Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২০ শনিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

পদ্মা সেতু খুলে গেলো আর হেরে গেলো ‘ওরা’

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৭ জুন ২০২২, ০৬:২৪ PM
আপডেট: ২৭ জুন ২০২২, ০৬:২৪ PM

bdmorning Image Preview
ছবি সংগৃহীত


মাসুদা ভাট্টি।। পৃথিবীর সকল দেশই রাজনৈতিকভাবে বিভক্ত। ভোটের রাজনীতিতে ও গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে রাষ্ট্রসমূহ বিভক্ত থাকবে এটাই এখন সিদ্ধ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যেমন জনগণ মোটা দাগে ডেমোক্রেট ও রিপাবলিকান দলে বিভক্ত। এর মাঝে আর কোনও দল নেই। যুক্তরাজ্যে লেবার ও কনজারভেটিভ নামে দুই দলের সমর্থক মোটাদাগে বিভক্ত হলেও মাঝখানে লিবারেল ডেমোক্র্যাট নামে আরেকটি দল আছে। আমরা দেখেছিলাম যে ব্রেক্সিট ভোটের সময় হঠাৎ করেই ইউকে ইন্ডিপেন্ডেন্ট পার্টি বা ইউকিপ বলে একটি চরম সাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক দল গঠন করা হয়েছিল, যারা মূলত কট্টর কনজারভেটিভ বা রক্ষণশীল দলেরই সমর্থক।

পৃথিবী ও তথ্যপ্রবাহ অবাধ হওয়ার ফলে রক্ষণশীল দলের জন্যও আর আগের মতো কট্টরপন্থী হয়ে থাকা সম্ভব হচ্ছিল না, কিন্তু যেটুকু ছাড় দিয়ে রক্ষণশীল দল এখনও কট্টরই রয়েছে সেটুকুও যারা মেনে নিতে পারেনি তারাই ইউকিপ নামের দল গঠন করেছিল। পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোর রাজনৈতিক বিভক্তি নিয়ে এত কথা বলার উদ্দেশ্য হচ্ছে, এসব দেশের জনগণ রাজনৈতিকভাবে বা ভোটদানের ক্ষেত্রে বিভক্ত হলেও কোথাও কারও হাতে জাতীয় স্বার্থ সামান্য ক্ষুণ্ন হলেই পুরো দেশ একত্রিত হয়ে তার প্রতিবাদ করে এবং জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় জনগণ একযোগে ঝাঁপিয়ে পড়ে। কিন্তু পৃথিবীতে যে এর ব্যতিক্রমও রয়েছে সেটাও সত্য।

জামাল আবদেল নাসের ষাটের দশকের পৃথিবীতে বিশেষ করে দ্বিতীয় মহাযুদ্ধোত্তর পৃথিবীতে জাতীয়তাবাদী নেতা হিসেবে বিখ্যাত হয়ে আছেন। তিনি তার ৫০ হাজারেরও বেশি সমর্থকদের উপস্থিতিতে বিখ্যাত সুয়েজ খাল জাতীয়করণের ঘোষণা দেন। সুয়েজ খাল এশিয়া ও ইউরোপকে যুক্ত করা একটি উল্লেখযোগ্য বাণিজ্যপথ। এই খালটির নিয়ন্ত্রণ ছিল ব্রিটিশ ও ফরাসি কোম্পানির হাতে। ফলে প্রেসিডেন্ট নাসের যখন একে জাতীয়করণের ঘোষণা দিলেন তখন মিসরের বিরুদ্ধে ইসরায়েল, ফ্রান্স ও ব্রিটেন একযোগে যুদ্ধ ঘোষণা করে এবং আক্রমণ করে বসে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর হঠাৎ করে মধ্যপ্রাচ্যে এই উত্তেজনা বিশ্বকে আবারও ভড়কে দেয়। নাসেরকে সমর্থন দেন জাতীয়তাবাদী অন্যান্য বৈশ্বিক নেতৃবৃন্দ এবং তার দেশের জনগণ। সরকারি ও বিরোধী সকল পক্ষই নাসেরকে এ সময় সমর্থন দিয়ে দেশের ভেতর জনগণের ঐক্য গড়ে তোলে। আন্তর্জাতিকভাবে এই আক্রমণকে নিন্দা জানানো হয় দেশের ভেতরকার এই ঐক্য ও মিসরীয়দের প্রতিবাদী হয়ে ওঠার ফলেই। আক্রমণকারী পক্ষটি পিছু হঠতে বাধ্য হয়, একটি চুক্তিও সম্পাদিত হয়। মিসর সুয়েজ খালের একক নিয়ন্ত্রণ লাভ করে।

