Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ শুক্রবার, মার্চ ২০২৪ | ১৫ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

পিআইজে কারা?

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮ আগস্ট ২০২২, ১০:২০ AM
আপডেট: ০৮ আগস্ট ২০২২, ১০:২০ AM

bdmorning Image Preview


সম্প্রতি হামাস নয় প্যালেস্টাইন ইসলামিক জিহাদ (পিআইজে) নামের একটি গোষ্ঠীর নেতাদের লক্ষ্য করে পশ্চিম তীরে (গাজা উপত্যকা) হামলা জোরদার করেছে ইসরায়েল। ফলে এখন পর্যন্ত প্রায় অর্ধ শতাধিক মানুষের প্রাণ গেছে। অনেকের মনেই তাই প্রশ্ন জেগেছে, হামাস ও ফাতাহর নাম শুনলেও এদের নাম তো আগে খুব একটা শোনা যায়নি! এরা আসলে কারা? ইসরায়েলেরইবা এদের ওপর এতো ক্ষোভ কেন?

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী ইয়ার লাপিদ জোরা গলায় দাবি করেছেন, ইসলামিক জিহাদের সহায়তা আসে ইরান থেকে। তারা ইরানের হয়ে ইসরায়েলকে ধ্বংস করার পায়তাঁরায় ব্যস্ত।

তথ্য বলছে, ইসলামিক জিহাদের জন্ম ১৯৮১ সালে, মিসরে অবস্থানকারী একদল ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীর হাতে। যাদের লক্ষ্য ছিল গাজাকে ইসরায়েলের দখলমুক্ত করা। পশ্চিম তীর ও ইসরায়েল নামে পরিচিত ভূখণ্ড নিয়ে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। 

গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনিদের দুটি সশস্ত্র গোষ্ঠী আছে, একটি ইসলামিক জিহাদ, অপরটি হামাস। তবে সক্ষমতার বিচারে ও আকারে হামাসের তুলনায় ছোট ইসলামিক জিহাদ।

জানা যায়, ইসলামিক জিহাদকে পরামর্শ, প্রশিক্ষণ ও অর্থ দিয়ে সহায়তা করে আসছে ইরান। যদিও নিজেদের অস্ত্রের বেশিরভাগই স্থানীয়ভাবে তৈরি ইসলামিক জিহাদ। গাজাভিত্তিক হলেও লেবানন ও সিরিয়ায় তাদের নেতাদের উপস্থিতি রয়েছে সংস্থাটিতে। ইরানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের কথাও শোনা যায়। 

২০১৯ সালেও ইসরায়েলি বাহিনীর এক হামলায় বাহা আবু এল-আতা নামে ইসলামিক জিহাদের এক নেতা নিহত হন। এরপর তাঁর স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন তায়সির আল-জাবারি, শুক্রবার তাকেও হত্যা করেছে ইসরায়েল। ২০১৪ সালে গাজা যুদ্ধের পর থেকে আবু এল-আতা ইসলামিক জিহাদের প্রথম প্রভাবশালী কোনো নেতা, যিনি হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন।

Bootstrap Image Preview