Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৭ শনিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

বৃষ্টির মতো গোলা নিক্ষেপ করেও খারকিভে দখল করতে পারছে না রাশিয়া

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৮ মার্চ ২০২২, ১১:২১ AM
আপডেট: ১৮ মার্চ ২০২২, ১১:২১ AM

bdmorning Image Preview
ছবি সংগৃহীত


বৃষ্টির মতো গোলা নিক্ষেপ করা হচ্ছে ইউক্রেনের খারকিভে। এই শহরটি রাশিয়ান সেনাদের স্থির টার্গেটে পরিণত হয়েছে তিন সপ্তাহ ধরে। কিন্তু তাদের সামনে কঠিন প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে ইউক্রেনের সেনারা। ফ্রন্টলাইন থেকে এসব খবর দিচ্ছেন বিবিসির সাংবাদিক কুইন্টিন সমারভিলে এবং ক্যামেরাম্যান ড্যারেন কনওয়ে।

সেখান থেকে তারা লিখেছেন, আমরা একটি বাড়িতে প্রবেশ করলাম পিছনের দরজা দিযে। সেখানে হিম আবহাওয়ায় পড়ে আছেএকটিমাত্র কম্বল। এর মালিক অনেক আগেই চলে গেছেন। গ্যারেজে পড়ে আছে একটি স্কেটবোর্ড।পড়ে আছে বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত ট্যাঙ্ক বিধ্বংসী অস্ত্রের কিছু খালি প্যাকেট। সামনের বাগানে মুখ থুবড়ে পড়ে আছে রাশিয়ার একজন মৃত সেনা। এই বাড়িটিকে ফ্রন্টলাইন যুদ্ধের স্থাপনা হয়ে আছে। দেখেই বোঝা যায় সেনারা এই বাড়িটিকে তাদের দেশ সুরক্ষার ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করেছেন। ইউক্রেনের সেনারা তিন সপ্তাহ ধরে রাশিয়ার সেনাদের মুখোমুখি। তারা শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলেছেন খারকিভে।

রাশিয়ান সেনাদেরকে এই শহরে প্রবেশে বাধা দিচ্ছেন। ইউক্রেনের এই সেনাদের ঘাঁটিতে প্রবেশের বিরল সুযোগ দেয়া হলো আমাদের। সামনেই রাশিয়ার সশস্ত্রবাহিনীর ধ্বংস হয়ে যাওয়া দুটি সাজোয়া যান। তা দেখিয়ে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর ২২ মোটরাইজড ইনফ্যান্ট্রি ব্যাটালিয়ানের কমান্ডার ইউরি জানতে চাইলেন- তোমারা কি আরো সামনে অগ্রসর হতে চাও? ২০১৪ সালে ক্রাইমিয়া দখল করে রাশিয়া। একই সঙ্গে তারা ডোনবাসে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সমর্থন দিতে থাকে। তারপরই গঠন করা হয় এই ব্যাটালিয়ন। ইউরি বললেন, রাশিয়ানরা ড্রোন, যুদ্ধবিমান, হেলিকপ্টার সবকিছু ব্যবহার করেছে হামলায়। তখনও রাশিয়ান যুদ্ধবিমান মাথার ওপর দিয়ে উড়ছে। আশপাশের সড়কে ও এপার্টমেন্ট বøকে হামলা চালাচ্ছে। তারা আবারও হামলা অব্যাহত রেখেছে। অনেকবার তাদের সামনে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হয়েছে। শহরে প্রবেশ করতে না পেরে তারা হতাশ হয়ে পড়েছে। এ জন্য বোমা নিক্ষেপ করছে আকাশ থেকে।

রাস্তাঘাট সবকিছু কেমন পুড়ে যাওয়া চেহারা ধারণ করেছে। ধুলোবালিতে সয়লাব। বাগানগুলো পরিণত হয়েছে যুদ্ধক্ষেত্রে। পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলেন ওলেকজান্দার (৪৪)। তিনি বললেন, প্রথম তিনটি দিন ছিল সবচেয়ে ভয়াবহ। আমাদের শরীর কাদায় ঢাকা ছিল। দেখতে শূকরছানার মতো মনে হচ্ছিল। কাছেই ধ্বংস হয়ে যাওয়া একটি সামরিক যান। এতে ইংরেজি অক্ষর ‘জেড’ চিহ্নিত। বিবর্ণ হয়ে পড়ে আছে। ২৪ শে ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার হামলায় ঠিক ৬ জন ইউক্রেনিয় সেনা নিহত হন। তারপর অনেকে মারা গেছেন। তবে সরকারি হিসাবে এ সংখ্যা পরিষ্কার করা হয়নি।

সেনাদের ব্যবহৃত একটি সবুজ বুট পড়ে আছে। তার পাশেই রাশিয়ান এক সেনার মৃতদেহ। আশপাশে অনেক কাক। ভারি গোলাবর্ষণের শব্দেও তারা বিরত থাকছে না।

Bootstrap Image Preview