সেটা সেই ষাটের দশকের ঘটনা, পৃথিবী বদলেছে এবং সেই সঙ্গে পৃথিবীর বাস্তবতাও। এই সময়ে দাঁড়িয়ে শেখ হাসিনা যখন বাংলাদেশের রাজধানী থেকে ভয়ংকরী পদ্মা নদী দিয়ে বিচ্ছিন্ন থাকা দেশের একুশটি জেলাকে যুক্ত করার জন্য একটি সেতু নির্মাণের ঘোষণা দেন তখন সেটিকে একটি ‘জাতীয়তাবাদী’ চেতনা হিসেবেই প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হন তিনি। তিনি পদ্মা সেতু নির্মাণকে যুক্ত করেন তার দলের নির্বাচনি মেনিফেস্টোতে, যার নাম আওয়ামী লীগ দিয়েছিল ‘দিন বদলের সনদ’। আমরা লক্ষ করে দেখি যে বাংলাদেশের মতো একটি দেশে নির্বাচনি প্রতিশ্রুতি দিয়ে তা বাস্তবায়ন না করাটাই দস্তুর হয়েছিল সামরিক জান্তাদের দ্বারা এবং তাদের হাতে গড়া দল দুটিও নির্বাচনি প্রতিশ্রুতিকে কেবল ক্ষমতায় যাওয়ার আগে জনগণের সামনে মুলা ঝোলানোর কৌশল হিসেবেই দেখে অভ্যস্ত। কিন্তু শেখ হাসিনা আমাদের অন্য বাস্তবতায় অভ্যস্ত হতে শেখান। নির্বাচনি মেনিফেস্টো ধরে ধরে তার বাস্তবায়ন করাটা বাংলাদেশ প্রথম দেখতে শুরু করে ১৯৯৬ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর এবং তা আরও বাস্তবানুগ হয়ে ওঠে ২০০৯ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচার কিংবা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পাদনের মতো পদ্মা সেতু নির্মাণকেও আমরা যদি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকারের নির্বাচনি প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের নিরিখে দেখি তাহলে আমাদের এই সিদ্ধান্ত গ্রহণে মোটেও অসুবিধা হয় না যে এসব প্রকল্পে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র হওয়াটা মোটেও অবাস্তব বা অনাকাঙ্ক্ষিত কোনও ঘটনা নয়। বরং এটাই হওয়ার কথা ছিল এবং সেটাই হয়েছে। আজকে পদ্মা সেতু একটি বাস্তব সত্য, সকল কাঁটা ধন্য করে পদ্মা সেতু সাধারণের ব্যবহারের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে এবং আজ (২৬ জুন রবিবার, ২০২২) হাজার হাজার মানুষ পদ্মা সেতু দিয়ে এপার-ওপার করছে, কেউ কাজে কেউ অ-কাজে, কিন্তু তাদের জীবন আজ ভয়াল পদ্মা পার হওয়ার দুঃসহ স্মৃতিভার থেকে মুক্ত হয়েছে– এ কথা আপনি ওখানে দাঁড়িয়ে যাকেই জিজ্ঞেস করবেন সেই-ই এর উত্তরে এটা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলবে। এমনই এক ব্যক্তিকে প্রশ্ন করা হয়েছিল যে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন হওয়ায় অনেকের শরীর ও মন দুই-ই আজ জ্বলছে। নাম না জানা সে ব্যক্তি একগাল হেসে বলেছেন যে, ‘যাদের জ্বলছে আমি তাদের পরামর্শ দেবো শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে গিয়ে বিনামূল্যে চিকিৎসা গ্রহণের জন্য’। আজকের দিনে এটাই পদ্মা সেতু বিরোধীদের জন্য মোক্ষম উত্তর।

আগেই বলেছি মিসরের প্রেসিডেন্ট নাসেরকে আন্তর্জাতিক চাপ মোকাবিলা করতে হয়েছে, দেশের ভেতর তার সেই জাতীয়তাবাদী পদক্ষেপের কোনও বিরোধী পক্ষ ছিল না। কিন্তু বাংলাদেশে তা হয়নি, বাংলাদেশে কেবল শেখ হাসিনার রাজনৈতিক বিরোধী পক্ষই নয়, একদল বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক, গবেষক এবং এনজিও’র মালিক পদ্মা সেতু নির্মাণের বিরোধিতা করেছেন। অজুহাত হিসেবে তারা দেখিয়েছেন বিশ্বব্যাংকের ‘দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের’ অভিযোগকে। বিশ্ব ইতিহাসেও এটি বিরল যে কোনও প্রকল্পে অর্থছাড় হওয়ার আগেই তাতে ‘দুর্নীতির ষড়যন্ত্র’ হয়েছে বলে তা থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করাই কেবল নয়, এই প্রকল্প যাতে বাস্তবায়িত না হয় সেজন্য কানাডার আদালতে মামলা পর্যন্ত করা হলো। আমরা জানি, বিশ্বব্যাংক দেশে দেশে তাদের সমর্থক ও তল্পিবাহক পুষে থাকে। যেকোনও পশ্চিমা আন্তর্জাতিক সংস্থাই বাংলাদেশের মতো ‘ক্লায়েন্ট স্টেট’গুলোতে নিজেদের ‘গলাবাজি’ জারি রাখার জন্য ‘পোষ্য’ রেখে থাকেন। বাংলাদেশেও আমরা যাদের পদ্মা সেতুর দুর্নীতি নিয়ে ‘ভোকাল’ হতে দেখেছি তাদের বেশিরভাগই হয় এ দেশে পশ্চিমা ‘প্রেসক্রিপশন’ বাস্তবায়নের জন্য অর্থপ্রাপ্ত অথবা সরাসরি সেখানে কাজ করার অভিজ্ঞতা নিয়ে বসে আছেন। যেকোনও দেশেই জাতীয়তাবাদী চেতনার যাতে বড় কোনও উন্মেষ না ঘটে সে লক্ষ্যে পশ্চিমা উন্নয়ন সংস্থাগুলোর বিশেষ বরাদ্দ থাকে সবসময়। বাংলাদেশের জন্যও রয়েছে। তা সবসময় সরাসরি দেওয়া হয় তা নয়, এসব অর্থ নানা পথে, নানা উপায়ে দিয়ে এই বিরাট সংখ্যক ‘বিশিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে’ বরাদ্দ দেওয়া হয়। একটা উদাহরণ দিচ্ছি। বাংলাদেশের একটি এনজিও ৫ মে হেফাজতের তাণ্ডবে হাজার হাজার মৃতের সংখ্যা উল্লেখ করে রিপোর্ট দিয়েছিল, যেখানে হাজার হাজার লাশের ছবিও সংযুক্ত করা হয়েছিল, যার সঙ্গে ৫ মে’র  ঘটনার কোনও যোগসূত্র ছিল না বলে প্রমাণ হওয়ার পরও সেই ‘অধিকারবালক’-কে নিয়ে পশ্চিমের মাতামাতি তো এখনও চোখে পড়ার মতোই। ফলে শেখ হাসিনার মতো একজন জাতীয়তাবাদী নেতার নেওয়া উন্নয়ন-সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে পশ্চিমা চাপের সঙ্গে এরা সুর মেলাবেন তাতে বিস্মিত হওয়ার কিছুই নেই। সুখের কথা হলো, এই শ্রেণিটি পদ্মা সেতুর সুবিধাভোগী শ্রেণিও নয়। তাদের উন্নয়নের জন্য পদ্মা সেতুর প্রয়োজন নেই, তারা ঢাকায় বসে পদ্মা সেতুর ফলে ‘দেশের উন্নয়ন হলো না ক্ষতি হলো’ সে বিষয়ে দিস্তার পর দিস্তা ছোট ছোট অক্ষর ভরা রিপোর্ট লিখবেন এবং দেশি-বিদেশি সেমিনারে সেটা পাঠ করবেন আর ডলার/পাউন্ডে ‘পেমেন্ট’ নেবেন নিজের জন্য কিংবা প্রতিষ্ঠানের জন্য– পদ্মা সেতুর সঙ্গে তাদের যোগাযোগ এটুকুনই।

বাংলাদেশের মতো ‘উন্নয়ন ক্ষুধার্ত’ (ডেভেলপমেন্ট হাংরি) দেশের জন্য ‘গোয়িং স্মল’ নীতি হলো সবচেয়ে কার্যকর। এরকম ক্ষেত্রে দরিদ্র শিশুদের দু’বেলা ভাতের জোগানের সঙ্গে ‘ক্রিমিনাশক’ বড়ি দেওয়াও জরুরি একারণে যে, যাতে এই অভুক্ত শিশুরা নতুন করে আবার অপুষ্টিতে না ভোগে। এ দেশের চালিকাশক্তি হলো এই বিপুল সংখ্যক প্রান্তিক জনগোষ্ঠী। যাদের সঙ্গে রাজধানী বা উন্নয়নের কেন্দ্রের সরাসরি সংযোগ স্থাপিত হলে আপনি যতই উন্নয়ন উন্নয়ন বলে চিৎকার করেন না কেন আসলে একটি বিরাট ফাঁকি থেকেই যাবে। আবার এই সংযোগ স্থাপনের ফলে দেশের দারিদ্র্যের হার যদি কমে যায় তাহলে এই শহুরে ‘উন্নয়নজীবী’-দের তহবিলে বিদেশি অর্থের জোগান কমে যাবে– এটি একটি ‘চেইন’ প্রক্রিয়া।

