ডোপিং কেলেঙ্কারিতে শাস্তি পেলেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের পেসার শহিদুল ইসলাম। তাকে ১০ মাসের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আইসিসি।
বাংলাদেশের হয়ে একটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলা ২৭ বছর বয়সী এই পেসার আগামী ১০ মাস সব ধরণের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ থাকবেন।
আইসিসির ওয়েবসাইটে বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অপরাধ স্বীকার করে নেয়ায় আইসিসির অ্যান্টি ডোপিং কোড ২.১ অনুযায়ী, গেল ২৮ মে থেকে এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়েছে। ২০২৩ সালের ২৮ মার্চের পর থেকে আবারও বাইশগজে ফিরতে পারবেন এই পেসার।
জানা গেছে, শহীদুলের মূত্রের নমুনা পরীক্ষায় ওয়াডার নিষিদ্ধ বস্তু ক্লোমিফেনের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। আইসিসির প্রতিযোগিতা বহির্ভূত টেস্টিং প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে এই নমুনা দিয়েছিলেন তিনি।
নিষেধাজ্ঞা দেয়ার পাশাপাশি আইসিসি জানিয়েছে, ওষুধ আকারে এই নিষিদ্ধ বস্তু অনিচ্ছাকৃতভাবে শরীরে প্রবেশ করান শহীদুল। সাধারণত এটা থেরাপির জন্য চিকিৎসকরা ব্যবহারের পরামর্শ দেন। শহীদুলও জানিয়েছে, পারফরম্যান্স বর্ধক হিসেবে এটি ব্যবহার করেননি তিনি।
ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই চোটের সঙ্গে লড়ছেন শহিদুল। চলমান ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টির স্কোয়াডেও নাম ছিল তার। কিন্তু সাইড স্ট্রেইনের চোটের কারণে শেষ মুহূর্তে ছিটকে পড়েন।
এর আগে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে স্কোয়াডে ছিলেন শহিদুল ইসলাম কিন্তু কোনো ম্যাচেই খেলা হয়নি তার। প্রথম টেস্টে শরিফুল ইসলাম ইনজুরিতে পড়লে দ্বিতীয় টেস্টে দল আস্থা রাখে এবাদত ও খালেদের ওপরে। তবে ঢাকা টেস্টেই বদলি ফিল্ডার হিসেবে মাঠে নেমেছিলেন শহিদুল। নেমেই পেয়েছেন চোট। সেই চোটেই ক্যারিবিয়ান স্বপ্নভঙ্গ হয় তার।
এদিকে, জাতীয় দলের হয়ে একটি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন এই পেসার। পাকিস্তানের বিপক্ষে ঘরের মাঠে তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে খেলেছিলেন শহীদুল। নেন মোহাম্মদ রিজওয়ানের উইকেটও। এছাড়া নিউজিল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের দলেও ছিলেন তিনি। যদিও জায়গা হয়নি কোনো ম্যাচে।