Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৫ বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যে ক্ষুব্ধ ঐক্য এবং পূজা পরিষদ

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৭ জুন ২০২২, ০১:১৮ AM
আপডেট: ২৭ জুন ২০২২, ০১:১৮ AM

bdmorning Image Preview
ছবি সংগৃহীত


ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সঙ্গে বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের    পৃষ্ঠা ৫ কলাম ১ ওপর নির্যাতন, মন্দির ভাঙচুর এবং পূজামণ্ডপে হামলা নিয়ে মিথ্যা প্রচারণা হয় বলে যে বক্তব্য দিয়েছেন, তাতে ক্ষুব্ধ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্যপরিষদ এবং পূজা পরিষদ। এক যৌথ বিবৃতিতে উভয় পরিষদের নেতারা ওই বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানান। একইসঙ্গে তারা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেন। ঐক্যপরিষদের দপ্তর সম্পাদক মিহির রঞ্জন হাওলাদার স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, পত্রিকান্তরে খবরে প্রকাশ বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন নয়াদিল্লিতে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সঙ্গে বৈঠকে নিজেই বিষয়টির অবতারণা করেছেন। তিনি সেখানে বলেন, বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর নির্যাতন ও পূজামণ্ডপে হামলা এবং ভাঙচুর নিয়ে মিথ্যা প্রচারণা হয়। 

তিনি বলেন, সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় এ বছর প্রায় ৩৩ হাজার পূজামণ্ডপ তৈরি করা হয়েছে। বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্যপরিষদের সভাপতিত্রয় ঊষাতন তালুকদার, অধ্যাপক ড. নিমচন্দ্র ভৌমিক, মি. নির্মল রোজারিও ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মনীন্দ্র কুমার নাথ এবং বাংলাদেশ পূজা উদ্‌যাপন পরিষদের সভাপতি জে এল ভৌমিক ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. চন্দ্রনাথ পোদ্দারের ওই যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, এরমধ্য দিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেনেশুনে প্রকৃত সত্যের অপলাপ করেছেন।  বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, গত বছর শারদীয় দুর্গাপূজা চলাকালীন পূর্বাপর সময়ে দেশে ২৬টি জেলায় সংঘটিত পূজামণ্ডপে হামলার কথা অস্বীকার করায় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সারা দেশে ‘ধিক্কার মিছিল’ হয়েছিল। এরপরও তার এ মিথ্যাচারে দেশের ধর্মীয়-জাতিগত সংখ্যালঘু সম্প্রদায় নিদারুণভাবে ক্ষুব্ধ। একইসঙ্গে পররাষ্টমন্ত্রীর বক্তব্য, ‘সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় এ বছর ৩৩ হাজার পূজামণ্ডপ তৈরি করা হয়েছে’ এটিও সত্যের অপলাপ। নেতারা বলেন, বাংলাদেশে প্রতিটি পূজামণ্ডপ ও পূজার সার্বিক আয়োজন উদ্যোক্তারা নিজস্ব অর্থায়নে করে থাকেন।

এ অবস্থায় ঐক্যপরিষদ ও পূজা পরিষদ এহেন নির্জলা মিথ্যাচারের দায় মেনে নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে পদত্যাগের দাবি জানাচ্ছে। উল্লেখ্য, বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতন, মন্দির ভাঙচুর এবং পূজামণ্ডপে  হামলা নিয়ে প্রপাগান্ডা হয় বলে দিল্লিকে জানান, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন। 

দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সঙ্গে ২০শে জুন এক বৈঠকে মন্ত্রী মোমেন বলেন, সেই প্রপাগান্ডা নিয়ে অনেকের মধ্যে ভুল ধারণা তৈরি হয়। বৈঠকে মন্ত্রী অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশে ধর্ম ও বিশ্বাসের চর্চায় প্রতিবন্ধকতা নেই  সেটি স্পষ্টভাবে তুলে ধরেন। সেই বৈঠকে মন্ত্রী মোমেন রাজধানীসহ সারা দেশে ৩৩ হাজার পূজামণ্ডপ তৈরি হয় জানিয়ে বলেন, এরমধ্যে একটি বা দু’টিতে সমস্যা হতেই পারে। এ ছাড়া ছোট একটি দেশের মধ্যে এত লোক বাস করে এবং সে কারণে অনেক সময় অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে। এটাও স্বার্থান্বেষী মহলের কাজ, এর সঙ্গে ধর্মের কোনো সম্পর্ক নেই। বাংলাদেশে কাউকে সংখ্যাগুরু বা সংখ্যালঘু হিসেবে বিবেচনা করা হয় না বলেও বৈঠকে জানান মন্ত্রী। বলেন, এ বিষয়েও অনেকে মিথ্যা প্রচারণা করে এবং বিষয়টি নিয়ে যেন ভুল বোঝাবুঝি তৈরি করে।

Bootstrap Image Preview