ব্রিটিশ ঔপন্যাসিক সালমান রুশদির ওপর শুক্রবার হামলা হয়। হাদি মাতার নামে একজন লেবাননি বংশোদ্ভূত আমেরিকান তার গলা ও তলপেটে ছুরিকাঘাত করেন৷
১৯৮৮ সালে সাটানিক ভার্সেস নামে একটি উপন্যাস লেখার কারণে তার ওপর মৃত্যু পরোয়ানা জারি করেছিলেন ইরানের সাবেক ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খোমেনি৷
ফলে নিজ মাথার ওপর ৩১ বছর ধরে ইরানের মৃত্যু পরোয়ানা নিয়ে ঘুরছিলেন সালমান রুশদি।
তার ওপর এমন হামলার পর কি প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে ইরান? কি বলেছে তারা, বা ইরানের সাধারণ মানুষের প্রতিক্রিয়াই বা কি?
গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, সালমান রুশদির ওপর হামলা নিয়ে ইরানের সাধারণ মানুষের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া চলছে৷
তবে দেশটির গণমাধ্যমগুলো সালমান রুশদির ওপর হামলাটি বেশ ফলাও করে প্রচার করেছে৷ সংবাদ মাধ্যমগুলো তাকে নিয়ে বেশ তীর্যক শিরোনাম করেছে৷
তবে ইরানের সরকার বিষয়টি নিয়ে চুপচাপ আছে। তারা এ হামলা নিয়ে সতর্কতা বজায় রেখে চলছে৷
ইরানের পাশাপাশি ইরাকের সংবাদ মাধ্যমগুলো বিষয়টি নিয়ে উল্লাস প্রকাশ করেছে।
ইরানের একটি সংবাদ মাধ্যম বলেছে, অভিশপ্ত সালমান রুশদি আমেরিকায় ছুরিকাহত।
খোরসানের দ্বিতীয় সংস্করণে বলা হয়েছে, সাটানিক ভার্সেসের লেখক নিউইয়র্কে হামলার স্বীকার।
ইরাকের ইরানপন্থি সংবাদ মাধ্যম তাদের শিরোনাম করেছে , শান্তি বর্ষিত হোক, সৃষ্টিকর্তার প্রতিশোধ।
তবে ইরানের একজন পারমাণবিক কর্মকর্তা বিষয়টি নিয়ে হুশিয়ারি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এটা ইরান ও মুসলিমদের বিরুদ্ধে একটি ষড়যন্ত্র। যে সময় পারমাণবিক চুক্তি নিয়ে কথা হচ্ছে তখনই হামলা হলো৷
অনেক সাধারণ ইরানি বলেছেন, তারা হামলা সমর্থন করেন না।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান