮৬ দশমিক ১৫ ডলারে দাঁড়িয়েছে। এ নিয়ে গত এক সপ্তাহে প্রায় ছয় শতাংশ কমলো ব্রেন্টের দাম।এদিন যুক্তরাষ্ট্রের তেলের বেঞ্চমার্ক ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (ডব্লিউটিআই) দামও ৪ দশমিক ৮ শতাংশ বা ব্যারেলপ্রতি ৪ দশমিক ৭৫ ডলার কমে ৭৮ দশমিক ৭৪ ডলারে দাঁড়িয়েছে। এ নিয়ে এক সপ্তাহে ডব্লিউটিআইয়ের দাম কমেছে প্রায় সাত শতাংশ।

এ নিয়ে টানা চতুর্থ সপ্তাহ উভয় বেঞ্চমার্কের দামই কমলো। গত বছরের ডিসেম্বরের পর থেকে এ ধরনের ঘটনা এটিই প্রথম। এদিন ডব্লিউটিআইয়ের দাম গত ১০ জানুয়ারির থেকে সর্বনিম্ন এবং ব্রেন্টের দাম ১৪ জানুয়ারির পর থেকে সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছেছে।শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের গ্যাসোলিন (পেট্রল) এবং ডিজেলের ভবিষ্যৎ মূল্যও (ফিউচার প্রাইস) কমেছে পাঁচ শতাংশের বেশি।গত বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) এক লাফে সুদের হার ৭৫ বেসিস পয়েন্ট বাড়ানোর ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক। এর সঙ্গে তাল মিলিয়ে সুদের হার বাড়িয়েছে বিশ্বের অন্যান্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোও। এতে আবারও মাথাচাড়া দিয়েছে অর্থনৈতিক মন্দার ঝুঁকি।

ডেটা ও অ্যানালিটিক্স ফার্ম ওনাডার জ্যেষ্ঠ বাজার বিশ্লেষক এডওয়ার্ড মোয়া বলেন, মনে হচ্ছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো সুদের হার বাড়ানোর ক্ষেত্রে আক্রমণাত্মক থাকতে প্রস্তুত। এটি অর্থনৈতিক কার্যকলাপ ও অপরিশোধিত তেলের স্বল্পমেয়াদী চাহিদার দৃষ্টিভঙ্গি উভয়কেই দুর্বল করবে।২০০২ সালের মে মাসের পর থেকে বেশ কয়েকটি প্রধান মুদ্রার বিপরীতে সর্বোচ্চ দরে পৌঁছেছে মার্কিন ডলার। ডলারের মান বাড়লে অন্যান্য মুদ্রা ব্যবহার করে ক্রেতাদের জন্য জ্বালানি কেনা আরও ব্যয়বহুল হয়ে ওঠে, যার ফলে চাহিদা কমে যায়।

নিউইয়র্কের এগেইন ক্যাপিটাল এলএলসি’র অংশীদার জন কিলডফ বলেন, এখানে ডলারের দাম বিস্ফোরিত হওয়ার মতো বেড়েছে এবং তেলের মতো ডলার-প্রধান পণ্যগুলোর দাম নিম্নমুখী হয়ে পড়েছে। এছাড়া কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো সুদের হার বাড়ানোয় বিশ্বব্যাপী মন্দার আশঙ্কা বাড়ছে।

Bootstrap Image Preview