Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৮ বৃহস্পতিবার, মার্চ ২০২৪ | ১৪ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

১৩ বছরেই মা, বিয়ের দলিল নিয়ে উধাও কলেজছাত্র!

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৮ এপ্রিল ২০২২, ১০:১৩ PM
আপডেট: ১৮ এপ্রিল ২০২২, ১০:১৩ PM

bdmorning Image Preview
ছবি সংগৃহীত


পঞ্চগড়ে সপ্তম শ্রেণি পড়ুয়া ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরী সম্প্রতি এক ছেলেসন্তান জন্ম দিয়েছে। কিন্তু ওই সন্তান জন্মের আগেই পালিয়ে গেছে কিশোরীর স্বামী। প্রেম করে বিয়ের পর অন্তঃসত্ত্বা হলে পালিয়ে যায় তার স্বামী। এমনটাই দাবি কিশোরীর।

কিশোরীর পরিবার জানায়, জামালপুর জেলার মাদারগঞ্জ উপজেলার ওই কিশোরী স্থানীয় একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ছে। এক বছর আগে আমিনুল ইসলাম স্মরণ নামে দ্বাদশ শ্রেণি পড়ুয়া এক ছাত্রের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। তারা লুকিয়ে বিয়েও করে। ওই কিশোরী যখন অন্তঃসত্ত্বা, তখন আর কোনোভাবেই খোঁজ মেলে না ওই তরুণের। বিয়ের কাগজপত্রও ওই তরুণের কাছে।

এ নিয়ে এলাকায় লোকে বলছে নানা কথা। একপর্যায়ে এক মাস আগে ওই কিশোরী পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলায় গিয়ে আত্মীয়র বাসায় আশ্রয় নেয়। গত ১৩ এপ্রিল বোদা উপজেলা সদরের নিরাময় নার্সিং হোম অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে সিজার অপারেশনের মাধ্যমে একটি ছেলেসন্তানের জন্ম দেয় কিশোরী। সন্তান জন্মের পর বাবার খোঁজ না মেলায় শিশুটিকে নীলফামারীতে তার এক আত্মীয়কে লালন-পালনের জন্য দিয়ে দেয়।

কয়েক দিন ওই কিশোরীর পাশে সন্তানটি না থাকায় রবিবার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছাড়ানো হয় শিশুটিকে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। সোমবার সকালে শিশুটিকে আবার ফিরিয়ে আনা হয়। পরে ওই নার্সিং হোম থেকে ছাড়পত্র নিয়ে সন্তানসহ খালার বাড়িতে যায় কিশোরী।

ওই কিশোরী বলে, ‘প্রেমের সম্পর্ক হওয়ায় আমরা লুকিয়ে বিয়ে করি। কয়েক মাস পর আমার স্বামী আমাকে রেখে চলে যায়। তার পর থেকে তার কোনো খোঁজ নেই। এখন তার মোবাইল নম্বরটিও বন্ধ। আমি তার বাড়ির ঠিকানা জানি না। একপর্যায়ে আমি পঞ্চগড়ে খালার বাড়িতে আসি। এখানে আমার ছেলেসন্তান হয়। ’ 

নিরাময় নার্সিং হোম অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক উজ্জল সরকার বলেন, ‘ওই কিশোরীর সন্তান জন্মের পর তার খালা শিশুটিকে ঠাকুরগাঁওয়ে ডাক্তার দেখানোর কথা বলে নিয়ে যান। নবজাতকটি তখন অসুস্থ ছিল। মাঝে সন্তানটি কোথায় ছিল আমরা জানি না। সোমবার সন্তানটিকে তার মায়ের কাছে এনে দেন তারা। আমরা সন্তানসহ ওই প্রসূতিকে ছাড়পত্র দিয়েছি। তারা বাড়ি ফিরে গেছে। ’

বোদা থানার ওসি আবু সাঈদ চৌধুরী বলেন, শিশুটি এখন মায়ের কাছে রয়েছে। এ বিষয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।

Bootstrap Image Preview