মধ্যমাঘে এসে তুমুল খেয়ালি বৃষ্টিপাতের পর দ্রুত নামছে পারদ। পশ্চিমি ঝঞ্ঝার ভ্রূকুটি কমতে না কমতেই শুরু হয়েছে শিরশিরানি ঠাণ্ডা। বাড়ছে শীতের দাপট। কুড়িগ্রামে মাঝারী শৈতপ্রবাহ বয়ে যাওয়ায় তাপমাত্রার পারদ নেমেছে ৬ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। যা সারাদেশের রেকর্ডকৃত তাপমাত্রার মধ্যে সর্বনিম্ন।
শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষনাগারে চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এই শৈতপ্রবাহ আরও দুই/তিনদিন অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলের পর থেকে শৈতপ্রবাহের সঙ্গে উত্তরীয় হিমেল হাওয়ায় তাপমাত্রা নিম্নগামী হতে শুরু করে। শুক্রবার সকাল পর্যন্ত প্রকৃতি কুয়াশাচ্ছন্ন থাকার পর দুপুরে আকাশে কিছু সময়ের জন্য সূর্য দেখা গেলেও তাতে উষ্ণতা ছিলো না। তার সঙ্গে উত্তরীয় হিমেল হাওয়ার প্রকোপে শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে।
রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কর্মকর্তা আনিছুর রহমান জানান, শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় কুড়িগ্রামের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৬ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা সারাদেশের মধ্যে সর্বনিম্ন। এই অঞ্চলের উপর দিয়ে মাঝারী আকারের শৈতপ্রবাহ বয়ে এমন পরিস্থিতি আরও দুই থেকে তিনদিন অব্যাহত থাকতে পারে।
গতকাল বৃহস্পতিবার আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, আজ রাজশাহী বিভাগে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ শুরু হবে। এদিকে গতকাল সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়। আবহাওয়াবিদ শাহীনুল ইসলাম জানান, আপাতত বৃষ্টি বিদায় নিতে পারে। অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল ও নদী-অববাহিকার কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে এবং তা কোথাও কোথাও দুপুর নাগাদ অব্যাহত থাকতে পারে। তাপমাত্রার তথ্যে জানায়, দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং দেশের অন্যত্র তা (২-৪) ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে।
সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ হিমালয়ের পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ বিহার এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, এর বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।