সম্প্রতি যুক্তরাজ্য কমিউনিটি ভিত্তিক একটি গণমাধ্যম ও বাংলাদেশের একটি গণমাধ্যমে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বাংলাদেশের নামসর্বস্ব ৫টি বিশ্ববিদ্যালয়কে যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অফ ক্রিয়েটিভ আর্টস (ইউসিএ) এর কালো তালিকাভূক্ত করার সংবাদ প্রচারিত হয়েছে।
তবে তথ্যটি সত্য নয় বলে দাবি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের। শুক্রবার (২২ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ এমদাদুল হক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তি থেকে বিষয়টি জানা যায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নামগুলোর মধ্যে দেখতে পাওয়া যায় Cumilla এবং Cumillah শব্দ অন্তর্ভূক্ত করে দু'টি নামসর্বস্ব বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু আমাদের প্রিয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি নাম "Comilla University" এবং বাংলায় "কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়"। এ থেকে সুস্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হয় "Comilla University" ইউসিএ এর নিষেধাজ্ঞার তালিকায় নেই ফলশ্রুতিতে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চ শিক্ষাগ্রহণে কোন বাঁধার সম্মুখীন হবে না।
বিষয়টি নিয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এএফএম আবদুল মঈন বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম কালো তালিকায় আসার প্রশ্নই আসে না। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ইতোমধ্যে এ ব্যাপারে ইউজিসির সাথে যোগাযোগ করেছে এবং ইউজিসি থেকে যথাযথ ব্যবস্থা নেবার কথা বলা হয়েছে।
কুবি উপাচার্য আরও জানান, যে প্রতিষ্ঠানটি থেকে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়কে কালো তালিকাভূক্তি করা হয়েছে, তাদের সাথে অফিসিয়ালি যোগাযোগ করা হয়েছে এবং তাদের বিজ্ঞপ্তিতে প্রকাশিত কুমিল্লা নামের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সুনির্দিষ্টভাবে অবস্থান ও বিস্তারিত তথ্য দেয়ার জন্য বলা হয়েছে।
অন্যদিকে, ইউজিসির গণবিজ্ঞপ্তিতে ইবাইস ইউনিভার্সিটি, আমেরিকা-বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি ও দ্য ইউনিভার্সিটি অব কুমিল্লার বিষয়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছে এবং বলা হয়েছে এসব প্রতিষ্ঠানের একাডেমিক সনদেরও কোনো আইনগত বৈধতা নেই।
তবে ইতোমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। যেখানে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ২৬তম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়কেই বুঝানো হয়েছে। এতে বিব্রত ও ক্ষুব্ধ বিশ্ববিদ্যালয়টির বর্তমান ও সাবেক শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের শিক্ষাথী পুষ্প বলেন, যত দ্রুত সম্ভব সমস্যাটি সমাধান করা উচিত। যাতে আমাদের সুনাম ও ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ন থাকে।
এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. দুলাল চন্দ্র নন্দী জানান, বিষয়টি সবার জন্য বিব্রতকর। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সুনামের সাথে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করছেন আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যে কাজ করছেন। তবে সব বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিভাবক হিসেবে ইউজিসির আরও কঠোর অবস্থান ও নামে-বেনামে গড়ে উঠা এসব প্রতিষ্ঠানগুলোকে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসা উচিত।