Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৫ বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

জেল থেকে ছেলের জানাজায় এসে বাবা বললেন, ‘এত বড় শাস্তি কেন দিলা’

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮ জুন ২০২২, ১২:২৩ PM
আপডেট: ০৮ জুন ২০২২, ১২:২৩ PM

bdmorning Image Preview
ছবি সংগৃহীত


চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে কনটেইনার ডিপোতে আগুন নেভাতে গিয়ে নিহত শেরপুরের রমজানুল ইসলাম রনির (২২) জানাজার নামাজ মঙ্গলবার সকাল ১০টায় হেরুয়া বালুরঘাট গ্রামের নিজ বাড়ি প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়েছে। জানাজায় অংশ নেন জনপ্রতিনিধিসহ নানা শ্রেণি- পেশার হাজারো মানুষ।

এ সময় রনিকে গার্ড অব অর্নার প্রদান করেন শেরপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক জাবেদ হোসেন তারেক ও তার ফায়ার ফাইটার দল। পরে জাতীয় পতাকা দিয়ে তার মরদেহ ঢেকে দেন ফায়ারকর্মীরা। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পক্ষ থেকে তার কফিনে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। জানাজা শেষে দুপুরে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হয়।

এদিকে একটি মামলায় কারাগারে থাকা রনির বাবা দলিললেখক আক্রাম হোসেন আঙ্গুরকে মানবিক কারণে গত সোমবার বিকেলে জামিন দেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আব্দুর সবুর মিনা। রাতে কারাগার থেকে বেরিয়ে বাড়িতে এসে ছেলের মরদেহ দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।

বাবা আঙ্গুর, মা কামরুন্নাহার ও বৃদ্ধ দাদা ইউনুস আলীর বিলাপে পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে। তাদের সামলাতে এসে প্রতিবেশীরা চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি। বাবা আক্রাম হোসেনকে বারবার বলতে শোনা যায়, ‘হে আল্লাহ আমি তো কোনো পাপ করি নাই। তাইলে তুমি আমারে এত বড় শাস্তি কেন দিলা?’

শেরপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক জাবেদ হোসেন তারেক জানান, সরকারি দায়িত্ব পালন করার সময় কেউ মারা গেলে ডিপার্টমেন্টের পক্ষ থেকে তার পরিবারকে ৮ লাখ টাকা দেওয়া হয়। এছাড়া সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী আরও ১০ লাখ টাকা দেওয়া হবে রনির পরিবারকে। আপাতত ১৮ লাখ টাকা পাবে রনির পরিবার।

প্রসঙ্গত, শনিবার সীতাকুণ্ডে কনটেইনার ডিপোতে লাগা আগুন নেভাতে গিয়ে বিস্ফোরণে মারা যান ফায়ারম্যান রমজানুল ইসলাম রনি। পরদিন তার স্ত্রী রূপা বেগম মরদেহ শনাক্ত করেন। বিস্ফোরণে দগ্ধ হয় রনির সারাশরীর। দেড় বছর আগে দমকল বিভাগে চাকরি হয় রনির।

Bootstrap Image Preview