Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ শুক্রবার, মার্চ ২০২৪ | ১৪ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

ব্রিটেনের দায়িত্ব নিলেন নতুন রাজা চার্লস

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১২:১১ AM
আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১২:১১ AM

bdmorning Image Preview
ছবি সংগৃহীত


ব্রিটিশ রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুতে দেশটির নতুন রাজা তার ছেলে ও সাবেক প্রিন্স অব ওয়েলস চার্লস। শিগগিরই শোকহত নাগরিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বক্তৃতা দেবেন।

ব্রিটেনকে সবচেয়ে বেশি সময় শাসন করেছেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। তার শাসনকাল ছিল ৭০ বছর। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার বাকিংহাম প্রাসাদ থেকে তার মৃত্যুর খবর দেয়া হয়েছে। এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার বিকালে বালমোরালে শান্তিতে মারা গেছেন ব্রিটিশ রানি।

ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ মারা গেছেন। স্কটল্যান্ডের বালমোরাল দুর্গে ৯৬ বছর বয়সে মৃত্যু হয় রানির। বাকিংহ্যাম প্যালেস বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

ব্রিটেনের সবচেয়ে বেশি সময় ক্ষমতায় থাকা রানি দ্বিতীয় এলিভাবেথ স্কটল্যান্ডের বালমোরাল দুর্গে গ্রীষ্মকালীন অবকাশ কাটাচ্ছিলেন। সেখানে তিনি ভালোই ছিলেন।

বৃহস্পতিবার সকালে রানির স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর চিকিৎসকরা উদ্বেগ জানান। তখন তারা রানিকে তত্ত্বাবধানে থাকার পরামর্শ দিয়েছিলেন। রানির অসুস্থতার খবরে স্কটল্যান্ড ছুটে যান তার স্বজনরা। লন্ডন সময় সন্ধ্যায় তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে বাকিংহ্যাম প্যালেস।

সংবাদমাধ্যম, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম- সবখানেই বহুল আলোচিত এবং জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব ছিলেন এলিজাবেথ। ৭০ বছরের শাসনামলে ১৫ জনকে প্রধানমন্ত্রী পদে নিয়োগ দিয়ে অনন্য এক রেকর্ড গড়েছেন তিনি।

বয়সটা নব্বইয়ের ঘরে হলেও, সদা হাস্যোজ্জ্বল ছিলেন এলিজাবেথ। তার আরচণে গম্ভীর্যতা থাকলেও কোথাও যেন চিরতরুণীর আবহ খুঁজে পাওয়া যেত; যেন বার্ধ্যক্য সে অর্থে ছুঁতেই পারেনি তাকে।

লন্ডনের মেফেয়ারে ইয়র্কের ডিউক এবং ডাচেস (পরে রাজা জর্জ এবং রাণী এলিজাবেথ)-এর প্রথম সন্তান এলিজাবেথ আলেকজান্ড্রা ম্যারি। সময়টা ১৯২৬ সালের ২১ এপ্রিল।

তার বাবা ১৯৩৬ সালে নিজের ভাই রাজা অষ্টম এডওয়ার্ডের পর সিংহাসনে বসেন। তখন থেকেই সিংহাসনের উত্তরাধিকারী ছিলেন ১০ বছরের এলিজাবেথ।

১৭ বছরের অপেক্ষায় অবসান ঘটে ১৯৫৩ সালে। এ বছরের ২ জুন ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের মুকুট মাথায় নেন ২৭ বছরের এলিজাবেথ। তবে এক বছর আগে ১৯৫২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি রাজা জর্জ মারা গেলে, সেদিনই রানি হন এলিজাবেথ।

প্রাসাদেই ব্যক্তিগতভাবে শিক্ষিত হয়েছিলেন এলিজাবেথ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর নারী বিভাগ-অগজিলিয়ারি টেরটোরিয়াল সার্ভিসে যোগদান করে জনসাধারণের দায়িত্ব পালন শুরু করেছিলেন তিনি।

১৯৪৭ সালে গ্রিস ও ডেনমার্কের সাবেক প্রিন্স ডিউক অফ এডিনবরা ফিলিপকে বিয়ে করেন এলিজাবেথ। এই দম্পতির চার সন্তান; ওয়েলসের প্রিন্স চার্লস, প্রিন্সেন অ্যান, ইয়র্কের ডিউক প্রিন্স অ্যান্ড্রু এবং ওয়েসেক্সের আর্ল প্রিন্স এডওয়ার্ড।

বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় থাকা এই ব্রিটিশ শাসক প্রায়শই প্রজাতন্ত্রের অনুভূতি এবং রাজপরিবারের চাপে সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছেন। ১৯৯৭ সালে পুত্রবধূ ডায়ানার মৃত্যুর পর, ব্যাপক সমালোচিত হন এলিজাবেথ।

গ্রীষ্মকালীন ছুটি কাটাতে স্কটল্যান্ডের বালিমোর ক্যাসেলে অবস্থান করছিলেন রানি। সেখান থেকেই রানির অসুস্থতার কথা প্রথম প্রকাশ হয়।

জানানো হয়, চলাচলে সমস্যা দেখা দেয়ায় নতুন প্রধানমন্ত্রীকে নিয়োগ দিতে লন্ডনের বাকিংহ্যাম প্যালেসে ফিরতে পারবেন না রানি। তাই রানির ৭০ বছরের শাসনামলে এই প্রথম স্কটল্যান্ড থেকে নিয়োগ দেয়া হয় লিজ ট্রাসকে।

এর দু’দিন পর বৃহস্পতিবার নতুন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে নির্ধারিত একটি বৈঠক বাতিল করেন রানি। জানানো হয়েছিল, রানির শারীরিক অবস্থা গুরুতর। চিকিৎসকের পর্যবেক্ষণে আছেন তিনি। অবশেষে লন্ডন সময় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তার মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করে বাকিংহ্যাম প্যালেস।

 

Bootstrap Image Preview