Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৫ বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

রোগ নেক্রোফিলিয়া, ডোম সেলিম; কী বীভৎস!

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২২, ০৯:২২ PM
আপডেট: ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২২, ০৯:২২ PM

bdmorning Image Preview
ছবি সংগৃহীত


চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা দুই নারী মরদেহের সঙ্গে বিকৃতাচারে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগে মো. সেলিম (৪৮) নামের এক ডোমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। সোমবার দুপুরে তাঁকে মর্গ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ধৃত সেলিম কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার সাতেশ্বর গ্রামের নোয়াব আলীর ছেলে। তিনি চট্টগ্রাম মহানগরীর বহদ্দারহাট খাজা রোড এলাকায় বাস করেন।

গ্রেপ্তারের পর তাঁর বিরুদ্ধে পাঁচলাইশ থানায় ৩৭৭/১০৯ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেছেন সিআইডির উপপরিদর্শক কৃষ্ণকমল ভৌমিক।

২০২০ সালে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে এমন ঘটনা ঘটেছিল। ওই ঘটনায় শেরেবাংলানগর থানায় একটি মামলা হয়েছিল। ঢাকার ঘটনার পর চট্টগ্রামের মর্গেও মরদেহের সঙ্গে এমন ঘটনায় পুলিশ কর্মকর্তারা বিস্মিত।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিআইডি চট্টগ্রাম অঞ্চলের বিশেষ পুলিশ সুপার মু. শাহনেওয়াজ খালেদ। তিনি বলেন, গত বছরের ফেব্রুয়ারি ও এপ্রিল মাসে অপমৃত্যুর শিকার দুই নারীর মরদেহ চট্টগ্রামে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য রাখা হয়েছিল। ওই মরদেহের সঙ্গে বিকৃতাচারে লিপ্ত হন আসামি। ডিএনএ পরীক্ষার সূত্র ধরে এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার পর আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

মামলার এজাহার ও সিআইডি কর্মকর্তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি ও এপ্রিল মাসে অপমৃত্যুর শিকার দুই নারীর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছিল। এর মধ্যে এক নারীর মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছিল ভোরে। ওই মরদেহটি একই দিন দুপুরে ময়নাতদন্ত হয়। মৃত্যুর আগে ওই নারীর সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেছিল পুলিশ। সেখানে ধর্ষণের আলামত ছিল না। সিআইডির পরীক্ষাগারেও বলপ্রয়োগে ধর্ষণের আলামত মেলেনি। কিন্তু ময়নাতদন্তের পর মরদেহে ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়। একইভাবে এপ্রিল মাসে এক শিশু অপমৃত্যুর শিকার হয়। ওই মরদেহটি এক রাত মর্গে ছিল। পরদিন শিশুর ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। দুই মরদেহের প্রাথমিক সুরতাহাল প্রতিবেদনে ধর্ষণের আলামত ছিল না। কিন্তু পরবর্তীতে ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়।

অবিশ্বাস্যভাবে দুই মাসের দুটি স্থানের দুটি ভিন্ন মরদেহে অভিন্ন ডিএনএ নমুনার সন্ধান পান ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা।

দুটি ভিন্ন মাসে, ভিন্ন সময়ে, ভিন্ন নারীর মরদেহে অভিন্ন ডিএনএর উপস্থিতির বিষয়ে সিআইডি অনুসন্ধান শুরু করে। অনুসন্ধান পর্যায়ে সিআইডি নিশ্চিত হয়, দুই মরদেহ ময়নাতদন্তের আগে মর্গে সংরক্ষিত ছিল। ওই সময় মর্গে ছিলেন ডোম মো. সেলিম। এরপর সেলিমকে সন্দেহের আওতায় নিয়ে তদন্ত শুরু করে সিআইডি। শেষে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সেলিম সিআইডির কাছে দুই মরদেহের সঙ্গে বিকৃতাচারের বিষয়টি স্বীকার করেন বলে জানান এসএসপি মু. শাহনেওয়াজ খালেদ।

Bootstrap Image Preview