২০১৯ সালে অর্থনীতিতে নোবেল পাওয়া অভিজিৎ-দম্পতি এই দরিদ্র ও তাদের দারিদ্র্য নিয়ে কাজ করেই বিশ্ব-স্বীকৃতি পেয়েছেন। গতকালকের লেখায় বলেছিলাম যে চিকিৎসা কিংবা চাকরির ইন্টারভিউ অথবা উচ্চশিক্ষার জন্য ঢাকায় আসতে আসতে যদি পদ্মা পাড়ি দিতেই ‘সিস্টেম লস’-এর শিকার হয় হাজার হাজার জনগণ, তাহলে সেই উন্নয়ন তো টেকসই হলো না, তাতে না রাজধানীকে উন্নয়নের কেন্দ্র করা গেলো, না ব্যক্তি বা পরিবার সরাসরি উন্নয়নের সুফল পেলো। পদ্মা সেতুর এখানেই কেরামতি। দেশজ উৎপাদন ব্যবস্থা, অর্থনীতি এবং উন্নয়নের সঙ্গে সরাসরি সাধারণ মানুষের যোগাযোগ স্থাপিত হলো এই সেতু দিয়ে। এ কথা আলোচ্য বিশিষ্টজনেরা বোঝেন না তা নয়, স্বীকার করেন না। কিন্তু ২৫ জুন যখন সারা দেশে এক অভূতপূর্ব জোয়ার উঠলো পদ্মা সেতুর উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে, তখন তাদের মধ্যকার চিহ্নিত ব্যক্তিদের সুরও ঘুরে গেলো, তারা সমস্বরে শেখ হাসিনার উন্নয়ন-দিশার প্রশংসাগীত গাইতে শুরু করলেন। মানুষের কণ্ঠস্বরকে বোঝার জন্য তাদের ধন্যবাদ দিতেই হবে এবং স্বাভাবিকভাবেই মানুষ সে বিরোধিতার স্মৃতি আর মনে রাখবে না, পদ্মা সেতু-পরবর্তী যুগে যারা জন্মাবে তারা কিংবা যারা এই বিরোধিতার সময়কে পার করে এসেছেন তারাও।

যদিও পদ্মা সেতুর এই বিরোধী পক্ষের রাজনীতি থেকে বাংলাদেশ কিন্তু মুক্ত হলো না। একটি বড় রাজনৈতিক দল যেমন পদ্মা সেতুর বিরোধিতাকেই মনে করছেন এই মুহূর্তের সঠিক রাজনীতি। তেমনি দেশের একজন নোবেল বিজয়ী দেশের প্রান্তিক ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত জনগণের জন্য এক পয়সা খরচ না করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি শক্তিশালী ফাউন্ডেশনের তহবিলে কোটি কোটি টাকা দান ঢালছেন। এই দুই পক্ষের রাজনীতি বাংলাদেশে মিলেমিশে এখন একাকার হয়ে গেছে। আগামী অনেক দিন একদিকে যেমন পদ্মা সেতু দিয়ে দেশের উন্নয়নে, অর্থনীতিতে, মাথাপিছু আয়ে বিরাট ইতিবাচক প্রভাব পড়বে আর এই বিরোধী পক্ষের রাজনীতির কারণে দেশবিরোধী রাজনীতিতেও নতুন-নতুন মাত্রা যোগ হবে। শেখ হাসিনার দৃঢ়তার কাছে পদ্মা সেতুতে পরাজিত হলেও সবসময় তারা পরাজিত হবে এমনটি ভাববার কোনও কারণ নেই। বিশ্বব্যাংক-কার্ড খেলে তারা হেরেছে, এখন ‘মানবাধিকার কার্ড’ নিয়ে তারা নেমেছে। দেখা যাক কোথাকার জল কোথায় যায়। যেখানেই যাক, পদ্মার জলের ওপর এখন ৬.১৫ কিলোমিটার একটি লম্বা সেতু আছে, এ দেশের মানুষের একজন শেখ হাসিনা আছে, এটাই সবচেয়ে বড় ভরসা। আপাতত এটাই হোক উদযাপন।

লেখক: এডিটর ইনচার্জ, দৈনিক আমাদের অর্থনীতি

[email protected]

(লেখাটি বাংলা ট্রিবিউন থেকে সংগৃহীত )

Bootstrap Image Preview